একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেই দেশের চালিকা শক্তি হিসেবে কল্পনা করা হয়। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু এমন কিছু কিছু প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, যারা নিজেদের সততা, আদর্শকে বিক্রি করে নানাভাবে দেশের ক্ষতি করছে, নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে, দেশের নাগরিকদের সার্বিক অধিকার ব্যাহত করছে। আর এই সকল সরকার কখনো একটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না।
এরকম প্রধানমন্ত্রীদের জন্য দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে দিন দিন এবং অর্থনৈতিকভাবে সেই দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। সেই দেশগুলোকে আস্তে আস্তে ধ্বংসের মুখে পৌঁছাতে হচ্ছে। এজন্য একটি দেশ ঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভালো হতে হবে, স্মার্ট হতে হবে, নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে, জ্ঞানী হতে হবে। কারণ জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া একটি দেশ পরিচালনা করা কখনো সম্ভব নয়।
এমন কিছু কিছু প্রধানমন্ত্রী রয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী গুলো দুর্নীতিগ্রস্ত এবং নৈতিকতা বহির্ভূত। তাদের মধ্যে নৈতিকতা নেই, তাদের মধ্যে কোন নীতি নেই। এজন্য তারা বিভিন্নভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে। অনেকেই দেখা যায় যে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, খারাপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধরা হয়েছে বা ধরা হবে, কি কারণে একজন প্রধানমন্ত্রী কে খারাপ বলা হয়, কি করলে সেই প্রধানমন্ত্রী খারাপ হিসেবে পরিগণিত হবে, প্রধানমন্ত্রীর কাজ আসলে কি হওয়া উচিত, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী কি ধরনের কাজ করেন ইত্যাদি বিষয়গুলো অনেকেই জানতে চায়।
মূলত তারা যেন খুব সহজে এই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারে, এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত বা খারাপ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনিও কি দুর্নীতিগ্রস্ত বা খারাপ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কেউ আসলে বিশ্বের খারাপ প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে দিতে পারবেন ।
বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ প্রধানমন্ত্রী নিজেদের দেশের জন্য কাজ করে, বা নিজেদের দেশের স্বার্থে কাজ করছে, দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করছে। তবে কিছু কিছু প্রধানমন্ত্রী রয়েছে, যে সকল প্রধানমন্ত্রী গুলো নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সাধারণ মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। জনগনের মৌলিক অধিকার পূরণ করছে না। জনগণকে বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার করছে। এ ধরনের প্রধানমন্ত্রী কখনো একটি দেশের জন্য ভালো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিগণিত হবে না। আর একটি দেশে যদি ভালো প্রধানমন্ত্রী না হয়, তাহলে সেই দেশটির ধ্বংস অথবা ক্ষতি হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
যে প্রধানমন্ত্রী নীতি- নৈতিকতা সম্পন্ন, জ্ঞানী, স্মার্ট এবং যেকোনো বিষয়ে বিবেকবান সিদ্ধান্ত নেতে সক্ষম, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তারাই মূলত ভালো, স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিগণিত হয়। ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে হলে অবশ্যই জ্ঞানগত চিন্তা ভাবনা থাকতে হবে।। নীতি- নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে। কিন্তু নীতি-নৈতিকতা বহির্ভুত মানুষ, জ্ঞানহীন মানুষ কখনো ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে পারে না। তাদের দ্বারা একটি দেশের কখনো ভালো হতে পারে না।
যদি খারাপ প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা হয় তাহলে এডলফ হিটলারের কথা বলা যেতে পারে। জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারের সম্পর্কে জানে না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। হিটলার ছিলেন সে দেশের তৎকালীন সরকার প্রধান। তিনি যেভাবে বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন, তা ইতিহাসে বিরল এবং তার কারণে মূলত বিশ্বযুদ্ধ তৈরি হয়েছিল। এজন্য অ্যাডলফ হিটলার সারা বিশ্বে একজন খারাপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং এই আর্টিকেলটি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এরকম বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে বা নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেল গুলো দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে আর এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।