বাজারে অনেক কোম্পানির অলিভ অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। তারপরেও অনেক দোকানে খোলা অলিভ অয়েল বিক্রি করে। বাজারজাতকরণ বিভিন্ন কোম্পানির এই অলিভ অয়েল গুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। কোন অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো সেটা অনেকেই জানতে চায়। অলিভ অয়েল স্কিনের জন্য ভালো। কিন্তু অনেকেই জানে না যে অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহার করা যায়।
যারা নিয়মিত চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে শুধু তারাই জানে যে অলিভ অয়েল ব্যবহারে চুলে কতটা উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। অলিভ হেয়ার অয়েল গুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অলিভ হেয়ার অয়েল সবাই ব্যবহার করে না। সচরাচর সবাই চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করে। কোকোনাট অয়েল চুলের জন্য ভালো কিন্তু অলিভ অয়েল তার থেকেও ভালো। রূপচর্চায় অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কিন কেয়ার থেকে শুরু করে হেয়ার কেয়ারেও অলিভ অয়েল এর যথার্থ প্রশংসা রয়েছে।
আজকে আমরা আপনাদের জানাবো যে কোন অলিভ অয়েল গুলো চুলের জন্য ভালো। স্কিনে লাগানোর জন্য যে অলিভ অয়েল গুলো পাওয়া যায়, সেই অলিভ অয়েল কিন্তু কখনোই চুলে ব্যবহারের যোগ্য নয়। যেগুলো অলিভ হেয়ার অয়েল রয়েছে সেগুলোই চুলের জন্য উপযোগী।গ্রিন এবং ব্রাউন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এই সমস্ত তেলে আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে পুষ্টির জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণের সাথে ভিটামিন A, D এবং K এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। এর গভীর অনুপ্রবেশকারী সূত্রটি খুশকি, চুলকানি এবং শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় স্থায়ী আর্দ্রতা এবং মসৃণতা প্রদান করে।
ত্বকের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের জন্য অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, খুবই উপকারী। খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। যারা ডায়েট করে এবং সুস্থ ফিট থাকতে চায় তারা কিন্তু খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে অলিভ অয়েল এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করব।
অলিভ অয়েল ত্বকের সুরক্ষায় বেশি পরিচিত। অলিভ অয়েলের আরো অনেক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা এখন জানবো।
আমাদের ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে। নিয়মিত অলিভ ওয়েলের ব্যবহার এই ঘাটতির আশঙ্কা দূর করে। প্রচুর ভিটামিন এ ও ই-এর পাশাপাশি এই তেলে ভিটামিন ডি ও কে থাকে, যা ত্বকের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশকেও সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়। তাই এটিকে সরাসরি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বা ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
কনুই বা হাঁটুর ছিলে যাওয়া চামড়া অথবা কোনো হালকা আঘাতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি মুখের ব্রণ রোধেও ভূমিকা রাখে এটি। ব্রণের জন্য দায়ী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টিতে বাধা দেয় তেলটির বিভিন্ন উপাদান। রোজাসিয়া ও সোরিয়াসিসের মতো রোগগুলোকেও বেশি বাড়তে দেয় না এটি।আমাদের ত্বকের অন্যতম উপাদান কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে অলিভ ওয়েল। তাছাড়া এতে থাকা অলিক এসিড ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে, মুখের ত্বককে করে তোলে আরও নরম, এনে দেয় মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
সময়ের সঙ্গে মুখে-শরীরে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তার সঙ্গে যদি যুক্ত হয় দূষিত পরিবেশ, মানসিক চাপ বা অন্য কোনো কারণ, তাহলে তো কথাই নেই। আর এর সমাধানেও আছে অলিভ ওয়েলে। এই তেলে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা বয়স্ক হওয়ার জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হতে দেয় না। পাশাপাশি সূর্যের আলো থেকেও মুখকে সুরক্ষা দেয়।
প্রতিনিয়তই আমাদের ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হয়। অলিভ ওয়েল সেই নিয়মিত কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মুখ থেকে মেকআপ বা সানস্ক্রিন ক্রিম তোলার ক্ষেত্রে তেলটি কাজে দেবে। মেকআপ তোলার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী বাজারে পাওয়া গেলেও, এগুলোতে মুখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অলিভ ওয়েল সরাসরি বা প্যাডে মেখে মুখে লাগালে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
চুলের যত্নে এবং ত্বকের যত্নে হলিউড অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়ম করে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। হেয়ার অয়েল হিসেবে অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো।