আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাই যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন চাকরি হচ্ছে বিসিএস। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এই বিসিএস এর পেছনে ছুটছে এবং এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করে প্রিপারেশন নেয়ার প্রয়োজন হয়। একজন শিক্ষার্থী যদি শুরু থেকে সাজানো গোছানো প্রস্তুতি নিতে থাকে এবং ভালো বইগুলা পড়তে থাকে, তাহলে বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কারণ একটি ভালো মানের বইয়ে বিভিন্ন বিষয় যতটা গোছানো থাকে, ততটা সুন্দরভাবে একটি খারাপ বইয়ে গোছানো থাকে না। তাই একটি বই পড়ার সময় অবশ্যই সেই বইয়ের তথ্য গুলো কেমন বা ভালোভাবে সাজানো আছে কিনা এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। ভালোভাবে সাজানো গোছানো এমন বইগুলো পড়ার জন্য বেছে নিতে হবে, তাহলে দেখা যাবে পড়তেও ভালো লাগবে এবং সেই পড়াশোনাটা বেশি ইফেক্টিভ হবে।
এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত বিসিএস প্রিপারেশন নেওয়ার জন্য কি কি বই পড়া উচিত বা কোন বই গুলো ভালো সে বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনিও কি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার চিন্তা করছেন? আপনিও কি ভবিষ্যতে বিসিএস পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন? কিভাবে প্রিপারেশন নিলে ভালো হবে তা জানতে চাচ্ছেন? কোন বইগুলো বিসিএস এর জন্য অনেক ভালো তা খোঁজ করছেন? তাহলে বলব এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই লিখা হয়েছে এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হতে যাচ্ছেন। কেননা এখানে বিসিএস সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বিসিএস দীর্ঘ সময় ধরে চলমান একটি প্রক্রিয়া। অনেকে দেখা যায় যে বিসিএস প্রিপারেশন নিয়ে নিতে গিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ে বা ধৈর্য হারা হয়ে যেতে পারে। ধৈর্য হারা হওয়ার বিশেষ কারণ এটি অনেক দীর্ঘ সময়ের একটি প্রক্রিয়া এবং অনেক দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করতে হবে, প্রিপারেশন নিতে হবে। তাই আপনার যদি বিসিএস দেওয়ার চিন্তা থাকে বা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার চিন্তা থাকে, তাহলে প্রথমে মাথায় সেট করে দিতে হবে যে আপনাকে অনেক সময় ধরে পরিশ্রম করতে হবে এবং ভেঙে পড়লে চলবে না বা এই সময়ে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই বিষয়টি প্রথমে মাথায় গেঁথে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি কিছুদিন পরিশ্রম করার পরে হাল ছেড়ে দেন, তাহলে আপনার জন্য বিসিএস কখনো সহজ হবে না বা আপনার জন্য বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পথটাও সুগম হবেনা। এজন্য আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে এবং এটা মনের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে।
বর্তমান সময়ে বিসিএস প্রিপারেশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের বাজারে বই রয়েছে। যদিও সব বই ভালো নয়। তবে যে বই আপনি পড়েন না কেন আমার পরামর্শ হচ্ছে যে সাবজেক্টের জন্য আপনি যে বই পড়ছেন, যেমন ধরনের ইংলিশ এর জন্য যদি আপনি মাস্টার বইটি পড়েন, তাহলে আপনার মাস্টার বইটি ভালোভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেষ করা উচিত। তারপর আপনি যদি অন্যান্য বই থেকে সাহায্য নিতে চান, তাহলে অন্যান্য বই পড়া উচিত। অনেকেই দেখা যায় যে অনেকগুলো বই সংগ্রহ করে এবং সেই বইগুলোর একটাও ঠিকমতো পড়ে না। যার ফলে পরীক্ষায় আসলে কমন পায় না। কিন্তু আমরা যদি যেকোন বিষয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট বই পড়ি এবং সেই বইটি যদি সুন্দরভাবে পড়ি তাহলে ওই বিষয়ে আমাদের একটি পরিষ্কার ধারণা হয়ে যায়।
একটি নির্দিষ্ট বইয়ে আয়ত্ত করার পরে আমাদের চেষ্টা করতে হবে সে সম্পর্কে আরো জ্ঞান অর্জনের জন্য আরো বই পড়ার। কারণ একটি বইয়ে আসলে হয় না বা একটি বই পড়লে খুব বেশি ভালো হয় না। তবে অনেকগুলো বই বেছে বেছে বা একটু একটু করে পড়ার চেয়ে একটি বই ধরে শেষ করা ভালো এবং তারপরে অন্য বই পড়তে পারেন। যেমন আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনি যদি জিকের জন্য mp3 বই পড়েন, তাহলে আপনার উচিত এমপি থ্রি বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোমতো পড়া। তারপর জিকির জন্য আপনি অন্যান্য বইও পড়তে পারেন। যেমন জোবায়ের জিকে, মিহির জিকে ইত্যাদি।