ভাষা আন্দোলন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস বাঙালি জাতির জন্য। এ সময় সাধারণত বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করা হয় এবং যে আন্দোলনে সূত্রপাত হয় ১৯৪৭ সাল থেকে। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে 1956 সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের জন্য আন্দোলন করা হয় তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের সবথেকে বড় ত্যাগ স্বীকার করা হয় 1952 সালের 21 শে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেন বলতে গেলে বহু শহীদেরা শহীদ হয়ে যান শুধুমাত্র নিজের মাতৃভাষা বাংলার জন্য। সাধারণত বাংলায় সংগঠিত সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক আন্দোলনের এই মৌলিক অধিকার অর্জনের আন্দোলনে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল একেবারে অবাক হওয়ার মতো।
কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি যে এমন ভাবে কখনো মানুষের ওপর গুলি বর্ষন করা হবে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে যার কারণে তখনকার প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং তিনি ঘোষণা দিয়ে রাখেন। ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নজিম উদ্দিন। ওতো খাজা নজিম উদ্দিন এর নির্দেশনায় এই ভুলের দর্শন করা হয় আর যার কারণে আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি। আর যদি আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিল তাহলে উত্তরে আপনি বলবেন খাজা নজিম উদ্দিন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন
আমরা এখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বাস করছি এবং আমাদের এই রাষ্ট্রের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা এই স্বাধীনতা লাভ করেছি এবং এ যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ গেছে। এমনভাবে এত বড় স্বাধীনতা অর্জন অনেক কম বেশি করতে পেরেছে তাই আমরা আমাদের দেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি এবং স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করছি তার জন্য ওই প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মার মাগফিরাত করে তাদের কাছে ছিল কৃতজ্ঞ থাকতে পারি। 1971 সালে সংঘটিত হওয়া এই যুদ্ধের পেছনে বহু কারণ জড়িত তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে সবকিছু থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বঞ্চিত করা।
1971 সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তার নাম হচ্ছে নুরুল আমিন। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে তিনি পদত্যাগ করেন এবং ১৯৭১ সালে ২৬শে ডিসেম্বর নুরুল আমিন পদত্যাগ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন
মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইয়া ইয়া খান। এই এখানের জন্ম হয় ১৯১৭ সালে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৮০ সালে। ১৯৭১ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি 20 ডিসেম্বর 1971 সালে এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এই সময়টুকু ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু যখন এটা প্রকাশ্যে আসলো যে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার করছে এবং বাংলাদেশের মানুষকে নির্বিচারে মেরে ফেলছে তখন তাদের হার নিশ্চিত তারা এটা বুঝতে পারে।
আর এর কারণে মূলত তারা আস্তে আস্তে সরে যায় এবং পদত্যাগ গ্রহণ করে এবং নতুন সরকার গঠন করতে হয় তবে আগে থেকেই এটা নিশ্চিত তারা যে ভুল করেছে তার অনেক মাশুল তাদের দিতে হবে তাই তারা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই পদত্যাগ গ্রহণ করে।
সর্বশেষ আপডেট তথ্য অনুযায়ী 11 এপ্রিল ২০২২ এ সাহেবা আজ শরীফ দেশের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ 174 ভোটে জয়ী হন তিনি। ২০২৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত ইমরান খানের মেয়াদ পূর্ণ করার জন্য তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৩ সালের পরবর্তী সময়ে নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যে নির্বাচনে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী আসবেন।