নবজাতকের কাশির ঔষধ

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে নবজাতকের কাশির ওষুধ সম্পর্কে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় নবজাতক বা বাচ্চা শিশুর কাশি হয় বা কফ হয় এজন্য অনেকেই কাশির ঔষধ বা সিরাপ সম্পর্কে জানতে চায়। আবার অনেকেই কি ধরনের ওষুধ খেলে তাড়াতাড়ি নবজাতকের কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং কাঁশি ভালো হয়ে যাবে এই ধরনের বিষয়গুলো জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে।

মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সহজেই কাশির সিরাপ সম্পর্কে জানতে পারে এবং নবজাতকেরা ভালো হয়ে যায় এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে এ বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি নবজাতকের কাশি সম্পর্কে জানতে হলেই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনি এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে জানার মাধ্যমে আপনার ভালো লাগবে।

একটি পরিবারের কাছে একটি শিশু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটি পরিবার হিসেবে পরিবারের শিশুদের আগলে রাখতে চায়, যত্নে রাখতে চায়। শিশুদের যেন কোন ধরনের সমস্যা না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখে। কিন্তু তারপরও যদি কোন বাচ্চা শিশুর কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেই শিশুটিকে নিয়ে পুরো পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সব সময় চায় শিশুটিকে সুস্থ রাখতে। কিন্তু শিশুটি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্য অনেক বেশি চিন্তায় মধ্যে পড়ে যায়।

নবজাতক শিশু সাধারণত কিছু বলতে পারে না। তাই নবজাতক শিশুর কি ধরনের সমস্যা হয়েছে এটা খুব সহজে বুঝা যায় না। আর সমস্যা বোঝে না গেলে চিকিৎসা করা অনেকটা মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু নবজাতক শিশুর মা অবশ্যই সে শিশুটিকে খেয়াল রাখে এবং সেই শিশুটি কি ধরনের সমস্যা বুঝতে পারে। তাই একটি নবজাতক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তার কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে এ বিষয়টি তার মা খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ডাক্তারকে ডাক্তার শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

অনেক সময় দেখা যায় যে নবজাতক বাচ্চার ঠান্ডা লাগতে পারে। ঠান্ডা থেকে সর্দি, কাশির মতো সমস্যা হতে পারে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার যেন কোন ভাবে ঠান্ডা না লাগে। কারণ সর্দি কাশির মতো সমস্যা থেকে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বাচ্চার কোনভাবে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাবধানে রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চাকে গরম পোশাক পড়াতে হবে। কোনভাবেই ঠান্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না।

আবার যে সকল মায়েদের, অভিভাবকদের সব সময় ফ্যানের নিচে বাতাসে থাকার অভ্যাস তাদের একটু সমস্যা হলেও বাচ্চাকে ফ্যানের একদম সামনাসামনি না রাখাই উচিত। অথবা বাচ্চার মুখে সবসময় ফ্যানের বাতাস আসতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ জোরে ফ্যান চালালে বা জোরে ফ্যানের বাতাস হলে শিশু সহ্য করতে পারবেনা। তখন শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। বুকে কফ জমতে পারে। আর এ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

সাধারণত আমরা মনে করি যে যে কোন রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং তা ওষুধ খাওয়ালে শুধুমাত্র সে রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমেও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই ছোট বিভিন্ন বিষয়ে আমরা শিশুকে ঔষধ সেবন না করানোর ভালো।

কফ বা কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে খাওয়ানো ও ঘুম পাড়ানোর আগে উষ্ণ জলে পাতলা কাপড় ডুবিয়ে তা শলাকার মতো করে নাক পরিষ্কার করে দিলে শিশু অনেকে আনন্দ এবং তার কাশিটাও কিছুটা কমে। অল্প সমস্যায় বাচ্চাকে ঔষধ না খাওয়ানোয় ভালো। কাঁশি নিরাময়ের জন্য বাজারে সিরাপের চেয়ে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ হয় মধু, তুলসী পাতার সাথে লেবু মেশানো কুসুম গরম পানি যদি শিশুকে খাওয়ানো এবং এই মধু তুলসী পাতার রস বা লেবু মেশানো কুসুম গরম নিরাপদ পানি দেওয়া যায় বা খাওয়ানো যায় তাহলে অবশ্যই শিশু কফ বা কাশি থেকে থেকে মুক্তি পাবে।

Leave a Comment