সাধারণত স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন বলতে গেলে বলা যায় যে স্বাভাবিকের চাইতে যদি ঘন ঘন পায়খানায় যেতে হয় তখন অবশ্যই পায়খানা তরল হয় এবং এই তরল পায়খানাকেই পাতলা পায়খানা বলা হয়। পায়খানা বিভিন্ন কারণে পাতলা হতে পারে। বিশেষ করে যখন পেটে বিভিন্ন ধরনের গন্ডগোলের সৃষ্টি হয় তখন পেটে পাতলা পায়খানা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ খাবার যখন ঠিকমতো পরিপাক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে পরিপাক হয় না তখন দেখবেন যে বিভিন্ন ধরনের গন্ডগোলের সৃষ্টি হয় এবং বদহজম হয় এই বদহজম হওয়ার কারণে পাতলা পায়খানা হয় বা হতে পারে।
এছাড়াও আরো যে সকল কারণ রয়েছে সেগুলো যদি কোন কারণে পেটে খাবারের মধ্যে কিছু জীবাণু ঢুকে যায় তাহলে অবশ্যই সেই খাবার হজম হতে সমস্যা হয় এবং সেই হজম হতে সমস্যার কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে বা হয়। পাতলা পায়খানা হলে শরীরের পানি শূন্যতা হয় এবং এই পানি শূন্যতার কারণে প্রচুর পরিমাণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার দেখা যায় যে কলেরা আমাশা টাইফয়েড ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের কারণে পাতলা। এত সময় দেখা গিয়েছে যে পেটের পাতলা পায়খানা বা কলেরা হওয়ার কারণে গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা গিয়েছে এবং কলেরা মহামারী আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আর নেই এখন পাতলা পায়খানা সাধারণত সাধারণ রোগ বলেই বিবেচিত হয়।
পাতলা পায়খানা কেন হয়
বিভিন্ন কারণে পেটের অসুখ হয় আর এই পেটের অসুখ হলে পাতলা পায়খানা হয়। তবে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেটে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু প্রবেশ করার কারণেই পাতলা পায়খানা হতে পারে। খাবারের মাধ্যমে সবচাইতে বেশি জীবাণু পেটে ঢুকে এছাড়াও মুখে নোংরা হাত এবং নোংরা কোন কিছু মুখে পড়লে অবশ্যই সেটির কারণেও পেটে নোংরা যেতে পারে। তাই সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে ফুড পয়জনিং। আর এই ফুট প্রয়জেনিং এর কারণে সবচাইতে বেশি পেটের রোগ বা পাতলা পায়খানা জাতীয় বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে আমাদের শরীরে ।
এছাড়াও কোন রোগের পূর্বাভাস থেকেও আমরা দেখি যে এই পাতলা পায়খানা জাতীয় রোগ গুলো হয়ে থাকে। এছাড়াও পেটের বেশিরভাগ অসুখ পানিবাহিত হয় পানিবাহিত হওয়ার কারণে যদি আমরা দূষিত পানি পান করি তাহলে অবশ্যই পেটের পাতলা পায়খানা হতে পারে। তাই পাতলা পায়খানা সারানোর জন্য এখন অবশ্যই আমরা যে ঔষধ গুলি ব্যবহার করে থাকে তার সকলের পরিচিত এবং বাসায় যদি সরাসরি আপনার পাতলা পায়খানা সারানোর ঔষধ নাও থাকে তা আমরা এখন বাড়িতে এসে ই ঔষধ তৈরি করে নিতে পারি। যে ঔষধের কথা বলছি তা বল খাবার স্যালাইন।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঔষধ
পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে হলে আমাদের সাধারণত খাদ্য প্রশাস্য পরিবর্তন আনতে হবে অর্থাৎ যে খাবারগুলো খেলে খুব তাড়াতাড়ি ডাইজেস্ট হতে পারে সেই খাবারগুলো আমাদের খেতে হবে। যেমন ধরুন যদি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে আপনাকে মাড়ি ভাত এবং তার সঙ্গে কাঁচা কলা সেদ্ধ খেতে হবে এছাড়াও আপনি আতপ চাউলের ভাত খেলেও খুব তাড়াতাড়ি এটি হজম হবে এবং তার সঙ্গে পেঁপে সিদ্ধ ভাত খেলেও অনেক উপকার পেতে পারেন। এছাড়াও আমরা দেখি যে, পাতলা পায়খানা হলে সবচাইতে বেশি পরিমাণে অর্থাৎ আপনি
যে পরিমাণ শরীর থেকে পানি বের করবেন সেই পরিমাণের পানি অর্থাৎ খাবার স্যালাইন ভিতরে যুক্ত করবেন অর্থাৎ পান করবেন তাহলে অবশ্যই সঠিক দুর্বল হবে না এবং আস্তে আস্তে পাতলা পায়খানা ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি শিশুদের পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য অবশ্যই একটি জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন তাতে করে পাতলা পায়খানা বন্ধ হবে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই খাবার স্যালাইন কোন মতেই বন্ধ করা যাবে না। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন এবং অবশ্যই সব তথ্য দেখার জন্য পাশে থাকবেন বলে বিশ্বাস করি।