আল্লাহর পছন্দের মেয়েদের নাম | আল্লাহর কাছে মেয়েদের প্রিয় নাম

যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী রয়েছেন তারা আল্লাহ পাকের পছন্দের নাম গুলো রাখতে পারেন। আল্লাহ পাকের কাছে মেয়েদের প্রিয় নাম কোনগুলো সেগুলো যদি আপনারা জানতে পারেন তাহলে সেই নামগুলো হয়তো মেয়ে বাচ্চাদের নাম রেখে দিতে পারেন। পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুসরণ করতে গিয়ে আপনারা যখন কোন নাম রাখেন এবং পরবর্তীতে সেই নামের অর্থ যখন শয়তান কেন্দ্রিক হয়ে থাকে তখন কেউ হয়তো এই নাম ধরে ডাকার ক্ষেত্রে শান্তি খুঁজে পাবেন না। তাই একটা মানুষের নামের যখন সার্থকতা থাকবে অথবা সেই নাম যখন আল্লাহর পছন্দের নাম অথবা প্রিয় নাম হবে তখন সেই নাম ধরে ডাকার মধ্যেও এক অন্য ধরনের শান্তি খুঁজে পাবেন।

কোন একজন মানুষের নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সঠিকতা অবলম্বন করার চেষ্টা করব। যারা মুসলিম ধর্মের অনুসারী আছে তারা হয়তো বাচ্চার জন্মগ্রহণ এর সাত দিনের ভেতরেই আকিকা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ইসলামিক নাম রাখা হয়। তাই পিতা মাতার নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী আপনারা যারা নাম রাখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে ইসলামিক নাম গুলো নিয়মিত ভাবে প্রদান করে থাকি। আর যারা নামের অক্ষরের চাইতে সুন্দর নাম কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে সুন্দর সুন্দর নাম গুলো প্রদান করছি।

প্রকৃতপক্ষে এই নামগুলো হয়তো আপনাদের কাছে সেকেলে বলে মনে হতে পারে অথবা এ সকল নামের প্রতি যাদের মহাব্বত রয়েছে তাদের কাছে অত্যন্ত মধুর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আপনারা যখন একটা ইসলামিক নাম রাখবেন অথবা আল্লাহ পাকের পছন্দের নাম রাখবেন তখন দেখা যাবে যে এই নামের মধ্যে এক অন্য ধরনের প্রশান্তি আছে। অর্থাৎ নাম ধরে ডাকলে আপনারা আল্লাহপাকের প্রিয় নাম হওয়ার কারণে স‌ওয়াব যেমন পেয়ে যাবেন তেমনি ভাবে এই নামের ভেতরেও সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন।

তাছাড়া এই নামগুলো ধরে ডাকার ক্ষেত্রে আপনারা যত বেশি ডাকবেন তত বেশি আপনাদের ভেতরে রহমত চলে আসবে অথবা আপনারা মনের দিক থেকে ততটাই আনন্দ খুঁজে পাবেন। প্রকৃতপক্ষে একটা মানুষ যখন আল্লাহ পাকের কাছে কোন কিছু চেয়ে নেওয়া শেখা যায় অথবা আল্লাহ পাকের প্রদান করা বিষয়গুলো গ্রহণ করে আনন্দ পায় তখন তার কাছে পৃথিবীর অন্য কোন বিষয়ের তেমন মূল্য থাকেনা। তাই আপনারা যখন আল্লাহপাকের দ্বারস্থ হয়ে দোয়ার মাধ্যমে কোন কিছু পেয়ে যাবেন এবং সেটা যখন আপনাদের কাছে অলৌকিক বলে মনে হবে তখন আপনারা হয়তো মনে মনে অনেক খুশি হবেন।

আর সেই ক্ষেত্রে আপনারা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে চাইবেন। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করার উদ্দেশ্যে আপনারা খুব সুন্দর সুন্দর নাম গুলো রেখে দিতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে যারা সরাসরি আল্লাহ পাকের প্রিয় নামগুলো চেয়ে নিতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা মেয়েদের নাম গুলো প্রদান করলাম। মেয়েদের এই নামগুলো রাখার মধ্য দিয়ে আপনারা যেমন ইসলামিক প্রথম ধাপ অনুসরণ করতে পারলেন তেমনি ভাবে তাদের বাস্তবিক জীবনে পর্দার বিধান সম্পর্কে অভিভাবক হিসেবে সঠিক জ্ঞান দান করবেন।

তারা নতুনজীবিত, ভাল-বসন্ত, সুখী জীবনযাপন
আনাবিয়াবেহেশতের দরজা, জান্নাতের দরজা
আমন্ত্রিতসাহায্য, যত্ন, সুরক্ষা
অনেকআলো, দীপ্তি, উজ্জ্বলতা, দীপ্তি
ফাতেমাপরিহার করা, পবিত্র, মনোমুগ্ধকর
বাক্যপবিত্র কুরআনের আয়াত, নিদর্শন, প্রমাণ
আইরাসম্ভ্রান্ত মহিলা, সম্মানিত এবং সম্মানিত মহিলা
জোয়াজীবিত, প্রেমময়, যত্নশীল মেয়ে
কোথায়নোবেল, সম্মানজনক
জারাউচ্চ মর্যাদা, উন্নত, পূর্ব জাঁকজমক, রাজকুমারী
নাইরাউজ্জ্বল, উজ্জ্বল, আলোয় পূর্ণ
কিয়ারাছোট্ট কালো, ডাস্কি, গাঢ় কেশিক
জয়নবউদারতা, দানশীলতা, সুগন্ধি ফুল
আবিহাতার পিতা, হজরত ফাতিমার ডাক নাম
হানিয়াবিশ্রামের জায়গা, সুখী হওয়ার জন্য
নেহাপ্রেমময়, স্নেহময়, বৃষ্টি
ময়রাঅনুকূল, প্রশংসনীয়, হালকা, দ্রুত, দ্রুত চলমান
মাহিরাবিশেষজ্ঞ, দক্ষ, প্রতিভাবান, দক্ষ, পারদর্শী
সারাবিশুদ্ধ, সুখী, সুখ, হাসি, আনন্দ এবং আনন্দ
আয়রাদৃষ্টি-ভরাট, চোখ-দুর্বল, সম্মানজনক
আনামআল্লাহর পক্ষ থেকে বর্তমান, মূল্যবান উপহার
মরিয়মকুমারী, রূপক, ধার্মিক, ধর্মপ্রাণ, পবিত্র
আমিরারাজকুমারী, সেনাপতি, উচ্চ জন্মের মেয়ে
আকসাদূরতম, মসজিদের নাম উচ্চতা, সীমা
একটি মৃতদেহচমত্কার, সুন্দর, স্বর্গের একটি সুন্দর হুর
হরেনসুন্দর চোখ, কল্পিত বন্ধু, জান্নাতের নারী
হুমাইরাআরবি নাম থেকে যার অর্থ লালচে! আয়েশা রা.-এর টাইটেল নাম যিনি তার সর্বোচ্চ অর্জনের জন্য চেষ্টা করেন!
আর্যহিন্দু অর্থ: সম্মানিত; উন্নতচরিত্র
আফরিনসুন্দর, সাহসী, প্রশংসা, উদ্দীপনা, প্রশংসা, ভাগ্যবান, উত্সাহ
রুহিআধ্যাত্মিক, আত্মার, রহস্যময়, পবিত্র

কারণ এখনকার অভিভাবক সন্তানদের ইসলামিক নাম রাখার পরও একটু বড় হলেই তাদেরকে গান-বাজনার ভেতরে যেমন প্রবেশ করিয়ে থাকেন তেমনি ভাবে ইসলামিক জ্ঞান আর দিতে চান না। দিনশেষে যখন সেই মেয়েটি কোন অপরাধ করে তখন আপনারা হয়তো মনে করেন যে এটা তারা চলাফেরার ভুল। কিন্তু চলাফেরের প্রথম ধাপে যখন আপনারা তাদেরকে আস্কারা দিয়েছেন অথবা তাদেরকে বাধা দেননি তখন সেটা অভিভাবকের দোষ হিসেবে প্রমাণিত হবে।

তাই সন্তানদের ইসলামিক নাম রাখার পাশাপাশি তাদেরকে ইসলামিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করার পর নামাজের শিক্ষা প্রদান করতে হবে এবং কুরআনের শিক্ষা যদি তার অন্তরে গেথে দিতে পারেন তাহলে দেখবেন যে জীবন সুন্দর হয়ে উঠেছে। তখন আর আপনার মনে কোন আফসোস থাকবে না এবং যখন একটি সন্তান আল্লাহর পথে পরিচালিত হবে তখন তার ভালো কাজের সওয়াব পিতা মাতারাও পাবেন।

Leave a Comment