একটি দেশ কতটা শক্তিশালী বা একটি দেশ কতটা প্রভাবশালী তা অনেকটা নির্ভর করলে সেই দেশের সামরিক বাহিনী বা সেনাবাহিনীর উপর। অর্থাৎ একটি দেশের সেনাবাহিনীর যত দক্ষ হবে, সে দেশটার প্রশাসনিক ব্যবস্থা তত দক্ষ বলে ধরে নেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে আমাদের পৃথিবীতেও ছোট বড় অসংখ্য দেশ রয়েছে। এ সকল দেশের সমন্বয়ে এই পৃথিবী গঠিত। তবে পৃথিবীর কোন দেশ সমান হতে পারবে না। ভৌগোলিকভাবে যেমন বিভিন্ন বিচিত্রতা রয়েছে, তেমনি ভাবে দেশগুলোর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিচিত্রতার লক্ষ্য করা যায় ৷ আর একটি দেশ কতটা উন্নত বা কতটা শক্তিশালী তা অনেকটা সেই দেশের সেনাবাহিনীর উপর নির্ভর করে। যদি একটি দেশে দক্ষ সেনাবাহিনী থাকে, তবে সে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা অনেক মজবুত বলে ধরে নিতে হয়। তাই অবশ্যই প্রত্যেকটি দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভালো করার জন্য বা দক্ষ করার জন্য সেনাবাহিনীর দক্ষতার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রত্যেকটি দেশের জন্য সেই দেশের সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনী অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত দেশকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ সেনাবাহিনী মূলত একটি দেশের প্রহরিস্বরূপ কাজ করে। আবার একটি দেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে এই সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনী তাই একটু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীর অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাছাড়া একটি দেশকে বিশৃঙ্খলার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে বা শৃঙ্খলা বদ্ধ রাখবে অবশ্যই সেনাবাহিনীর দরকার রয়েছে বা সামরিক বাহিনীর দরকার রয়েছে। তাই একটি দক্ষ সামরিক বাহিনী বা চৌকশ সামরিক বাহিনী একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
তবে প্রত্যেকটি দেশের চৌকোস সেনাবাহিনী বা দক্ষ সেনাবাহিনী নেই। কারণ প্রত্যেকটি দেশে একইভাবে সেনাবাহিনী তৈরি করা হয় না। আবার প্রত্যেকটি দেশের সক্ষমতা ও একই রকম না। এজন্য দেখা যায় যে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন কোন কোন দেশের সেনাবাহিনী অনেক দক্ষতার সহিত বিভিন্ন কাজ করতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে আবার তারা সেনাবাহিনীর দিকে বা বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর দিকে খুব বেশি খেয়াল করেন না বা সে দেশের সেনাবাহিনী গুলো তুলনামূলক কম দক্ষতা অর্জন করে।
তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশ রয়েছে, যে দেশের সামরিক বাহিনী বা সেনাবাহিনী অনেক বেশি দক্ষতার সহিত তাদের প্রশাসনিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করছে। অর্থাৎ কিছু কিছু দেশের সেনাবাহিনীরা অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। অনেকে দেখা যায় জানতে চাই যে কোন দেশে সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বা কোন দেশের সামরিক বাহিনী অনেক বেশি প্রভাবশালী। আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে তারা খুব সহজেই কোন দেশের সেনাবাহিনী অনেক বেশি প্রভাবশালী বা শক্তিশালী সেই বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন চৌকস বা দক্ষ সেনাবাহিনী থাকলেও সবচেয়ে দক্ষ সেনাবাহিনী বা শক্তিশালী সেনাবাহিনী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীরা।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক বাহিনী বা সেনাবাহিনী অনেক বেশি ভূমিকা পালন করছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এত শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পেছনে রয়েছে সেই দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী বা সেনাবাহিনী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য কিছু দেশ রয়েছে, যে দেশের সেনাবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের পরে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী অনেক দক্ষ। তারপর রয়েছে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্কের সামরিক দল বা সেনাবাহিনী দল। এই দেশগুলোর সেনাবাহিনীরা অনেক বেশি দক্ষতার সাথে তাদের সামরিক কার্যাবলীর নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য তারা খুব শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনী