খাদ্য কি
খাদ্য হলো মানুষ যা খেয়ে জীবনধারণ করে এবং দেহের পুষ্টি সাধন হয় পূরণ করে থাকে তাই হল খাদ্য। জীবনধারণের তাগিদে এবং জীবনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গভাবে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য মানুষের যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা এই খাদ্য থেকেই পেয়ে থাকে। খাদ্য হিসেবে আমরা সাধারণত যে সকল শাকসবজি ফলমূল বিভিন্ন ধরনের শর্করা জাতীয় পদার্থ রয়েছে সেগুলো খেয়ে থাকি। বেশিরভাগ খাদ্যগুলো আমরা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি।
অর্থাৎ চাল আটা সুজি তেল বিভিন্ন ধরনের ফলমূল মসলা এগুলো প্রায় সবগুলোই উদ্ভিদ থেকেই আহরণ করে থাকি। আবার যে সকল খাদ্য উদ্ভিদ ছাড়া আমরা পাই সেগুলো পরোক্ষভাবে তারা উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল ছিল। যেমন মাছ মাংস দুধ ডিম এগুলো যদি আমরা খাদ্য তালিকায় চাই তাহলে এগুলো একসময় উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই বলা যায় যে বেশিরভাগ খাদ্য মানুষ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ এর ওপর নির্ভরশীল এরকম বস্তু থেকে পেয়ে থাকে।
খাদ্যের প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য রয়েছে। এ সকল বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। যেমন বলা যেতে পারে স্নেহ জাতীয় খাদ্য শর্করা জাতীয় খাদ্য আমিষ জাতীয় খাদ্য তেল চর্বি জাতীয় খাদ্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য ইত্যাদি। মানুষের শরীরের জন্য প্রত্যেক প্রকার খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমরা কখনো এক ধরনের খাদ্য খেয়ে জীবনধারণ করতে পারি না। আমাদের জীবন ধারণ এবং শরীরকে সুস্থভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য অর্থাৎ যে সকল খাদ্যে সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে সে সকল খাদ্য খাওয়ায় অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বলে
মনে করা হয়। শুধুমাত্র মাছ মাংস বা আমি জাতীয় খাদ্য খেয়ে জীবনধারণ করা যায় না যেমন তেমনিভাবে শুধু শর্করা খাদ্য খেয়েও শরীরকে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করা যায় না। সঠিকভাবে শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যে সকল খাদ্যে সব প্রকারের খাদ্য রয়েছে অথবা আলাদা আলাদা ভাবে সব ধরনের খাদ্যই বিভিন্ন সময় খাওয়া উচিত বলে মনে করি। সব ধরনের খাদ্য যদি আমরা খাই তাহলে সুষম খাদ্য হিসেবেই বিবেচিত হয়। কারণ শরীর গঠনের জন্য বা শরীরের সব ধরনের শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন উৎস থেকেই বিভিন্ন শক্তি আসে।
খাদ্যে ভেজাল
মানুষ যেমনি খুব সুন্দর মনে রয়েছে আবার অসৎ মানুষও এই পৃথিবীতে অভাব নেই। শুধুমাত্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাণিজ্য উদ্ধারের জন্য মানুষ যে কোন কাজ করতে প্রস্তুত। তাই মানুষ যে সকল খাবার খায় সে সকল খাবারে বিভিন্ন ধরনের অপদ্রব্য মিশিয়ে বা ভেজাল মিশিয়ে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে। যেমন গুড় তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপদ্রব্য গুড়ের মধ্যে মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে এটি একটি খাদ্যে ভেজাল বলেই বিবেচনা হয়। আবার দেখা যাচ্ছে যে আলু সেদ্ধ করে সেটি বিভিন্ন তেলের মিশ্রণে তরল করে তার মধ্যে কিছু ঘি এর ফ্লেভার মিশিয়ে বা অল্প কিছু ঘি মিশিয়ে সেটিকে ঘি তৈরি করে ফেলছে। এগুলো হল খাদ্যে ভেজাল।
আবার মাছ মাংস কে দীর্ঘ সময় তাজা রাখতে বা পচন রোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয় সেগুলো খাদ্য ভেজাল বলে বিবেচিত হয়। পচনশীল সবজি অথবা পচনশীল ফলগুলোকে পচন রোধ করার জন্য ফরমালিন নামক বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য অতিমাত্রায় মিশে থাকে। এসব কারণে বা এসব রাসায়নিক দ্রব্য মানুষ শরীরের জন্য অনেকটাই হুমকিস্বরূপ। আর এই সকল ভেজাল খাদ্য মানুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগতে পারে। বর্তমান সময়ে খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল মেশানোর কারণে মানুষ বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।তাই খাদ্যে ভেজাল মেশানো অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করে সকলেই। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন।