আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি নাম

মহান আল্লাহপাকের 99 টি নাম যদি সংগ্রহ করার জন্য ভিজিট করে থাকেন তাহলে এই 99 টি নাম আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে প্রদান করা হলো। মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি যদি অর্জন করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি ইবাদত সঠিকভাবে পালন করার পাশাপাশি এই ৯৯ টি নাম ধরে তাঁকে যদি ডাকতে পারেন তাহলে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে থাকেন। যখন আপনি মোনাজাতে আল্লাহ পাকের কাছে কিছু চাইবেন তখন মোনাজাতের নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহপাকের মহিমান্বিত নাম ধরে ডাকতে হয় এবং পরবর্তীতে অনুসরণ করতে হয়। মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিশেষ কিছু মহিমান্বিত নাম ধরে ডাকার পর দরুদ শরীফ এবং ইস্তেগফার পাঠ করার পর মনের হালাল চাহিদা গুলো খুলে বলতে হয়।

মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি আমাদের প্রতিপালন করে আসছেন। সাধারণত একজন ব্যক্তির সঙ্গে যদি আমাদের স্বার্থ সম্পর্কিত কোন বিদ্বেষ ঘটে থাকে তাহলে দেখা যায় যে সেখানে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় এবং কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। কোন মানুষের হয়ে যদি আপনারা কাজ না করতে পারেন অথবা সেই মানুষ যদি তা বুঝতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং সেই সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

কিন্তু দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ পাকের সকল ধরনের নিয়ামত রহমত গ্রহণ করার পরেও আমরা অনেক সময় আল্লাহ পাকের পথে চলাফেরা করিনা এবং বিপথে পরিচালিত হয়। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক এমন দয়াবান যে বান্দাদের প্রতি রুষ্ট হন না এবং বান্দাদেরকে এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দেখতে চান তিনি বান্দা কতদূর যেতে পারে। বান্দা যখন আত্ম উপলব্ধি করতে পারে তখন রবের কাছে ফিরে আসলে তার অতীত জীবনের যাবতীয় ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা চাইতে পারে এবং আল্লাহ পাক এই ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন।

তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে এটা বুঝতে পারলেন যে মহান আল্লাহ পাক আমাদের সৃষ্টি করেছেন বলে তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করেন বলে তিনি ক্ষমাশীল। এরকমভাবে আল্লাহপাক বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত এবং তিনি আমাদের তার গুণের বিশেষ মহিমাগুলো আমাদের জীবনে প্রদান করে থাকেন বলে আমরা চলে ফিরে এ পৃথিবীতে বেঁচে আছি। অর্থাৎ আল্লাহ পাক বান্দাকে যেমন ছেড়ে দিয়ে বান্দার দৌড় দেখতে চান তেমনিভাবে বান্দার সেই দোষে আসলে যখন রবের কাছে ফিরে আসে এবং অঝরে কান্নার মধ্য দিয়ে ক্ষমা চাই তখন আল্লাহপাক সেই বান্দাকে আবার গ্রহণ করেন।

অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে বান্দা যদি কোন ধরনের ভুল করে থাকে এবং সেই বান্দা যদি আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই সেই ক্ষমা গুলো মেনে নেন এবং বান্দাকে দোষ মুক্ত করে দেন। আল্লাহপাকের মহিমা আছে বলে আমরা এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি এবং সকল ধরনের উপাদান গ্রহণ করে খুব সুন্দর মতো নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি। যারা জীবন নিয়ে হতাশ অথবা যাদের রিযিকের ব্যবস্থা হচ্ছে না তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আল্লাহ পাক হচ্ছেন আমাদের রিজিকদাতা এবং তিনি রিজিকের ব্যবস্থা করবেন।

জমিনের প্রত্যেকটা প্রাণীর জন্য তিনি রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন এবং প্রত্যেকটা রিজিক কোন না কোন মাধ্যমে আল্লাহ পাক পাঠিয়ে দেবেন। আল্লাহ পাক যেমন রিজিকদাতা তেমনি ভাবে আমাদের জীবনে যে সকল অবদান রাখেন তাতে করে তিনি যে দয়াবান তা আমরা বুঝতে পারি। আল্লাহপাক আমাদের জীবনে বিশেষ অবদান রাখেন এবং আল্লাহ পাকের অবদানের মধ্য দিয়ে আমরা এখানে বেঁচে আছি বলে অবশ্যই আল্লাহ পাকের গুণান্বিত নাম গুলো প্রশংসা করব।

যেখানে দুনিয়ার জীবনে কোন কিছু হাসিল করার জন্য আমরা মানুষ হয়ে আরেক মানুষের যেভাবে সুনাম করি অথবা যেভাবে লেগে থাকে ঠিক সেভাবে যদি আমরা আল্লাহর কাছে লেগে থাকতাম তাহলে আমাদের জীবন অনেক অনেক গুনে ভালো হতো। তাই দুনিয়াবী জীবনের পেছনে ছুটে বেড়ানোর চাইতে আপনারা যদি আল্লাহর পথে ছুটে বেড়ান তাহলে আল্লাহ পাকের দরবারে আপনার বিশেষ স্থান হবে। তাই এই নামগুলো জেনে নিয়ে আল্লাহ পাকের প্রতি সেভাবেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

Leave a Comment