দুধ খাওয়ার উপকারিতা

দুধ যে একটি উপকারী খাদ্য সেটা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে গ্রামে যারা গরু পালন করে তারা নিয়মিত দুধ পান করে। বর্তমানে দুর্নীতি এবং ভেজাল মিশ্রিত বাজারে খাঁটি দুধ মেলা ভার। তাই বর্তমানে খাঁটি গরুর দুধের ব্যাপক চাহিদা। বিভিন্ন দুগ্ধ জাতীয় মিষ্টান্ন খাবারের অতিরিক্ত দাম এর ফলে অসৎ দুধ ব্যবসায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দূর থেকে তৈরি ঘি, মাখন, দই ইত্যাদি খাবার খুব বেশি জনপ্রিয়। ‌ দুধ খেতে যেরকম সুস্বাদু তেমনি রয়েছে দুধের অনেক পুষ্টিগুণ। ভরা পেটে যদি প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার দুধ পান করা যায় তাহলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। এটি আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই ভালো। প্রতিদিন নিয়মিত দুধ পান করলে গ্যাস্ট্রিক অম্বল জাতীয় সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর দুধ প্রতিদিন পান করা উচিত। দুধ শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য উপকারী নয় প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের জন্যও দুধ বেশ উপকারী। শারীরিক বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে দুধ নামক আদর্শ খাবার।আমরা সবাই জানি দুধ অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। শিশুকাল থেকে যেকোনো বয়স পর্যন্ত আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তত এক গ্লাস দুধ থাকা খুবই আবশ্যক। দুধকে বলা হয় সম্পূর্ণ খাদ্য।
আমরা যে সব বস্তু আহার করি তাকে আহার্য সামগ্রী বলে। কিন্তু সকল আহার্য সামগ্রীই খাদ্য নয়। যেমন, থোড় সেলুলোজ দিয়ে গঠিত হওয়ায় আমাদের পরিপাক নালীতে পাচিত হয় না। ফলে এটি পুষ্টি সহায়ক নয়। সুতরাং সেই সব আহার্য সামগ্রীকেই খাদ্য বলা যাবে, যা দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি সহায়ক এবং তাপশক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।

এখন আমরা জানবো দুধ খাওয়ার উপকারিতা

দুধে আর কোন কোন খাদ্য উপাদান থাকতে পারে তা লিখতে হবে। খাদ্যের প্রধান উপাদানগুলো হল শর্করা , প্রোটিন, লিপিড, খাদ্য তন্তু, উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক (ফাইটোকেমিক্যাল), খনিজ মৌল , জল , ভিটামিন। খাদ্য দেহের শক্তি জোগায়, দেহকে নানারকম রোগজীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

দুধ পান করার সুফল/ দুধ পান করার উপকারিতা

১, দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়।

২, দেহে সাধারণ বৃদ্ধি সচল থাকে।

৩, আর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৪, স্নেহ জাতীয় খাদ্যের অভাব পূরণ করে।

৫, ত্বক ভালো থাকে।

৬, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

৭, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

৮, মেধাবিকাশে অত্যন্ত জরুরী।

৯, পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

১০, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়াও বিভিন্ন গুণে ভরপুর এই খাদ্যদ্রব্যটি যে কোন বয়সের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত খাঁটি গরুর দুধ পান করতে পারলে আপনার শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। তবে দুধ খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা দুধ খেতে অভ্যস্ত নয় বা যাদের পাকস্থলীর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই সমস্যাটি দেখা দেয়। তবে এটি খুবই ব্যতিক্রম ধর্মী। তাই নিয়মিত দুধ পান করা খুবই প্রয়োজন।

অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গগণ অর্থাৎ যাদের আমরা আইকন বলে মনে করি তাদের খাদ্য তালিকা যদি ফলো করতে চান, তাহলে দেখবেন যে তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই দুধ রয়েছে। তাদের সুন্দর এবং ফিট বডির রহস্য উদঘাটন করে দেখবেন যে তারা নিয়মিত দুধ পান করে। কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ছয়টি পুষ্টি উপাদানের মধ্যে প্রতিটির উপস্থিতি দুধের মধ্যে পাওয়া যায়। এজন্য গবেষকগণ দুধকে আদর্শ খাদ্য হিসেবে আখ্যা দেন।

বাড়ন্ত বাচ্চাকে প্রতিদিন যদি 200 মিলিমিটার করে দুধ পান করানো হয় তাহলেও তার শারীরিক বৃদ্ধি ক্রিয়াশীল হবে। বাচ্চাদের বাড়ন্ত বয়সের দুধ খুবই উপকারী। কিন্তু অন্য খাবারের পাশাপাশি দুধ সামান্য পরিমাণে পান করাই শ্রেয়। কারণ দুধ একটি তরল জাতীয় খাদ্য। তাই অতিরিক্ত দুধ পান না করে প্রতিদিন রুটিন করে সঠিক পরিমাণে দুধ পান করতে হবে।

Leave a Comment