একটি দেশ পরিচালনা করার জন্য সবচেয়ে বেশি যা দরকার তা হলো সেই দেশের সংবিধান। মূলত সংবিধানকে একটি দেশের দলিল বলা হয় এবং একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়। সংবিধানের মাধ্যমে যেকোনো একটি দেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা যায়। সংবিধানের মাধ্যমে সেই দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে, সেই দেশটির অভ্যন্তরীণ কাজে জনগণের অধিকার কেমন হবে, সেই দেশটির সার্বিক অবস্থা আসলে কেমন হবে এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সংবিধানের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করে থাকে। আর সংবিধানকে একটি দেশের দলিল বা রাষ্ট্রপরিচালনার মূল দলিল বলা হয়।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ পরিচালনা করার জন্য প্রত্যেকটি দেশের নিজস্ব সংবিধান আছে। এজন্য পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ নিজস্ব সংবিধান অনুসারে পরিচালিত। একটি দেশের সংবিধানের সাথে অন্য দেশের সংবিধান না মিলতেই পারে। সংবিধানের বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন কোনো দেশের সংবিধান লিখিত। আবার কোনো দেশের সংবিধান অলিখিত। লিখিত সংবিধান বলতে যে দেশের সংবিধান বেশিরভাগ অংশ লিখিত থাকে সেই দেশের সংবিধান কে লিখিত সংবিধান বলা হয়ে থাকে।
আর যে দেশের সংবিধানের বেশিরভাগ অংশ অলিখিত থাকে সে দেশের সংবিধানকে অলিখিত সংবিধান বলা হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর কোনো দেশে লিখিত সংবিধানে পরিপূর্ণ। আবার অলিখিত সংবিধানে সম্পূর্ণ অলিখিত নয়। কারণ প্রত্যেকটি দেশের মূল বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকে। এজন্য সব সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে যেমন লিখিত বলা যাবে না, এমনিভাবে পরিপূর্ণভাবে বা সম্পূর্ণভাবে অলিখিত বলা যাবে না।
সংবিধানের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন যে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করা যায়, সেই দেশের সংবিধানকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়। আবার কোনো কোনো দেশের সংবিধান পরিবর্তন করা অনেক জটিল বা অনেক কঠিন। আর সেই দেশের সংবিধান গুলো সহজে পরিবর্তন করা যায় না। এই ধরনের সংবিধানকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়। এছাড়া সংবিধানের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই একটি দেশের সংবিধানের সাথে অন্য দেশের সংবিধান মিলবে না। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রত্যেকটা দেশের আলাদা আলাদা সংবিধান অনুসারে সেই দেশগুলো নিজেদের বিভিন্ন কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকে।
অনেকেই দেখা যায় যে এই সংবিধান সম্পর্কে জানতে চায় বা যেকোন দেশের সংবিধানের বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। আবার অনেকে দেখা যায় যে কোন দেশের সংবিধান ছোট, কোন দেশের সংবিধান বড়, কোন দেশের সংবিধানের কি ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বিষয়গুলো জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে। তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সহজেই বিভিন্ন দেশের সংবিধান সম্পর্কে জেনে নিতে পারে, এজন্য আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটগুলো দেখতে পারেন। আশা করি আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুব সহজে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে সবচেয়ে ছোট সংবিধান সম্পর্কে লেখা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সংবিধান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। অনেকে এখানে অবাক হতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান কিভাবে ছোট হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র অনেক বড় একটি রাষ্ট্র। বড় একটি দেশের সংবিধান বড় হওয়া উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনেক ছোট। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সংবিধান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
আশা করি আপনি আপনার উত্তরটা পেয়ে গেছেন এবং এই উত্তরটা জানার মাধ্যমে আপনার অনেক ভালো লেগেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অন্যান্য দেশের সংবিধানের মতো বড় নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে মূলত সেই দেশের মূলনীতিগুলো লেখা রয়েছে এবং মূল বিষয়গুলো রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন মূলনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আর সমস্ত মূলনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মধ্যে লিপিবদ্ধ নয়। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পৃথিবীর অন্যান্য সংবিধানের চেয়ে তুলনামূলক ছোট। আর তাই যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানকে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সংবিধানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।