পিরিয়ড এই শব্দটি মেয়েদের কাছে খুবই কমন কারণ একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে প্রায় প্রতিটি মেয়ের পিরিয়ড হয়। আর নির্দিষ্ট বয়সের পর যদি কোন মেয়ের পিরিয়ড না হয় তা হলে তাকে অনেক ধরনের সমস্যা ফেস করতে হয়। পিরিয়ড যেকোনো মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কোন মেয়ের যদি পিরিয়ডের সমস্যা থাকে তাহলে বাচ্চা ধারনের অক্ষমতা আসে। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি মেয়ের পিরিয়ড শুরু হয় আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পিরিয়ড ভালো হয়।একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সব মেয়ের পিরিয়ড হয়।
তবে একটি মেয়ের পিরিয়ড কেন হয় এটা কিন্তু অনেকেই আমরা সঠিক ভাবে জানি না। আর মেয়েদের পিরিয়ড কেন হয় এটা জানতে অনেকেই বেশ আগ্রহী। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি মেয়ের কেন পিরিয়ড হয়। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক সময় অনেক ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তাই আমরা যদি আগে থেকে জেনে নিতে পারি মেয়েদের কেন পিরিয়ড হয় অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হবে তাই চলুন এই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
আমাদের মধ্যে অনেক মেয়ের একটি ভুল ধারণা রয়েছে আর তা হলো অনেক মেয়ে মনে করে পিরিয়ড এক ধরনের অসুখ। তবে মেয়েদের জন্য পিরিয়ড কোন অসুখ নয়। এটি একটি মেয়ের দেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। তবে এই পিরিয়ডের সময় একটি মেয়ের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসে। আর এই পরিবর্তন অনেক মেয়ের কাছে যন্ত্রণাদায়ক হলেও এটা কোন ধরনের বড় সমস্যা নয়। তবে একটি মেয়ে যদি না জানে কেন তার পিরিয়ড হয় অবশ্যই এ বিষয়টি জেনে থাকা দরকার। তাহলে অনেক বিষয়ে বুঝতে সুবিধা হবে। তাই চলুন কেন মেয়েদের পিরিয়ড হয় তা জানি।
মেয়েদের পিরিয়ড যার কারনে হয়
পিরিয়ড নিয়ে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের মনে পিরিয়ড সম্পর্কে বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আর সেই প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি হলো কেন মেয়েদের পিরিয়ড হয় আর এর সঠিক কারণ কিন্তু অনেক মেয়েই কিন্তু জানেনা। তবে পিরিয়ড কেন হয় এই বিষয়টি জানার আগে জানতে হবে পিরিয়ড কি। মেয়েদের জরায়ু যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং প্রতিমাসে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে যে রক্ত ও জরায়ু থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে সেটাকে পিরিয়ড বলা হয়। তবে এটা হওয়ার কারণ রয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে কিন্তু মেয়েদের পিরিয়ড হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একটি মেয়ের যখন ১০ থেকে ১২ বছর হয় তখন তার পিরিয়ড হওয়া শুরু হয়ে যায় আর যখন বয়স ৪০ হয় তখন এটা আস্তে আস্তে বন্ধ হওয়া শুরু হোক করে দেয়। তবে অনেক সময় নয় বছর বয়সেই একজন মেয়ে প্রজননে সক্ষম হয়। আর পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর মেয়েরা চাইলেই গর্ভ ধারণ করতে পারে। তবে শরীর পুরোপুরি গঠন হতে বিশ বছর অবধি সময় লাগে। তবে অনেক মেয়ের কাছে পিরিয়ড হওয়াটা বিরক্তিকর সমস্যা বলে মনে হয়। তবে পিরিয়ড সঠিকভাবে না হলে বাচ্চার ধারণ করতে পারবে না।
মেয়েদের পিরিয়ড কেন হয় এটা কিন্তু অনেকেরই জানা নাই আর এটা জানতে আপনারা যারা আমাদের এখানে এসেছেন আমি তাদের জন্য বলছি মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাচ্চা জন্মদান। কোন মেয়ের যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে সে কখনো মা হতে পারবে না। এছাড়াও প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে একটি মেয়ের শরীরে বদ রক্ত জমে। আর সেই রক্তগুলো পিরিয়ডের মাধ্যমেই মেয়েদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় প্রতিমাসে। পিরিয়ড হওয়ার অন্যতম কারণ হলো মেয়েদের শরীল থেকে এ ধরনের বদ রক্ত গুলো বের হওয়া।
পিরিয়ড হওয়াটা যেকোনো মেয়ের জন্য স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে একটি মেয়ের কেন পিরিয়ড হয় এটা যদি একটি মেয়ে না জানে অনেক সময় এটা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা জন্ম হয়। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে মেয়েদের পিরিয়ড কেন হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিলাম। যেহেতু নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে প্রতিটি মেয়ের প্রতি মাসে পিরিয়ড হবে। তাই একটি মেয়েকে অবশ্যই জানতে হবে কেন পিরিয়ড হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে।