দাঁতের ক্যাপ কোনটা ভালো

ক্ষয়প্রাপ্ত বা ভাঙ্গুর দাঁত একটি চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। মন খুলে হাসতে সবার সঙ্গে এবং সবার সামনে নিজের দাঁত দেখাতে লজ্জা বোধ হয়। এজন্য যাদের দাঁত ভালো না বা দাঁতের রং কালো হয়ে গেছে ,ক্ষয়প্রাপ্ত অবস্থায় চলে এসেছে তারা নিজের দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিন্তু দাঁতের ক্যাপ বা ক্রাউন ব্যবহার করতে পারে।

যেটাকে আমরা সহজ বাংলা ভাষায় বলতে পারি, দাঁত খারাপ হয়ে গেলে কৃত্রিম দাঁত ব্যবহার করা হয় বা দাঁতের উপরে কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে তৈরি ক্যাপ বা কভার লাগানো হয়। তাকে আমরা বলি দাঁতের ক্যাপ পড়ানো। যারা দাঁতের এই ধরনের চিকিৎসা নিতে চায় তাদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।অনেকের দাঁত ক্ষয়ে যায় এবং দাঁত নড়ে যায় তখন সেই দাত কে সচল রাখতে দাঁতে ক্যাপ পরানো হয়। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত কে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতেই তাদের ক্যাপ পড়ানো হয়। এটি মূলত দাঁতের চিকিৎসার একটি অংশ।ডেন্টাল ক্রাউনগুলি দাঁতের আকৃতির একটি ক্যাপ যা দাঁতের উপরে রাখা হয় কারণ দাঁতকে ঢেকে রাখার জন্য এটির উপস্থিতি এবং আকার এবং আকৃতি পুনরুদ্ধার করার জন্য। এটি দুর্বল দাঁত (উদাহরণস্বরূপ, ক্ষয় যাওয়া থেকে), ট্রমা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজন।

ডেন্টাল ক্রাউন বা ক্যাপ সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা হয়তো রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ দাঁতকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে রাখার জন্য চিকিৎসকরা ক্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।সাধারণত দাঁতে প্রদাহজনিত রোগ হলে সেই দাঁতে রুট ক্যানেল করার পর দাঁতটি যেন স্বাভাবিক থাকে এবং পুনরায় যেন ভেঙে না যায়, সে জন্য দাঁতটিতে ক্যাপ লাগানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন আঘাতের কারণে দাঁত ভেঙে গেলে বা ফেটে গেলে অথবা দাঁতের রং কালো হয়ে গেলে ক্যাপ লাগানো জরুরি হয়ে পড়ে।

ক্যাপের রং দাঁতের রঙের সঙ্গে মিল থাকার কারণে মুখের সৌন্দর্য অটুট থাকে। এই কারণেই বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই এটি বেশ জনপ্রিয়। তবে এই ক্যাপ লাগানোর প্রক্রিয়া এতটা সোজা নয়। বেশির ভাগ সময়ই ক্যাপ লাগানোর পর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। এর মধ্যে ব্যথা সাধারণ অভিযোগ। রুট ক্যানেল সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়া এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়।

ক্যাপ দাঁতটিকে কেটে সেপ করার সময় অসচেতন বা অনিচ্ছাকৃতভাবে পাশের দাঁতের আঘাত পায়, এই জন্য দাঁত দুটিতে শিরশির অনুভূতি হতে পারে। অনেক সময় এখান থেকে ডেন্টাল ক্যারিজ এবং পরে দাঁতে প্রদাহজনিত রোগ হতে পারে। অনেক সময় দাঁতকে এমনভাবে কাটা হয় যে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। আবার ক্যাপটি লাগানোর জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, তার মৌলিক গুণ কোনো কারণে নষ্ট হলে খুব সহজেই ক্যাপটি দাঁত থেকে খুলে যায়।

দাঁতের ক্যাপ হলো একটি নমনীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি যা দাঁতের ওপরে লাগিয়ে একটি অসুস্থ এবং ভাঙ্গুর দাঁত কে সঠিক আকার দেওয়া হয়। অনেকের দাঁত শিরশিরানির ফলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় ক্ষয় হওয়া দাঁত দেখতে ভালো লাগে না তাই অনেকে দাঁতের ক্যাপ ব্যবহার করে।দাঁতের ক্যাপটি ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। এতে পাশের দাঁতটিতে খাবার জমে থাকার প্রবণতা থাকে, সেখান থেকে দাঁত ও মাড়ির রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অনেক সময় ক্যাপ লাগানো দাঁত মাড়ি থেকে সরে গিয়ে ধীরে ধীরে দাঁতের গোড়া বেড় হতে থাকে। এতে দাঁতের গোড়ার শক্তি কমে যায়। এক সময় দাঁতটি নড়তে থাকে এবং পড়ে যায়।

আমাদের অনেকেরই দাঁত ভাঙ্গড় হয়ে যায় এবং দাঁতে পোকা লাগার কারণে দাঁত কমজোরি হয়ে যায়। আপনারা যদি এরকম সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই সমস্যার জন্য কি চিকিৎসা নিতে পারেন সেটাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা দাঁতের ক্যাপ লাগাতে চান ,তাদের জন্যই আজকে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেই আজকের এই আলোচনা করতে চাই। আমাদের এই প্রতিবেদনটি দাঁতের রোগীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে তাই আপনারা সবাই মনোযোগ দিয়ে নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি পড়বেন। এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।

Leave a Comment