বান্দরবান নিয়ে ক্যাপশন

আমরা অনেকে আছি যারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বাস করি। কিন্তু বান্দরবানের নাম শুনিনি এমন মানুষ নেই। আমরা অনেকেই আছি যারা বান্দরবান বেড়াতে গিয়ে অনেক ছবি তুললে থাকি। কিন্তু ছবি তোলার পর আমরা ক্যাপশনে কি লিখব সেই ভাষা খুঁজে পাই না। তাদের জন্য আজকে আমাদের এই পোস্ট আমরা বান্দরবান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব আপনাদের। সেই সাথে বান্দরবন নিয়ে বেশ কিছু ক্যাপশন প্রকাশ করব। যে ক্যাপশন গুলো আপনারা চাইলে আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারবেন।

বান্দরবান এমন একটি জায়গা জাদু পাশের সাদা মেঘ, চারিদিকে আঁকাবাঁকা উঁচু উঁচু পথ। হাত বাড়ালে মনে হবে মেঘ ছুঁয়ে দেখা যায়। আপনি বান্দরবান গেলে সূর্যের আলো মাঝেমধ্যে দেখতে পারবেন। বান্দরবানের উঁচু-নিচু পাহাড় গুলো আপনার মনের সৌন্দর্য , আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেবে। আপনি বান্দরবান গেলে বুঝতে পারবেন আপনি প্রকৃতির কতটা কাছে চলে এসেছেন। খুব কাছে থেকে আপনি বান্দরবানের সব কিছু দেখতে পারবেন।

নীলাচল

বান্দরবানের সবচাইতে পপুলার জায়গা হল নীলাচল। আপনি যখন নীলাচল এ যাবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ আপনি নীলাচলে পাবেন। বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে আপনি নীলাচল যেতে পারবেন। নীলাচলের সৌন্দর্য হলো সূর্যাস্ত দেখা। আপনি চাইলে বান্দরবানের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা আছে সেই জায়গাগুলো যেতে পারেন। কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হল নীলাচল। আপনি যখন নীলাচলে যাবেন তখন দেখবেন মেঘ মনে হবে একদম নিচে নেমে এসেছে। আপনি যখন নীলাচলে যাবেন দেখবেন পাহাড় উঁচু-নিচু মেঘ খুব কাছাকাছি।

আপনি নীলা চলে গেলে সেইখান থেকে আপনি বান্দরবান শহর পুরোটা দেখতে পারবেন। কারণ নীলাচল জায়গাটি হল উঁচুতে আর বান্দরবান শহর হল নিচুতে। বান্দরবান শহর বেশ ছোট খুব বড় একটি শহর না। আপনি নীলাচল থেকে দাঁড়িয়ে দূরের আদিবাসীদের ঘরবাড়ি দেখতে পারবেন। আদিবাসীদের ঘর গুলোর ডিজাইন অনেক সুন্দর যা দেখতে অনেক ভালো লাগে।

সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক লীলা

আরেকটি সুন্দর জায়গা আছে সেটি হলো দেবতা খুম। বিশাল বিশাল পাথরের ঢালের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝরনা নদীর দৃশ্য আপনাকে পাগল করে তুলবে। আপনি যখন দেবতা খুবই যাবেন তার আগেই ছোট একটি ঘুম রয়েছে। এই ঘুমে সাঁতার কেটে এবং গাছের শিকড় ধরে ঝুলে ঝুলে যেতে হয় দেবতা খুমে।

এ জায়গাটি দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু এই জায়গা দিয়ে যেতে হলে অনেক সাহসী মানুষ হতে হবে এবং ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হতে হবে। দেবতা কমে যাওয়ার জন্য আপনাকে একটি ভেলা নিতে হবে, আপনারা যত সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন জায়গা ততটাই সরু। এমনও জায়গা আছে যেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত ঢুকে না। অবশ্যই আপনাকে লাইট মোবাইল ফোন খাবার জিনিসপত্র সাথে রাখতে হবে এই জায়গায় গেলে।

জুন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেবতাখুমে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির সময় খুম একদম পানি দিয়ে ভরা থাকে, তাই অনেকদূর পর্যন্ত ভেলা নিয়ে যাওয়া যায়। বর্ষায় খুমের পানি আরও বেড়ে যায়। তখন সেখানে যাওয়া বেশ কষ্টকর। পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

কোথায় থাকবেন

নীলাচল বা বান্দরবান গেলে আপনি কোথায় থাকবেন এ প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে। আপনি বান্দরবান গেলে নীলাচলে অসংখ্য রিসোর্ট হোটেল রয়েছে। আপনি এইখানে বিভিন্ন রিসোর্টে আকর্ষণীয়ভাবে রাতে যাপন করতে পারবেন। রিসোর্ট গুলোর ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা যদি চান তাহলে আরো কম টাকায় থাকতে পারবেন সেখানে কিছু উন্নত মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। যেখানে আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে একটি সিঙ্গেল রুম পেয়ে যাবেন। আপনারা যদি নীলাচল বা বান্দরবান যান অবশ্যই চেষ্টা করবেন সেই হোটেল গুলোর আগে থেকে খোঁজখবর নিয়ে যাওয়ার।

বান্দরবান নিয়ে ক্যাপশন

১. পাহাড় ও যেখানে ঝর্ণাকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। আমি কিভাবে আমার অশ্রুজল লুকিয়ে রাখি?

২. আমার আসলে পাহাড় অনেক ভালো লাগে। কারণ আমার মতো কেউ খুবই গোপনে পাহাড়ের মত উচ্চতায় পৌঁছে যায় নিরবে নিভৃতে।

৩. পাহাড় ভ্রমণ করলে আপনি অন্তত বইয়ের বাইরে ও জীবনে কিছু শিক্ষা পাবেন। পাহাড়ের গম্ভীরতা আপনাকে ভাবতে শেখাবে।

৪. কোন এক পাহাড় তোমার আর আমার অভিসারের সাক্ষী হয়েছিল। প্রকৃতির মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম আমরা।

৫. মানুষ হয়তো আরও বিশাল। কারণ কিছু মানুষের কাছে পাহাড়সম ভালবাসাও তুচ্ছ হয়ে যায়।

৬. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনি একটি পাহাড় সমতুল্য সমস্যা সমাধান করে। আরো একটি বড় পাহাড় সমস্যার সামনে পড়বেন।

৭. একজন পর্বতারোহী পাহাড় চূড়ায় না ওঠা পর্যন্ত উচ্চতা নিয়ে ভাবে না। বরং আপনার আমার উচিত ওই পর্বতারোহীর মতই নিজের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যে পৌঁছে, তারপর নিচের দিকে তাকানো.

৮. কোন এক ভোরে পাখিদের সাথী হয়ে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যকে আলিঙ্গন করা। আপনার জীবনের সবচেয়ে সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

৯. আমিও নিজেকে পাহাড়ের মতই শক্তিশালী করে গড়ে তুলছি। তবুও মাঝে মাঝে দুঃখের ঝরনা বয়ে যায় আমার হৃদয়ের ভেতরে।

১০. পাহাড় আমাকে এই শিক্ষা দেয় যে, তোমার ভীত যত গভীরে থাকবে তুমি তত অটল থাকবে। তোমার বাইরেরটা দেখে কেউ ভেতরেরটা আন্দাজ করতে পারবে না যে, তোমার শিকার কত ভিতরে।

১১. ওই পাহাড়ের চূড়ায় শুভ্র মেঘ জানে। পাহাড়ের বুকে কত অভিমান জমে আছে।

১২. পাহাড় যে নিঃসঙ্গ তা প্রকৃতি ও জানে, তাই হয়তো সবুজের চাদর দিয়ে তাকে ঢেকে দিয়েছে। তাই আমার এই নিঃসঙ্গ জীবনেও প্রকৃতির মতো তোমার ভালোবাসাটা খুব প্রয়োজন।

১৩. ক্লান্ত সূর্যটাও পাহাড়ের ঢালে ঢেলে পড়ে। কত অভিমানে মেঘের জমাটে বৃষ্টি হয় তা পাহাড় ও জানে।

১৪. পাহাড়ের খুব কাছাকাছি থেকে ছিলাম বলেই হয়তো গম্ভীর পাহাড়কে ও আমার নির্ভীক মনে হয়েছে। যেনো পাহাড় ও বলে, কত উদার আমি দেখো। কত বিশাল আমার বুক?

১৫. কোন এক পড়ন্ত বিকেলে পাহাড়ী কোন রাস্তায় এঁকে বেঁকে চলেছিল আমার গাড়ি। শুধু পাহাড় জানত কত দুঃখ লুকিয়ে গিয়েছে আপন মনে।

১৬. পাহাড়কে কখনো চলতে হয় না বরং মানুষই তার দিকে আকৃষ্ট হয়। পাহাড়ের এই বৈশিষ্ট্যকে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

১৭. এক পাহাড় হৃদয় প্রেম নিয়ে তোমার দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। তোমার অবহেলার আঁধারে সেটাও ঢেকে গিয়েছিল।

১৮. বিশাল কোন পাহাড়ের ছোট্ট পাখিরও জায়গা হয়। শুধু তোমার মনে আমার একটু জায়গা হলো না।

১৯. আমিও স্বপ্নে দেখি কোন এক পাহাড়ি ঝরনায় স্নিগ্ধ হয়ে উঠবো। যেন মনে হয় আমিও পাহাড়ের কান্নাকে ছুঁয়ে দিয়েছি।

২০. তোমার আমার মধ্যকার এই পাহাড় সম ব্যবধান ও যেন বাস্তবিক পাহাড়কে হার মানিয়ে দিয়েছে।

২১. তুমি না হয় আমাকে ওই পাহাড়ের বুকে এক বনফুলের মতই আগলে রেখো। কারণ তোমার জীবনে দুঃখ জমে জমে তুমিও যে পাহাড়ের মতই হয়ে যাচ্ছ।

 

Leave a Comment