উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী দশম শ্রেণীর পরীক্ষা হওয়ার পর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যায়ে কলেজে ভর্তি হতে হয়। তারপরে এই দ্বাদশ শ্রেণী অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধ। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়ার জন্য একটি আসনের জন্য কত ছাত্র ছাত্রীর দিনরাত পরিশ্রম করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ভর্তি হতে কোন পরীক্ষা দিতে হয় না।

শুধু জিপি এর উপর ভিত্তি করে ভালো একটি সাবজেক্ট পাওয়া যায় এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় তাদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়। শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয় আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করা সম্ভব।

একটি ছাত্র-ছাত্রী যখন দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হয় তখন এইসব লেখাপড়ার বিভিন্ন তথ্য এবং কলেজ সম্পর্কিত তথ্যাদি সম্পর্কে একদম অবগত থাকে। এইসব সঠিক তথ্য জানা খুবই প্রয়োজন সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য। আজকে আমরা এই ভর্তি বিষয়ক এবং লেখাপড়া বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সকল ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুদের এই তথ্য গুলোর জন্য প্রয়োজন। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয় লেখাপড়া করার আরো পদ্ধতি রয়েছে বাংলাদেশে। যেমন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রয়েছে কারিগরি শিক্ষা টেকনিক্যাল কলেজ।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সে অনিয়মিত ছাত্রদের বেশি লেখাপড়া করতে দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণে যাদের অর্ধায়ন বিরতি পরে এবং যাদের বয়স সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে একটু বেশি হয়ে যায় তারা চাইলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেদের লেখাপড়া কে চালিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া অনেক মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া কেউ চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তাদের জন্য এই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ রয়েছে। যারা কাজ করার পাশাপাশিও ডিগ্রী অর্জন করতে চায় তারা এই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করতে পারবে।

অনেকের প্রশ্ন থাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট কে কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়?এই প্রশ্নের উত্তর হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট কে বেশি মূল্য দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে ,যারা স্বাভাবিক একাডেমিকভাবে লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না তারা যদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় তাদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি আশীর্বাদ স্বরূপ।সাধারণত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের চেয়ে সাধারণ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত মানের দিক থেকে এগিয়ে। তাই সেটির গ্রহণযোগ্যতাও বেশী। কিন্তু তারপরেও আপনার জব পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

কারণ আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি জন্য আবেদন করলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারভিউ নিয়ে তারা আপনাকে চাকরি দিবে। সূতরাং এখানে সার্টিফিকেট খুব একটা মূল্যায়ন হয় না বরং আপনি ইন্টারভিউ পরীক্ষা কি করলেন সেটা হচ্ছে দেখার বিষয়। তবু কিছু কিছু বিশেষ কোম্পানি তারা বিশেষ ভাবে সার্টিফিকেট মূল্যায়ন করে।তাছাড়া আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও কিন্তু সার্টিফিকেট খুব একটা মূল্যায়ন করা হয় না। আপনি ভর্তি পরীক্ষা কত নাম্বার পেয়েছেন সেটা মূল্যায়ন হয় মূল্যায়ন হয় আপনার একাডেমিক রেজাল্টের কিন্তু সার্টিফিকেট আপনার কোন কলেজ বা কোন বোর্ড ইত্যাদির মূল্যায়ন কিন্তু করা হয় না। মূল্যায়ন হয় আপনার জিপিএ কত ?

ঢাকা শহরের উত্তরে গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজারে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাম্পাস অবস্থিত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সংগঠনের জন্য সারা দেশে রয়েছে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি কো অর্ডিনেটিং আফিস এবং ১০০০টিরও অধিক টিউটোরিয়াল কেন্দ্রের বিশাল নেটওয়ার্ক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে সাতটি একাডেমিক অনুষদক বা স্কুল এবং ১১টি প্রশাসনিক বিভাগ।বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯৯২) অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ড বোর্ড অব গভর্নরস, একাডেমিক কাউন্সিল, স্কুল, পাঠ্যক্রম কমিটি, অর্থ কমিটি প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেও অনেক যুবক-যুবতী নিজের ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরো যেকোনো তথ্য জানার থাকলে আপনারা আমাদের অন্য আর্টিকেলগুলো ফলো করতে পারেন। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল দ্বারা আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment