আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। সেই সকল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো মেয়েদের পিল খাওয়া। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিল বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে তারাও বিভিন্ন ধরনের বিল দিয়ে থাকেন জনগণকে এবং এটি অবশ্যই বিনামূল্যে।
তাই আপনারা জানতে এসেছেন আজকে যে বাজারে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের বিল রয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য তাই এদের মধ্যে কোন পিল সবচাইতে ভালো মানের। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি। কিন্তু ২০২৩ সালে অর্থাৎ ৫২ বছরের ব্যবধানে দেশের জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি। তাই আমাদের দেশে অবশ্যই জনবিস্ফোরণকে আটকাতে হবে বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য সরকার প্রায় কয়েক দশক ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জনগণকে সচেতন করে চলেছে।
এবং সরকারও যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তাও অতুলনীয়। এবং সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জনগণের সচেতনতায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই মনে করা হয়। বর্তমানে প্রত্যেক দম্পতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি থেকে দুইটি সন্তান নিয়ে থাকে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দুইয়ের অধিক ও সন্তান নিচ্ছে। তবে সকল সচেতন নাগরিক দুইটির বেশি সন্তান নিচ্ছে না। আর দুইটির বেশি সন্তান নিচ্ছে না মানে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যদি নিয়ে থাকে তাহলে শারীরিক কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। তাই আপনারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক কয়টি পদ্ধতি আছে সেটি অবশ্যই জানেন। অনেকগুলি পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ছেলেদের কনডম ইউজ করা ছেলেদের বন্ধ্যাত্বকরণ পদ্ধতি ছাড়াও মেয়েদের স্বল্পমাত্রার বিল গ্রহণ করা জন্মনিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইনজেকশন ইত্যাদি। আমাদের বাংলাদেশ সহ বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য পিল রয়েছে।
এই বিলগুলো মেয়েদেরকে খেতে হয়। সাধারণত রজঃচক্র শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ যেদিন রজচক্র শেষ হবে সেদিন থেকে তারা পিল খেতে শুরু করে। এবং প্রত্যেক মাসের জন্য বা প্রত্যেক দিনের জন্য আলাদা আলাদা পিল নির্দিষ্ট করা রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রত্যেক দিন পিল না খেলেও চলে। তাই আজকে আমরা দেখব যে বাজারে যে সকল বিলগুলো রয়েছে এই বিলগুলোর মধ্যে কোন পিলটি আসলে বেশি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা দেখব। কারণ বিভিন্ন ধরনের পিল বাজারে রয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মেয়েরা এই বিলগুলো তাদের শরীরে অস্বস্তি করে।
সেই কারণে দেখতে হবে যে কোন পিল কোন মেয়ের শরীরে শুট করে সেটিও একটা বিষয় রয়েছে। তবে এ সকল বিলগুলো অবশ্যই ভালো মানের এবং নিম্নমানের দুই রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জেপিএল বিনামূল্য বিতরণের জন্য দিয়ে থাকে সেই পিলের মানও খুব খারাপ নয় বলেই মনে করা হয়। কিন্তু এখন আসলে দেখব এত পিলের ভিড়ে আসলে কোন পিলটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত। মোটকথা বাজারে ভালো পিল কোনটি।
তাহলে চলুন আমরা দেখি যে জন্ম নিরোধ করন যে বিলগুলো রয়েছে সেই জন্ম নিরোধ করণ পিলের মধ্যে আসলে সবচেয়ে ভালো পিল কোনটি। আপনারা জানেন যে,জন্মনিরোধ ট্যাবলেট মুলত ইস্টোজেন ও প্রোজেস্টেরন এর মিশ্রণ। এবং এই মিশ্রণের কারণেই শরীরে ডিম্বাণু এবং শুক্রানুর জাইগোট তৈরি হতে দেয় না। অর্থাৎ ডিম্বাণ এবং শুক্রাণুকে ধরুন অবস্থায় মেরে ফেলে অর্থাৎ তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে। এজন্যই সাধারণত স্বামী স্ত্রীর সহবাসের পরেও সন্তান হয় না।
তাহলে এবার দেখি তাহলে ভালো পিল কোনটি। বর্তমানে বাজারে যে বিলগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো চতুর্থ প্রজন্মের পিল। আর এই চতুর্থ প্রজন্মের বিল গুলো অবশ্যই ভালো মানের হয়ে থাকে। আর এই কারণে এদেরকে খারাপ বলা যায় না। চতুর্থ একটা প্রজন্মের এই বিলগুলোর মধ্যে রয়েছে- নভেলন লাইট, মারভেলন, অভোস্টাট গোল্ড ইত্যাদি। এই বিলগুলি সবই ভালো মানের হয়ে থাকে। তাই এই পিল গুলোর যে কোনটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।