পৃথিবীতে যে ১৯২ টি থেকে ২১০টির মতো দেশ রয়েছে প্রায় প্রত্যেক দেশেরই আলাদা মুদ্রা রয়েছে। এই আলাদা আলাদা মুদ্রা গুলি সে সকল দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। এছাড়া অন্যান্য যে কোন জিনিস বা সম্পদ এই মুদ্রার বিনিময়ে একে অন্যের কাছে হস্তান্তর করে থাকে। তবে বিশ্ব বাণিজ্য থেকে বা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যদি কোন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা হয় তাহলে অবশ্যই সেগুলি আন্তর্জাতিক যে মুদ্রা হবে অর্থাৎ ডলারের মাধ্যমে সেটি ক্রয় বিক্রয় করা হয়ে থাকে।
তাই আমরা জানি যে প্রত্যেক দেশের প্রচলিত মুদ্রার মান এক রকম নয়। প্রত্যেক দেশের মুদ্রার আলাদা আলাদা মানুষের। একটি দেশের মুদ্রা অর্থাৎ যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি কম সে সকল দেশের মুদ্রার মান অনেক বেশি হয় আবার যেই দেশের মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি সে দেশের মুদ্রার মান অনেক কম হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা যদি দেখি যে আরো সহজ ভাষায় বিষয়টি বোঝানো যায় কিনা। যে দেশের সম্পদ বেশি কিন্তু ক্রেতা কম সেই সকল দেশের মুদ্রার মান অনেক বেশি হয়ে থাকে কিন্তু যেই দেশের জিনিস কম কিন্তু ক্রেতা বেশি সে সকল দেশের মুদ্রার মান কম হয়ে থাকে।
আমাদের দেশে জনসংখ্যা তুলনায় জিনিসপত্র পূর্ণ সামগ্রী অনেক কম এজন্য ক্রেতার পরিমাণ বেশি কিন্তু পণ্যের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে একটি পণ্য ক্রয় করতে মানুষ টাকাকে কিছু বিষয় মনে করে না। তাই দেখা যাচ্ছে যে জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে কিন্তু পণ্য সমান থাকছে। এ সকল ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পণ্য র মূল্য মানের উপর ভিত্তি করে টাকার মূল্যবান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর টাকার মূল্যবান দিন দিন কমে যাওয়াকে আসলে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়ে থাকে। তাই মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য অন্য সামগ্রী যেহেতু সমান থাকছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন ভাবে টাকা ছাপিয়ে সেই
সংকট নিরসন করা হচ্ছে। এতে যেহেতু সম্পদ ঠিক থাকতে বা সমান থাকতে কিন্তু টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে তখন অবশ্যই দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে এবং টাকার মূল্য অনেক কমে যাচ্ছে। এভাবে একটি দেশের টাকার মান কমে যায় অন্যান্য দেশের তুলনায়। যেমন কিছুদিন আগে দেখা গেল যে পাকিস্তানের মানুষের চাহিদার তুলনায় পণ্য অনেক কম তাই এক কেজি আটার দাম ২০০ টাকা বা ২০০ রুপি পর্যন্ত উঠে গেছিল। তাহলে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে পণ্যের বিপরীতে রূপির মান অনেক কম হয়ে গিয়েছে। এমনিভাবে যে দেশের সম্পদ অনেক বেশি টাকা কম সেই দেশের টাকার অনেক বেশি হয়ে থাকে।
এখন আমরা দেখব যে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি টাকার বা মুদ্রার মান কোন দেশে। এই বিষয়টি অবশ্যই আজকে আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরব এবং আপনারাও জেনে খুশি হবেন যে কোন দেশের টাকার মান সবচাইতে বেশি। হয়তো আমরা মনে করছি যে ডলারের দাম সবচাইতে বেশি কিন্তু না। ডলারের চাইতেও বেশি অনেক দেশের মুদ্রার মান রয়েছে। এখন দেখবো আসলে কোন দেশের মুদ্রার মান সবচাইতে বেশি সেই বিষয়টি। কারণ আমাদের জীবনযাত্রা তাগিদে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে অথবা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যেতে হয় সে সকল দেশে।
এবং আমার দেশের টাকার বিপরীতে সেই দেশের টাকা চেঞ্জ করে নিতে হয়। এজন্য অবশ্যই বিষয়টি আমাদের দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। তাহলে চলুন দেখি কোন দেশের মুদ্রার মান সবচাইতে বেশি বা সবচেয়ে কম। সবচেয়ে কম মুদ্রার মূল্যের দেশ ভেনিজুয়েলা। তাহলে আপনারা দেখতে পেলেন যে সবচাইতে কম মূল্য ভেনেজুয়েলার টাকার। সেই দেশে টাকার তুলনায় সম্পদের পরিমাণ অনেক কম হওয়ার কারণেই এই ঘটনা।
তাহলে আপনারা যদি এই ধরনের যে কোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের এখানে আসেন তাহলে অবশ্যই বিষয়টি ভালো হয়। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সব সময় সব ধরনের তথ্য সবার আগে তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকি।