ছেলেদের জন্য কোন ক্রিম সবচাইতে ভালো

ছেলেদের রুক্ষ ত্বক। এবং ছেলেদের ত্বক অনেক ড্রাই হয়ে যায়। মেয়েদের ত্বক শর্ট হওয়ার কারণে মেয়েদের ক্রিমগুলো ছেলেদের ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। ছেলেদের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম পাওয়া যায়। ফেয়ারনেস ক্রিম গুলোর মধ্যে সবচাইতে ভালো ছেলেদের জন্য ফেয়ারনেস ক্রিম গুলোর মধ্যে, ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম, গার্নিয়ার মেন ক্রিম এগুলো সবচাইতে ভালো ‌।রূপচর্চা শুধুই মেয়েদের জন্যই। কিন্তু এই ধারণাটা কখনই ঠিক নয়। কারণ যেহেতু ছেলেদের কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেশি যেতে হয় সেহেতু তাদের ত্বক আরো দ্রুত কালচে হয় যায়। এক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা করলে চেহারার উজ্জ্বলতা আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব। তাই আজ আমরা তুলে ধরব কিভাবে ছেলেদের ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা আমার ফিরিয়ে এনে তাকে আরো সুন্দর করা যায়।

বাইরে সময় কাটাতে হয় ছেলেদের এজন্য তাদের স্কিন দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।ত্বককে বাইরের ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করুন। কারন বাইরের রোদের তাপ ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরী করতে পারে। ফলে ত্বকে সহজে কালচে ছোপ পড়ে। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় রোদের তাপ থেকে ত্বককে দূরে রাখতে হবে। বাইরে বেশি সময় অতিরিক্ত ধুলাবালি ও কড়া রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপ্টা দিতে হবে। তারপর সাবান কিংবা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর যে কোন একটি মশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। ছেলেদের স্কিন অনেক বেশি ড্রাই এজন্য মশ্চারাইজার ক্রিম লাগানো খুবই বেশি জরুরী।

ছেলেদের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ফলো করলে তাদের স্ক্রিন ভালো থাকবে। স্কিনে ক্রিম লাগালে ত্বক ভালো থাকে এবং ড্রাই হয়ে যায় না। এজন্য ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবার আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। ছেলেরা অনেক ব্যস্ত থাকে সারাদিন ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পায়না। এজন্য রাতে কিছু রূপচর্চা করাই যায়। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইস কিউব নিয়ে সম্পুর্ন মুখে ভালোভাবে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকে রক্ত চলাচল সচল থাকে। আর ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ ভালো থাকলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়। এরপর যেকোনো একটা মশ্চারাইজার ক্রীম লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে ম্যাসাজ করে নিন।একটা লেবু কেটে খোসাসহ মুখে ভালভাবে ঘষে নিন। লেবুর সাইট্রিক এসিড আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল, পিগমেন্টেশন, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি মুখের কালো দাগ দূর করে ত্বককে আরো ফর্সা করতে সাহায্য করে।

প্রাকিতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে শসা খুব উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে শসার টুকরো দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন ব্যাবহারে ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়। এছাড়া শসার রস ত্বকে প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।এক চামুচ কাচা হলুদের সাথে কাচা দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কাচা হলুদ ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে এবং কাচা দুধ স্কিনের কমপ্লেকশনকে আরো ফর্সা করতে সাহায্য করে।অ্যালোভেরার জেলোতে প্রচুর পরিমানে আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফাটা ত্বক সারিয়ে তুলতে অনেক উপকারী। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন অ্যালোভেরা জেলো মুখে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের মৃত কোষগুলো বের করে ত্বককে আরো উজ্জ্বল করে তোলে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু অনেক উপকারী। আধা চামুচ মধুর সঙ্গে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধৌত করার পর অবশ্যই মুখে ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না। বিশেষ করে রাতে শোয়ার আগে ফেয়ারনেস ক্রিম লাগিয়ে ঘুমালে সারা রাতে স্ক্রীন রিপেয়ার হয়ে যায়। অনেক ছেলে আছে যারা শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয় কিন্তু কোন রকমের ক্রিম ব্যবহার করেনা। আপনি কি দিয়ে মুখ ধুচ্ছেন এটা বড় কথা নয়। মুখ ধোয়ার পর আপনি মুখে কি ক্রিম ইউজ করছেন সেটাই বড় কথা। ছেলেদের জন্য উপযোগী ফেয়ারনেস ক্রিমগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ছেলেদের স্কিন ভালো থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Comment