প্রত্যেক দেশের আলাদা আলাদা মুদ্রা রয়েছে এবং বিশ্ববাজারে সেই মুদ্রার দামও আলাদাভাবে নির্ধারণ করা রয়েছে। অর্থাৎ আপনারা জানেন যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমরা যদি কোন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকি তাহলে সেটি আসলে ডলারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা বলতে সাধারণত ডলারের বিষয়টি বোঝায়। ডলারের রিজার্ভ যে দেশে বেশি সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো এটাই মনে করা হয়। আজকে দেখতে হবে যে কোন দেশের টাকার মান সবচাইতে বেশি। যে দেশের সম্পদ বেশি চাহিদা কম সেই দেশের টাকার মান সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে। কারণ সম্পদের ওপর নির্ভর করে সেই দেশের মুদ্রার মান। আবার মুদ্রাস্ফীতির ওপর নির্ভর করে থাকে এক দেশের টাকার সাথে আরেক দেশের টাকার মূল্যায়ন।
তাই সব দিক বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে সব দেশের টাকা মান একরকম নয়। আলাদা আলাদা দেশের টাকার মান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে কারণ হলো আমরা আগেই বলেছি যে কোন দেশের সম্পদের উপর সেই দেশের টাকার বা মুদ্রার মান কমবেশি হয়ে থাকে। প্রত্যেক দেশের মুদ্রা আসলে সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়। তবে এই মুদ্রা নিয়ন্ত্রিত হয় ওই দেশের জনসংখ্যা সম্পদের চাহিদার ওপর। যেকোনো পণ্যের চাহিদা যদি বেশি হয়ে থাকে এবং সম্পদ কম হলে দেখা যায় যে বেশি টাকা দিও সেই সম্পত্তি ক্রয় করতে ইচ্ছুক।
তখন জিনিসের অবমূল্যায়ন হয়ে থাকে অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় সেই একই মূল্যবান এর জিনিস বা পণ্য মানুষ অনেক বেশি টাকা দিয়ে ক্রয় করে থাকে। তাই আমাদের দেখতে হবে যে সম্পদের সাথে নির্ভর করে সেই দেশের মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। তাই দেখা যায় যে দেশের সম্পদ জনসংখ্যা তুলনায় বেশি সেই দেশের টাকার মূল্য সবচাইতে বা মুদ্রার মূল্য সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। অপরদিকে জনসংখ্যার বেশি সম্পদ কম চাহিদা বেশি সম্পদ কম সে তখন অবশ্যই মুদ্রাস্ফীতি ঘটে এবং টাকার মূল্য কমে যায়।
কিছুদিন আগে আমরা পাকিস্তানের দিকে দেখেছিলাম যে তাদের এক কেজি মুরগির মাংসের দাম উঠেছিল 800 থেকে 900 টাকা। কারণ ছিল মানুষের চাহিদা বেশি ছিল কিন্তু অন্য কম ছিল এই কারণে এরকম ধরনের অবস্থা দেখা গিয়েছে। এবং এটিই হল মুদ্রাস্ফীতির হার অত্যন্ত বেশি এজন্যই এই ঘটনা। অপরদিকে যে কোন দেশের সম্পদ যদি বেশি থাকে তাহলে সেখানে ক্রয় করার জন্য অত প্রতিযোগিতা থাকে না তখন একটি পণ্যের দাম অবশ্যই নির্ধারিত থেকে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে টাকার বা মুদ্রার মূল্যবান বেশি থাকে। এরকম পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে যে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বা অন্যান্য
সম্পদ অনেক বেশি কিন্তু জনসংখ্যা কম তাদের মুদ্রাস্ফীতির হারও অনেক কম হয়ে থাকে। তাই আমরা এখন দেখব যে এই সকল দেশের মধ্যে কোন দেশের মুদ্রার মান সবচাইতে কম হতে পারে বা বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন দেখি যে, পৃথিবীর এত দেশের মধ্যে কোন দেশের মুদ্রার মান সবচাইতে বেশি। কারণ আমরা সবাই জানি আলাদা দেশের মুদ্রা আলাদা আলাদা মান হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল ভুটান এই সকল দেশগুলো পাশাপাশি অবস্থান করলেও দেখি যে এ দেশের সকল দেশের মুদ্রার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
এরকম অনুযায়ী আজকে দেখব যে সব চাইতে বেশি মূল্যমানের মুদ্রার দেশের নাম। বিশ্ব বাজার অনুযায়ী কুয়েতের দিনারের মান সব থেকে বেশি। বর্তমানে কুয়েতের ১ দিনার সমান বাংলাদেশের প্রায় ৩৩৯.৩৭ টাকা। এখন পর্যন্ত কুয়েতের দিনারই বিশ্বের সব থেকে দামি মুদ্রা। এরকমভাবে বাংলাদেশের টাকার সাথে যদি তুলনা করে থাকি তাহলে দেখে যে কুয়েতি দিনারের বিপরীতে যে মূল্যমান রয়েছে এর চাইতে বেশি আর কোন দেশের মুদ্রার মান নেই। তেমনিভাবে ডলারের ক্ষেত্রেও এই কুয়েতি মুদ্রার মান ডলারের চাইতেও বেশি এবং শুধু বেশি নয় অনেক বেশি। এই কারণে কুয়েতে দিনারের মূল্যবান পৃথিবীর সব দেশের মুদ্রার মূল্য মানের চাইতে বেশি।