বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের খোকার সাধ কবিতার একটি লাইন হল-বলবো আমি আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকো”। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখাবো যে কাজী নজরুল ইসলাম অর্থাৎ খোকা তার মাকে আর সে মেয়ে কেন বলবে সেই বিষয়টি আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তবে তার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে আমাদের এই পোস্টটি একেবারে মনোযোগ সহকারে দেখে যেতে হবে।
আর যদি আপনি মনোযোগ সহকারে দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝে নিতে পারবেন খোকা কেন আমাকে আলসেমি বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন। তবে তার আগে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের জন্য কি করেছেন তিনি কেমন ধরনের কবিতা লেখেন সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিদ্রোহী কবি। তিনি সমাজের অন্যায় অবিচার এমনকি শাসন শোষণের বিরুদ্ধে তার লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ করে গেছেন সারাটি জীবন ধরে। আমাদের এই জাতীয় কবির জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে। তিনি খুব গরীব ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর এই কারণে তার স্কুলে যাওয়া হয়তো হয়নি। কিন্তু তার জ্ঞানের পরিধি এতই ছিল যে কেউ তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
জাতীয় কোভিদ জীবনটা ছিল অন্যরকম। তার সেই পর খাওয়া জীবনে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে উপলব্ধি করেছেন। ভারতবর্ষের আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন এই কারণে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবং জেলে বসেই কাজী নজরুল ইসলাম তার বিখ্যাত কবিতা বিদ্রোহী লিখেছিলেন। বিদ্রোহী কবিতা লেখার পরই তার নাম হয় বিদ্রোহী কবি। আজকে আপনারা জানতে এসেছেন এই বিদ্রোহী কোভিদ একটি লেখা আর তা হল খোকার সাধ কবিতার একটা লাইন যে লাইনে লেখা ছিল খোকা মাকে আলসেমি বলেছেন কেন। এই লাইনটি নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সামনে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে যাব।
খোকার সাধ কবিতার কথা
খোকার সাধ কবিতাটি শুধু গ্রাম বাংলা নয় একটি খোকার বা যে বয়সে যে বয়স পর্যন্ত একজন ছেলে খোকা থাকে সেই বয়স পর্যন্ত সকলের কথা বা সকল প্রকার কথা। খোকার সাদ কবিতাটি তাই সকল খোকার কথা নিয়েই এখানে লেখা হয়েছে। ছোট্ট ছেলেদের মনে কি ধরনের কথা জাগে সেই কথাগুলো প্রস্ফুটিত হয়েছে। ছোট ছোট সেই বাচ্চা ছেলে মেয়েদেরকে আমরা ভোর হলে আর ঘরে রাখতে পারি না কিন্তু মা-বাবারা চেষ্টা করেন যে আরও সকাল পর্যন্ত তার যেন ঘুম হোক।
কিন্তু এই বাচ্চা ছেলে মেয়েরা কখনোই ঘুমোতে চায় না তারা বারবার জেগে ওঠে এবং বাইরের আলোয় বের হতে চায়। তাই এরকম ধরনের কবিতা আরেকটি ছিল সেটি হল কাজী নজরুল ইসলামের সংকল্প কবিতা সেখানেও তিনি বদ্ধ ঘরে থাকার কথা অন্যজন বললেও কবি বলেছিলেন থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে। অনেকটা এই কবিতার সাথে খোকার সব কবিতাটাও মেলে যায়। খোকার সাধ কবিতায় কবি নিজেই খোকা এবং কি কি করবে সে কথাটি তিনি এখানে তুলে ধরেছেন। সূর্যিমামা জেগে ওঠার আগেই খোকা জেগে উঠবে এবং সে সকাল বেলার পাখি হয়ে জেগে উঠবে।
সকাল বেলা পাখি হয়ে জেগে উঠতে চাইলে তার মা যখন বলবে যে, তুমি ঘুমাও কারণ এখনো সকাল হয়নি বাইরে যেতে হবে না। কিন্তু খোকা তখন মাকে বলবে যে তুমি আলসে মেয়ে তুমি ঘুমাও আমি বাইরে যাব।আর এজন্যই খোকা তার মাকে আলসে মেয়ে বলবে। তাহলে আপনারা এখন বুঝতে পারলেন যে খোকা মাকে কেন আলসে মেয়ে বলছে। খোকা তার মাকে আলসেমিয়া বলার কারণ কি সে বিষয়ে আপনারা বুঝতে পারলেন না। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সব ধরনের তথ্য সবার আগেই আপনারা পেয়ে যাবেন বলে আশা করি।