আপনারা অনেকে আছেন যারা লাভ ক্ষতির নির্ণয়ের সূত্র বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব লাভ ক্ষতির সম্পর্কে। কিভাবে আপনারা খুব সহজে লাভ ক্ষতির সূত্র অনুযায়ী আপনার লাভ ক্ষতি বিষয়টি জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে চাকরি-বাকরি বা অন্যান্য পরীক্ষার জন্য এ লাভ ক্ষতি নির্ণয় সূত্র আসে আপনি যদি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনারা লাভ-ক্ষতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা আমাদের আজকে আর্টিকেলে আপনাদের বেশ কিছু টেকনিক জানানোর চেষ্টা করব যে টেকনিক গুলো দেখে আপনি আপনার লাভ ক্ষতি গুলো বের করে নিতে পারেন।
ক্রয় মূল্য
যেকোনো পণ্য ক্রয় করার সময় আপনাকে পণ্যটি সঠিক দামে কিনতে হবে আপনি যদি পণ্যটি সঠিক দামে কিনতে পারেন তাহলে সেটাকে ক্রয় মূল্য বলা হয়।
বিক্রয়মূল্য
যেকোনো পণ্য কেনার পরে আপনারা চাইলে তা বিক্রি করেন বিক্রি করে যে লাভটা বের হয় সেটা হলো লাভ আর যেটা ক্ষতি হয় সেটা হল ক্ষতি আমরা যে কোন পণ্য কেনার পর যেটা বিক্রি করে সেটাই হল আমাদের বিক্রয় মূল্য। কোনো দোকানদার প্রতি হালি ডিম ৩২ টাকা পাইকারী মূল্যে কিনে সে ভোক্তার কাছে ৩৪ টা মূল্যে বিক্রি করলো। এখানে ওই দোকানদারের জন্য ডিমের হালির ক্রয়মূল্য ৩২ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ৩৪ টাকা। এখন ৩৪ টাকায় কিনে ক্রেতা বাড়িতে গিয়ে দেখল তার ডিমের প্রয়োজন নেই। তখন সে তা তার পাশের বাসার আন্টির কাছে ৩০ টাকায় বিক্রি করে দিলো। এখানে ওই লোকের ক্ষেত্রে আবার ডিমের ক্রয়মূল্য ৩৪ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা।
লাভ কখন হয়
আমরা যখন কেনার সময় ভালো দামে কিনতে পারি তখন আমরা সেই পণ্যটি বিক্রয় করে লাভের মুখ দেখতে পারি। আমরা আজকের একটি গল্পের মাধ্যমে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব কিভাবে আমাদের লাভ হয়। ধরে নেয়া যাক একটি পণ্যের ক্রয় মূল্য ছিল 32 টাকা এবং বিক্রয় মূল্য ছিল 35 টাকা। আমরা ধরে নিলাম ক্রয় মূল্যের থেকে বিক্রয় মূল্য বেশি তাই এখানে লাভ হয়েছে।
লাভ নির্ণয়ের সূত্র, লাভ = (বিক্রয়মূল্য – ক্রয়মূল্য)
তাহলে উপরের ঘটনায় দোকানদারের লাভ = (৩৪-৩২) = 3 টাকা
উপরিক্ত সূত্র থেকে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে লাভ হয়।
ক্ষতি কখন হয়
আমরা যখন কোন পণ্য কিনে থাকি তখন সেই পণ্যটি কেনার পর যখন আমাদের আরো কম দামে বিক্রি করতে হয় তখন আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আমরা এই মুহূর্তে আপনি জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হয়।লোকটি ৩৪ টাকায় এক হালি ডিম কিনে পরে তা পাশের বাসার আন্টির কাছে বিক্রি করে দেয় ৩০ টাকায়। এখানে তার ক্রয়মূল্য ৩৪ টাকার থেকে বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা কম। তাই এখানে ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতি নির্ণয়ের সূত্র, ক্ষতি = (ক্রয়মূল্য – বিক্রয়মূল্য)
তাহলে উপরের ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে = (৩৪ – ৩০) = ৪ টাকা।
লাভ ক্ষতির শর্টকার্ট (সূত্র)
১. কোনো পণ্য x টাকায় বিক্রি করায় y% ক্ষতি হলে ক্রয়মূল্য কত?
এক্ষেত্রে সূত্র হচ্ছে, ক্রয়মূল্য = ( ১০০
×
x)
÷
( ১০০ – y)
২. p টাকায় xটি পণ্য ক্রয় করে q টাকায় কতটি পণ্য বিক্রি করলে y% লাভ হবে?
এক্ষেত্রে সূত্র হচ্ছে, বিক্রয় করতে হবে এমন পণ্য সংখ্যা = (x
÷
p)
×
(১০০
×
q / (১০০ + y)
৩. কোনো পণ্যের বিক্রয়মূল্য x টাকা হলে y% লাভ হয়। এক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য কত?
ক্রয়মূল্য = (১০০
×
x)
÷
(১০০ + y)
৪. কোনো পণ্য বিক্রি করে ক্রয়মূল্যের y% লাভ হয়। এক্ষেত্রে মোট লাভ x টাকা হলে বিক্রয়মূল্য কত?
বিক্রয়মূল্য = { x (১০০ + y)} / y
৫. p টাকায় x টি পণ্য বিক্রি করলে y% ক্ষতি হয়। একই পণ্যে z% লাভ করতে চাইলে p টাকাতেই কতটি পণ্য বিক্রি করতে হবে।
বিক্রয় করে হবে এমন পণ্য সংখ্যা = x
×
(১০০ – y) /(১০০ + z)
৬. xটি পণ্যের ক্রয়মূল্য yটি পণ্যের বিক্রয়মূল্যের সমান হলে শতকরা কত লাভ হবে?
শতকরা লাভ = (x – y)
×
১০০
÷
৫%
৭. x% ক্ষতিতে একটি পণ্য বিক্রি করার পর যদি বলা হয় যে ওই মূল্যের থেকে y টাকা বেশিতে বিক্রি করলে তার ক্রয়মূল্যের উপর z% লাভ হতো তবে ক্রয়মূল্য কত?
ক্রয়মূল্য = (১০০
×
y)
÷
(x + z)
আমরা আজকের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনারা লাভ ক্ষতির বিষয়গুলো বুঝতে পারেন। আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে লাভ-কোটি নির্ণয়ের বেশ কিছু সূত্র আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের লাভ ক্ষতির সুযোগ গুলো মেনে নিতে পেরেছেন।