অলিভ অয়েল হল বহুল ব্যবহৃত একটি তেল। ভোজ্য তেল হিসাবে এবং রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত এই তেলটি কিন্তু খুব বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন কোম্পানির অলিভ অয়েল রয়েছে। স্কিন কেয়ার অলিভ অয়েল, হেয়ার কেয়ার অলিভ অয়েল এবং ফুড অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য এবং খাবারের ব্যবহৃত অয়েল হিসেবে খুবই প্রশংসনীয়। আমরা যারা নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করি তারা জানি অনলি বয়েলের উপকারিতা। একটি মূলত জলপাই থেকে তৈরি জলপাই তেল। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অলিভ অয়েল এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
এবং যারা জানতে চায় কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল সবচাইতে ভালো তাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা। এখন বর্তমানে বাজারে সব জিনিসে এত ভেজাল তাই মানুষ ভালো কোম্পানির ভালো জিনিস খোঁজার চেষ্টা করে। অনেক বিখ্যাত বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের ল্যাবরেটরির টেস্ট থেকে অনুমোদিত।
সে বড় বড় কোম্পানির অলিভ অয়েল ভালো। ভেজালমুক্ত আস্থাশীল কোম্পানির অলিভ অয়েল গুলো আমাদের কেনা উচিত। অনেক সময় নকল করা হয় তাই নকল এড়াতে কোম্পানি ব্যবহৃত বিভিন্ন লোগো দেখে তারপর ক্রয় করুন। উৎপন্ন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ডেট দেখার পর ক্রয় করতে হবে। শরীর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপযোগী এটা আমরা সবাই জানি। অলিভ অয়েল দিয়ে একটি ভেজ্য তেল সেটা সবাই জানে না। খাবারেও কিন্তু অনেক ব্যবহার করা যায়। জানেন তারা কিন্তু নিয়মিত খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। তেল খেলে কলস্টোলের মাথা বেড়ে যায় কিন্তু অলিভ অয়েল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। অলিভ অয়েল এর উপকারিতা সম্পর্কে এবার আমরা জানবো।
শীতকালে অলিভ অয়েল খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যারা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটা করে জলপাই খান। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ভালভাবেকাজ করে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।শুধু তাই নয়, অলিভ অয়েল সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত জলপাই খান এবং প্রয়োজনে চুলে অলিভ অয়েল লাগান। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এর পাশাপাশি জলপাইয়ের তেল সেলুলার স্ট্রেস কমিয়ে অকাল বার্ধক্য রুখে দেয়।
চলুন দেখে নিই, অলিভ অয়েল কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে-
শরীরকে সুস্থ রাখতে অলিভ অয়েলে থাকা উপকারী ফ্যাট প্রয়োজন। বিশেষ করে হরমোনাল এবং ব্রেন ফাংশন ঠিক রাখতে উপকারী ফ্যাটের কোনো বিকল্প নেই। তাই, নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়া খুব জরুরি।আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অলিভ অয়েলের ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের যেকোনো বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা হ্রাস পায়।,
নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খান, দেখবেন ডায়াবেটিস আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ, অলিভ অয়েলে বিদ্যমান পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।গ্যাস-অম্বলের সাথে বদহজমের সমস্যাও এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, তেমনি আছে বদহজমের সমস্যাও। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তাই, বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়।
জলপাইয়ের তেলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানকে ধ্বংস করে প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে এটি ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধ্বংস করে দেয়। নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের অস্বাভাবিক কোষ গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি এটি এপিজেনিক পরিবর্তন থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। যেটা শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং ত্বকের জন্য খুবই ভালো। ভালো উন্নত মানের কোম্পানির অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। মুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে সবসময় ভালো নামিদামি কোম্পানির প্রোডাক্ট ক্রয় করুন। ধন্যবাদ।