কুমিল্লা জেলার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে। কুমিল্লা একদিন বিভাগীয় শহর। শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং কর্ম ক্ষেত্রে সারাদেশ থেকে অনেক মানুষ কুমিল্লা এসে বসবাস করছে। এজন্য শহরটির জনগণ লোক সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।। যারা কুমিল্লার স্থায়ী জনগোষ্ঠী নয় এবং যারা বাইরে থেকে কুমিল্লায় আসার জন্য আগ্রহী প্রকাশ করছেন তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারী হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিভাগীয় শহর কুমিল্লা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারা উপকার। কারণ বিভিন্ন নির্বাচনী পরীক্ষায় জ্ঞান মূলক অপশনে কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। আমরা বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি খুবই উপকারী।
কুমিল্লার সবচেয়ে ছোট উপজেলার নাম কি? এ প্রশ্নটি একটি প্রতি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্রশ্ন। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে এ ধরনের সকল তথ্যগুলো জানতে পারবো। প্রথমে জেনে নি কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলার নাম হল মেঘনা উপজেলা।মেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।
বর্তমান কুমিল্লা জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা। শুরুর দিকে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত হলেও পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত মত রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযাগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াঙ কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকে। তার বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া নামক যে স্থানের বিবরণ রয়েছে সেটি থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে জানা যায় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।
কুমিল্লা জেলা (আদিনাম কমলাঙ্ক এর অপভ্রংশ, যার অর্থ পদ্মফুলের দীঘি) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার সংখ্যানুসারে কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত একটি জেলা। এবার কুমিল্লা জেলার সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। তাই নিচের এই স্টেপটি তোমরা সবাই মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করো,,,,
কুমিল্লা জেলা মোট ২৭ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন। , ১৭টি উপজেলা, ১৮টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ১৯২টি ইউনিয়ন, ৩,৬৮৭টি গ্রাম ও ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলার নাম হল মেঘনা।
কুমিল্লা জেলা একটি বিভাগীয় শহর । কুমিল্লা হল শিক্ষা বোর্ড গুলোর মধ্যে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা (ইংরেজি: Board of Intermediate and Secondary Education, Cumilla) বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে। এই শিক্ষা বোর্ড ১৯৬২ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
এছাড়া অনেক মানুষ প্রতি বছর কুমিল্লাতে যায় ছুটি কাটাতে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা কিন্তু বেশ বিখ্যাত।
কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষন রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ময়নামতি জাদুঘরটি একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষন হিসেবে পরিচিত। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজেশ পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন টুরিস্ট স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রাকৃতিক শোভায় সুশোভিত কুমিল্লা জেলায় রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। তাই তোমরা যদি কেউ কুমিল্লাতে ঘুরতে আসতে চাও তাহলে কুমিল্লা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো তোমাদের জেনে নেওয়া উচিত।আশা করি প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি দ্বারা পেয়ে গেছেন। এছাড়াও আমাদের শেয়ার ক্রিত যাবতীয় তথ্য থেকে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন।