বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী কোনটি

বাংলাদেশে অসংখ্য নদী জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এজন্য বাংলাদেশকে বলা হয় নদীমাতৃক দেশ। মূলত বাংলাদেশের এত সুন্দর আবহাওয়া বিরাজমান হওয়ার কারণ হচ্ছে এই নদীর প্রভাব। যদি বাংলাদেশে এত নদী না থাকতো এবং এই নদীগুলো এত সুন্দর না হতো, তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃতি বা আবহাওয়া কখনো এত সুন্দর হতো না। বাংলাদেশের আবহাওয়াকে এত সুন্দর এবং সতেজ রাখার পেছনে নদ নদীর ভূমিকা অপরিসীম। কখনো নদীর ভূমিকা বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কল্পনা করা যাবে না। কেননা নদীগুলো না থাকলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হতো এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের মনোরম আবহাওয়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নেই বললেই চলে। দেখা যায় যে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিভিন্ন রকম। যেমন পৃথিবীর কোন কোন দেশে শুধু গরম দেখা যায়। যেরকম যদি সৌদি আরবের কথা কল্পনা করা যায়, তাহলে সেখানে আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো এত সুন্দর নয়। আবার মরুভূমি দেশগুলোর কথা কল্পনা করলে চোখের সামনে ভেসে উঠে প্রচন্ড রোদের তাপের কথা। আর সেই রোদের তাপে বাংলাদেশের মানুষ টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। আবার কোন কোন দেশে দেখা যায় যে প্রচন্ড রকমের ঠান্ডা পড়তে থাকে বা বরফ পড়তে থাকে। এরকম আবহাওয়া আসলে টিকে থাকার জন্য অনেক বেশি মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় যে বাংলাদেশের আবহাওয়া এরকম নয়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া হচ্ছে নাতিশীতোষ্ণ। অর্থাৎ বাংলাদেশে যেমন গ্রীষ্মকালে গরম পড়ে, তেমনি ভাবে শীতকালে শীত, বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ হচ্ছে ষড় ঋতুর দেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতু বিরাজ করে। এজন্য দেখা যায় যে বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক সুন্দর থাকে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চাইতে আলাদা। আর এর পেছনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের অসংখ্য নদ নদীর অবস্থান। তবে বর্তমান সময়ের খেয়াল করলে দেখা যায় যে বিভিন্ন নদী মরে যাচ্ছে।

বিভিন্ন নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেকটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা আগের চেয়ে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা যথাযথ উদ্যোগ না গ্রহণ করি, তাহলে বাংলাদেশের আবহাওয়া আরো খারাপ হয়ে যাবে এবং নদ নদী গুলো তাদের ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলবে। এর ফলে বাংলাদেশের শস্য শ্যামল সুন্দর প্রকৃতি দেখতে পাবো না। এজন্য আমাদের নদ-নদীর প্রতি যত্নবান হতে হবে। যদি আমরা নদনদীর প্রতি যত্নবান না হয়, তাহলে এই বাংলাদেশের সুন্দর আবহাওয়া খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না। তাই আমাদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

অনেকেই দেখা যায় যে এই নদী সম্পর্কে জানতে চায়। বা বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চায়। কেউ কেউ দেখা যায় যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদী কোনটি, কোন নদীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ইত্যাদি বিষয় গুলো জানতে চায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে এরকম বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে নানা ধরনের আর্টিকেল লিখা হয়। আপনিও কি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?

বাংলাদেশের সুন্দর আবহাওয়া পেছনে এই নদীগুলো ভূমিকা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়ে অনেকগুলো তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আবার অনেকেই দেখা যাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী কোনটি বা বিশ্বের আবহাওয়াকে সুন্দর রাখতে সবচেয়ে বড় নদীর ভূমিকা কি তা জানতে চায়। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী সম্পর্কেও লেখা হয়েছে। নীল নদ হচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী। কিন্তু পানি ধারণ ক্ষমতার দিক দিয়ে আমাজান হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রশস্ত নদী। আমাজান নদীটি মূলত পাঁচটি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নীলনদ প্রাচীন কাল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং নীলনদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আবহাওয়া সুন্দর রাখছে। কিন্তু বর্তমান সময় পানি ধারণের ক্ষমতার দিক দিয়ে দেখতে গেলে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রশস্ত নদী হচ্ছে আমাজান।

Leave a Comment