সপ্তাহের ছয় দিন যোহরের নামাজ চার রাকাত ফরজ পড়া হয়ে থাকলেও জুমার নামাজ দুই রাকাত কেন পড়া হয় এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। জুমার নামাজ মসজিদে একত্রিত হয়ে যোহরের ওয়াক্ত হলেই পড়া হয়। তবে জুমার নামাজ দুই রাকাত যেহেতু আমরা ইমামের সাথে পড়ে এসেছি সেহেতু এ বিষয়ে অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করি না আবার অনেকেই এ বিষয়ে জানতে আগ্রহ দেখায়। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে জুমার নামাজ দুই রাকাত কেন পড়া হয় সেটা আলোচনা করব।
ধর্মীয় বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন যখন আপনারা করবেন তখন অবশ্যই সেটার উত্তর জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অর্থাৎ কোন বিষয়ে জানতে চেয়ে সেটা যে জানতে পারবেন না এমনটা হবে না। মানব মনে প্রশ্নের উত্থান হতেই পারে এবং সেই জায়গা থেকে আপনারা বিভিন্ন প্রশ্নের যখন উত্তর জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। এখানে যেমন আপনারা ভিজিট করেছেন এবং জুমার নামাজ সম্পর্কে অবগত হতে চাইছেন সেহেতু আপনাদেরকে আমরা এটা জানিয়ে দিতে পারলে আশা করি আপনাদের মনের এই প্রশ্নগুলো দূর হয়ে যাবে।
শুক্রবারের দিন আমাদের জুমার দিন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং সরকারিভাবে এই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। কর্মজীবনের ব্যস্ততার ক্ষেত্রেও এই দিন কর্ম বিরতি রাখা হয় যাতে করে একটা মানুষ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে এবং জুমার দিনের এবাদত করতে পারে। যেহেতু আমাদের মুসলিম প্রধান দেশে এই দেশের মানুষ গুলো শুক্রবারের এই দিন ছুটি কাটিয়ে সুন্দরভাবে মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন।
তবে অন্যান্য দিনের চাইতে জুমার দিনের আযান যেমন আগে হয়ে থাকে তেমনি ভাবে নামাজ শুরু করার ক্ষেত্রেও মোটামুটি ভাবে 5-10 মিনিট অথবা ১৫ মিনিট লেট করা হয়। তবে আপনারা যেহেতু এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছেন যে জুমার নামাজ কেন দুই রাকাত আদায় করা হয় সেহেতু বলবো যে জুমার নামাজ প্রকৃতপক্ষে চার রাকাত হয়ে থাকলেও এখানে দুই রাকাত আদায় করা হয় অন্য একটি কারণে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন জোহরের নামাজের পূর্বে কোন ধরনের খুতবা প্রদান করা না হয়ে থাকলেও কিন্তু জুমার নামাজের দিন বেশ কিছু সময় ধরে বাংলা এবং আরবিতে খুতবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
যেহেতু জুমার নামাজ পড়া ওয়াজিব সেহেতু আপনারা মসজিদে ইমামের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবেন এবং যদি জুমার নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে কিন্তু ফরজ নামাজ আপনাদেরকে আদায় করতে হবে। তবে জুমার নামাজ কেন দুই রাকাত করা হলো সে প্রসঙ্গে উত্তরে বলব যে আমরা যে খুতবা শুনি সেখানে কিন্তু দুই রাকাত নামাজের ওয়াজিব পালন করা হয়ে যায়। আর বাকি দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আমরা ইমামের সঙ্গে আদায় করে থাকি।
জুমার নামাজে দুই আজান কেন
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন জুমার নামাজে দুই আযান দেয়া হয় কেন। নিয়ম অনুযায়ী জুমার নামাজ শুরু করার আগে যখন ইমাম সাহেব মেম্বারে বসবেন তখন আযান দিতে হবে উচ্চস্বরে। তাছাড়া দ্বিতীয় আযান কেন দেওয়া হয় সে প্রসঙ্গে কিন্তু একটি ঘটনা রয়েছে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে মুসলমানগণ দ্বিতীয়বার আযানের মাধ্যমে নিজেদেরকে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুত করবে। তবে এটা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত না হয়ে থাকলেও এটা সাহাবীদের সুন্নত হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
জুমার ফরজ নামাজ কত রাকাত
জুমার ফরজ নামাজ কয় রাকাত সে প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্য উপরের দিকে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করে বসেছি। তাই জুমার নামাজ আপনারা নিয়ম অনুযায়ী পড়বেন এবং প্রত্যেকেই মসজিদে আযান দেওয়ার আগেই উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা কাজ। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা জুমার ফরজ নামাজ সম্পর্কে বুঝতে পারলেন এবং এ প্রসঙ্গে যদি কারো কোন আরো ব্যক্তিগত প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন লিখে জানিয়ে দিলে সে অনুযায়ী উত্তর প্রদান করা সম্ভব হবে।