ইমোশনাল লাভ মেসেজ

আপনি কি প্রিয়তমা কে ইমোশনাল লাভ মেসেজ দিতে চাচ্ছেন? প্রিয় তোমাকে যখন লাভ মেসেজ প্রদান করবেন তখন আপনার মনের অবস্থা অনুযায়ী যদি ইমোশনাল লাভ মেসেজ প্রদান করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। ভালোবাসার সম্পর্কে যেহেতু ইমোশন প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং একজন আরেকজনের প্রতি চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সেহেতু কোন একটা অপূর্ণ থাকলে সেখানে ইমোশনাল সৃষ্টি হয়ে যায়। তাই আপনারা যদি এরকম সিচুয়েশনে থাকেন অথবা ইমোশনাল সংগ্রহ করে নিয়ে প্রিয় মানুষকে দিতে চান তাহলে আমাদের এখান থেকে তো সংগ্রহ করতে পারবেন।

কোন ভালবাসার সম্পর্কে সেখানে উত্থান পতন ঘটবেই। কারণ দুইজন মানুষ দুই রকম মানসিকতার হওয়ার ফলেও একটা সময় তারা যদি একত্রিত হয়ে থাকে অথবা দুজনের মনের মিল হয়ে থাকে তারপরও কিছু না কিছু বিষয়ে মতের পার্থক্য হয়ে থাকে। আবার আপনি যেমন ঠিক তেমনভাবে তাকে যদি না পান অথবা আপনার চাওয়া পাওয়া গুলো সেই ব্যক্তি যদি পূরণ করতে না পারে তাহলে হয়তো অনেক কষ্ট পাবেন। সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি তার চাহিদাগুলো অথবা তাকে সুখে রাখার জন্য যে বিষয়গুলো পালন করে আসছেন তেমনি ভাবে সেই ব্যক্তি যদি আপনার জীবনে সেভাবে প্রভাব না পেলে তখন আপনার মনে খারাপ লাগবে।

আপনি আপনার জায়গা থেকে যতটা পারছেন কেয়ার করছেন কিন্তু তার জায়গা থেকে যদি কেয়ার না পেয়ে থাকেন তখন মনে হবে যে এই ভালোবাসাই হয়তো সে আপনাকে খুব একটা প্রাধান্য দিচ্ছে না। তাই প্রিয় মানুষকে আপনি কি বিষয় চান সে বিষয়ে বোঝাতে হবে এবং যেখানে আপনার যদি কোন গুরুত্ব না পাওয়া যায় তাহলে সেখান থেকে চলে আসাটাই ভালো হয়। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মেয়েরা অনেক বাস্তববাদী হয়ে থাকে এবং তারা তাদের ইমোশনের জায়গাগুলো খুব কম প্রদর্শন করিয়ে থাকে।

কিন্তু ছেলেরা তাদের ইমোশনের জায়গা গুলো প্রচুর পরিমাণে দেখাতে থাকে এবং ইমোশনের এই জায়গাগুলো দেখানোর কারণে দেখা যায় যে মেয়েরা সেই দুর্বল জায়গা গুলো ধরে ফেলে সেই অনুযায়ী ব্যবহার করতে শুরু করে। আর কোন একটা জায়গায় আপনি যদি এভাবে নিজেকে অবলোকন করতে পারেন যে আপনাকে ব্যবহার করছে অথবা আপনার ইমোশন নিয়ে খেলছে তাহলে মান সম্মান থাকতে থাকতে সেখান থেকে ফিরে চলে আসাটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

তাছাড়া বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গুলো করলে আপনি দেখবেন যে নিজের ক্যারিয়ার অথবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ নিবেশ করতে পারছেন না। একটা মানুষ যখন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন তার কাছে সেই অপর মানুষটি ধ্যান-জ্ঞান হয়ে যায়। ফলে তার বাস্তব জীবনে যে সকল স্বপ্ন থাকে অথবা ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন হয় সেগুলো থেকে সে অনেকটাই দূরে ছিটকে পড়ে। তাই বর্তমান সময়ের যে সকল প্রতিযোগিতা অথবা যে কারণে একটা মানুষ ক্যারিয়ারে খুব একটা ফোকাস করতে পারে না তার এসব কারণে হয়ে থাকে।

তাই সকল দিক বিবেচনা করে বর্তমান সময়ে আমরা যদি নিজ নিজ অবস্থানে দীর্ঘ থাকতে পারি এবং নিজ নিজ অবস্থানে জায়গা থেকে আমরা যদি কখনোই না শুনি তাহলে অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে পারবো। ক্যারিয়ারের জায়গা থেকে আপনি যতটি সম্পর্কে জড়িয়ে থাকুন না কেন যদি প্রিয়তমাকে সময় দিতে চান তাহলে সেটা একান্তই আপনার ফ্রি সময় দিতে হবে। তবে সম্পর্কের মধ্যে চাওয়া পাওয়া থাকবে এবং আপনারা যদি প্রত্যেকটা বিষয় বুদ্ধিমানের মত হ্যান্ডেল করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সম্পর্ক মধুর হবে।

আর যদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি বেশি ইমোশনাল হয়ে থাকেন এবং প্রিয়তমা রাগ করে আছে এবং সেই ক্ষেত্রে মন ভাঙা লো করার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন তাহলে ইমোশনাল মেসেজ এর প্রয়োজন হবে। নিজের মতো করে বোঝানোর পাশাপাশি এখান থেকে আপনারা ইমোশনাল লাভ মেসেজ গুলো পাঠিয়ে দিতে পারলেই প্রিয়তমা যখন আপনার ভালবাসার গভীরতা বুঝতে পারবে তখন দেখবেন যে সকল কিছু সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।

Leave a Comment