অনুচ্ছেদ জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও সকল নিহত বেসামরিক বাঙালি ও বাঙ্গালীদের স্মৃতির জ্ঞাতার্থে এটি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এটি সাভারে অবস্থিত। আজকে আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আপনারা অনেকেই দেশের মূল্যবান সম্পদ সম্পর্কে অনুচ্ছেদ চেয়েছেন। আর আজকের তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনারা পেয়ে যাবেন।

যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে চেয়েছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে আপনারা মনোযোগ সহকারে আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ে নিবেন। কেননা আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করছি যেখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেকেই এই অনুচ্ছেদটি খুঁজতে চাইবেন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় এই অনুচ্ছেদটি খুঁজেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য বহুল কোন অনুচ্ছেদ আপনারা খুঁজে পাননি।

আর তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা মনোযোগ সহকারে এই অনুচ্ছেদটি পড়বেন তাহলে সকল কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রত্যেকটা পাঠককে আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করি এটা জানিয়ে যে আমরা যতটা গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করে থাকি। আপনারা যদি ঠিক তদ্রূপ গ্রুপের সাথে আপনাদের চাওয়া প্রবন্ধগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা অনেক কিছুই পাবেন অনেক কিছুই আপনাদের সামনে অনেক পরিষ্কার হিসেবে দেখা দিবে। এজন্য প্রত্যেককে এই সকল প্রবন্ধগুলো পড়ার জন্য বিশেষভাবে জানানো হচ্ছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

:— ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আড়িতে মহাসড়কের পাশে নবীনগর এলাকায় একটি স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। তার পরবর্তীতে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এর নকশা আহবান করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালের জুন মাসে প্রাপ্ত ৫৭ টি নকশার মধ্য হতে সৈয়দ মাইনুল হোসেন নামে একজন সরকারের নকশাটি গৃহীত হয় এবং ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মূল তৃতীয় নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এবং এই স্মৃতিসৌধ

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে মহান বিজয় দিবসের অল্প পূর্বে এটি সমর্থক ঘোষণা করা হয়। প্রকল্পের সাথেই ২০০২ খ্রিস্টাব্দে গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী এখানে একটি অগ্নিশিখা নির্মাণ করা হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধ একটি ইতিহাসের সাক্ষী। আমাদের দেশ বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা লাভ করে এবং সেই থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগ্রাম শুরু হয়। প্রায় নয় মাস রক্ত খেয়ে মুক্তি সংগ্রামের পরে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আর এই স্বাধীনতার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রাখতে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপন করা হয়। এই স্মৃতিস্তম্ভ এবং এর প্রাঙ্গণের আয়তন প্রায় ৩৪ হেক্টর বা ৮৪ একর।

এছাড়াও এর পরিবেশ টনকারী আরো ১০ হেক্টর বা 24 একর এলাকা নিয়ে বৃক্ষরাজি পরিপূর্ণ করে একটি সবুজ বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাতটি ঘটনাকে অবলম্বন করে অর্থাৎ সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করে এই শব্দটি নির্মাণ করা হয়। সেই সাতটি ঘটনা হলো ৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। এই সাতটি আন্দোলন পরিক্রমা বিবেচনা করে এই সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদ

সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আপনারা উপরে দেখতে পাচ্ছেন যে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা এখানে প্রায় ১৫০ শব্দের একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ পাচ্ছেন। এই অনুচ্ছেদটি আপনারা চাইলে যেকোনো জায়গায় যেকোন স্থানে ব্যবহার করতে পারবেন। কেননা এখানে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা যে সকল তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে চান সকল তথ্য এখানে আপনি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যে কোন জায়গায় যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এটি সেভ করে রাখতে হবে আপনার মোবাইল ফোন অথবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের এমনকি আপনি কপি করে যে কোন জায়গায় সেভ করে রাখতে পারেন।

Leave a Comment