ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিত

আমাদের সকল ইসলামী ভাইবোন তোমরা যারা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাও তাদের সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টায় আমরা চালিয়ে যাই। আশা করি আমরা আমাদের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার স্বপক্ষে তোমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সামর্থ রাখি। আজকে আমরা আমাদের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমাদের সকল ইসলাম ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করব যে ইসলামী বিড়াল পালনের কথা জায়েজ কি না জায়েজ?

আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তোমরা বুঝতে পারবে যে আমাদের ইসলাম ধর্মের পশু পালন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। এবং কোন প্রাণীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না এবং কোন প্রাণীকে পালন করা ইসলামের জন্য হারাম।
তাহলে যেন আজকে আলোচনায় যাওয়া যাক এবং সহজ এবং সংক্ষিপ্তভাবে তোমাদের সাথে ইসলাম ধর্মের এই বিধান সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

প্রিয় ইসলাম ভাই বোন দের জানাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনেক শুভকামনা। বাংলাদেশের একটি মুসলিম প্রধান দেশ। তাই এখানে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি। মুসলিম ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিরা যখন তাদের জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে মুসলিম অনুসারে চলতে চায় তখন সেটা খুবই প্রশংসনীয়। ইসলাম ধর্মে কোন কাজকে বৈধ এবং কোন কাজকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে সেটা জানতে চাওয়াটা খুবই ভালো একটি প্রশ্ন। আমাদের বাংলাদেশের ইসলামিক ভাইবোনরা

যখন এরকম বিভিন্ন ইসলামিক বিধান সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় তখন তাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে আমাদের খুবই ভালো লাগে। কারণ মুসলিম হিসাবে আমাদের মুসলমান ভাই-বোনরা আছে ইসলামকে সম্মান করে এবং ইসলামের নিয়ম কানুন মেনে জীবন অতিবাহিত করতে চাই এটাই সেটা প্রমাণ। প্রিয় ইসলামিক ভাই বোনরা আজকে আমরা তোমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তোমাদের যারা যে তাদের ইসলাম ধর্মে কি পশু পালন করা বৈধ অর্থাৎ পশু পালন করা কি কি আল্লাহর পছন্দ করেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই হ্যাঁ বলবো কারণ আল্লাহ বলেছেন আমাদের জীব সেবা করতে। পশু পাখিকে সেবা করলে এবং পশু পালন করলে আল্লাহ খুবই খুশি হন। ইসলাম ধর্মে পশু পালন কে সওয়াবের কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু ইসলাম ধর্মে কিছু কিছু পশু পালন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ যেমন ইসলাম ধর্মে কুকুর পালনকে একদমই নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে। যদিও বর্তমানে কুকুর একটি জনপ্রিয় গৃহপালিত পশু হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ইসলামী বিধান অনুযায়ী কুকুর পালন ভালো নয়।

অধিকাংশ ইসলামী ভাই-বোনরা মনে করেন বিড়াল পালন করাও হয়তো ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ রয়েছে।
কিন্তু না, সকল ইসলামী ভাই-বোনরা তোমরা যদি পরশু পালন করতে পছন্দ করো তাহলে নিশ্চয়ই একটি সুন্দর বিড়াল পালতে পারো। ইসলাম ধর্মে বিড়াল পালনকে জায়েজ বলা হয়েছে। তাই তোমরা সুন্দর একটি বিড়াল এর দায়িত্ব নিতে পারো ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী। বিড়াল সবচাইতে সুন্দর একটি গৃহপালিত পশু। বিড়াল দেখতে এতটাই কিউট যে কেউ বিড়াল পছন্দ করে না। বিশেষ করে বাচ্চারা বিড়াল খুব ভালোবাসে। তাই তোমরা যারা নিজের জীবন সম্পূর্ণভাবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করতে চাও তারা যদি পশু পালন করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই একটি বিড়াল পালতে পারো।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল পালন করা খুবই ভালো একটি কাজ। আল্লাহ এতে অনেক খুশি হন।ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল পালনে কোনো অসুবিধা নেই। তবে বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। বিড়ালের প্রতি যথাযথ দয়া-অনুগ্রহ দেখাতে হবে। বিড়ালকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া যাবে না। তবে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, বিড়াল কোথাও নোংরা বা অপবিত্র করলে— সেটা যেন পরিচ্ছন্ন করে নেওয়া হয়।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল লালন-পালন করা জায়েজ। বিড়াল পালনে ঘরে ইঁদুরের উৎপাত কমে আসে। এছাড়া মাছের কাঁটা, খাবারের ঝুটা খেয়ে আমাদের পরিবেশকেও রাখে সুন্দর ও পরিষ্কার। ইসলামে বিড়াল পালনকে যতটা সমর্থন করা হয়েছে আর কোনো পোষা প্রাণীকে এতটা করা হয়নি। আর বিড়াল খুবই সুন্দর একটি প্রাণী। এখন বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে বিড়াল থাকে। তাই আপনিও যদি চিন্তা ভাবনা করেন যে একটি বিড়াল কি আপনার বাসায় রাখবেন তাহলে আজই একটি সুন্দর বিড়ালকে আপনার বাসায় নিয়ে আসে এবং তার লালন পালন করুন।

Leave a Comment