কৃমি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ বাচ্চাদের এই রোগ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু কৃমি রোগ কিভাবে হয় এবং আসলে এটা কি আমরা কি সেটা জানি?আজকে এই আর্টিকেলটি আপনারা সঠিকভাবে লক্ষ্য করুন এখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের কৃমির ছবিসহ কৃমি রোগের লক্ষণ এবং এই রোগের প্রতিকার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে করব। কিরমি হলো এক ধরনের পোকা। কৃমি পেটের মধ্যে হয় এবং এই রোগের সাধারণ লক্ষণ হল পেটব্যথা। বিভিন্ন ধরনের কৃমি রয়েছে। এটি দেখতে অনেকটা কেঁচোর মত।কৃমির ছবিগুলো দেখে নিন।
বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন রকমের কৃমির পিকচার গুলো আমরা দেখলাম। ফিতা কৃমি ,গোল কৃমি , সাদা ক্রিমি, চ্যাপ্টা কৃমি, লম্বা কৃমি, খাটো কৃমি ,ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের কৃমি হয়ে থাকে মানব শরীরে। তাহলে এটা কতটা ভয়ানক হতে পারে একবার কল্পনা করে দেখুন। এত বড় একটা জীব অর্থাৎ এত বড় একটা পোকা যদি মানুষের শরীরে বসবাস করে তাহলে মানুষের শরীর থেকে সমস্ত পুষ্টিগুণ এরা শুষে নেবে। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয় কৃমি।
কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বৃহৎ পরজীবী। এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেচে থাকে এবং বংশ বৃদ্ধি করে। কৃমি অনেক ধরনের আছে । আমাদের দেশে কেঁচো কৃমি, বক্র কৃমি, চাবুক কৃমিতে আক্রান্তের হার বেশী।
স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিনের অভাব, পরিষ্কার ও নিরাপদ পানীয় জলের অভাব এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব কৃমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ। কৃমি রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। অসুস্থকর পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার এই রোগের কারণ।স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা না থাকার কারণে বা কাঁচা পায়খানা, নদীতে, খালে, উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করার কারণে পানি ও মাটিতে কৃমির ডিম ছড়িয়ে পড়ে। এসব মাটিতে ও পানিতে উৎপন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল কাচা খেলে অথবা কৃমির ডিম বাহিত দূষিত পানি পান করলে কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এছাড়া খালি পায়ে হাটার ফলে পায়ের নিচ দিয়ে হুক ওয়ার্ম বা বক্র কৃমির লার্ভা শরীরে প্রবেশ করে কৃমি রোগ সৃষ্টি করে।
পেটে কৃমির সংক্রমণ হল একটি অতি সাধারণ ধরনের সংক্রমণ, যা সাধারণত দরিদ্র সামাজিক অর্থনীতি এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সাথে জড়িত। এটি হুইপওয়ারমস, টেপওয়ারমস, হুকওয়ারমস, থ্রেডওয়ারমস, এবং রাউন্ডওয়ারমসের কারণে হতে পারে। এই পরজীবীটি উৎপন্ন হয় মানুষের শরীরের ভিতরে মূলত পেটে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এই রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। শুধু মানুষ নয় বিভিন্ন ধরনের পশুদের পেটেও কিন্তু প্রেমে বসবাস করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য।
পরজীবীর কারণে হওয়া পেটে কৃমির সংক্রমণ বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণ কারণগুলি, যার ফলে একটি ব্যক্তি সংক্রামণ প্রবণ হয় তার মধ্যে রয়েছে:
1/পরিচ্ছন্নতার অভাব।
2/কাঁচা অথবা রান্না না করা খাদ্য গ্রহণ করা।
3/সংক্রামিত খাদ্য ও জলের সংস্পর্শে আসা।
4/খালি পায়ে অপরিচ্ছন্ন স্থানে হাঁটা।
5/দূষিত মাটির সংস্পর্শে আসা।
6/দূষিত বস্তুর সংস্পর্শে আসা যেমন প্লেট, খাবার জিনিস, খেলনা, টয়লেট সিট, বিছানা ইত্যাদি।
তাই আমরা সচেতন হব এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বসবাস করার চেষ্টা করব। কৃমি হলে কৃমি ধ্বংস কারোক বিভিন্ন প্রতিরোধক মূলক ঔষধ বাজারে বিক্রি করা হয় সেগুলো সেবন করার মাধ্যমে আমরা কৃমি থেকে মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু যে কোন ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করলে এই ধরনের রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
কৃমি আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু এই কৃমি পেটের মধ্যে দেখতে কেমন এটা জানার পর আমরা আরও সচেতন হয়ে যাব। মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হাস পায় কৃমি রোগের মাধ্যমে। একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত ঘটে। এটি একটি পরজীবী যা মানুষের শরীরে বসবাস করার মাধ্যমে মানব শরীর থেকে খাদ্য শোষণ করে। আমরা কৃমি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি এই তথ্যগুলো জানতে পেরে ,আমরা আরো সচেতন হওয়ার চেষ্টা করব।