সপ্তাহের ছয় দিন জোহরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এক রকমের হয়ে থাকলেও জুমার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত আলাদা হয়ে থাকে। তাছাড়া জুমার রাকাত হিসাব অনুযায়ী অনেক বেশি রাকাত হয়ে থাকে এবং এই নামাজ পড়ার প্যাটার্ন আলাদা হয়ে থাকে। তাই জুমার নামাজ নিয়ে আপনাদের ভেতরে যদি কোন কনফিউশন থেকে থাকে অথবা এই নামাজ বিষয়ে কোন তথ্য যদি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভালো করেছেন। কারণ এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে জুমার নামাজ কয় রাকাত ও নিয়ত কিভাবে করতে হয় সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সপ্তাহের এই জুমার দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা দিন এবং এই দিন বেশি বেশি করে দরুদ পাঠ করার পাশাপাশি সূরা কাহাফ পাঠ করা উচিত। এই দিনে আপনি যত বেশি বেশি দরুদ শরীফ করবেন তত বেশি নবীর রহমত এবং মহান আল্লাহ পাকের রহমত পাবেন। তাই জুমার নামাজ আমাদের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি রাখা হয়ে থাকে যাতে করে আমরা এই নির্দিষ্ট দিনে ইবাদত বন্দেগী করতে পারি।
তবে সপ্তাহের ছয় দিন যোহরের নামাজ সব মিলিয়ে 12 রাকাত হয়ে থাকলেও জুমার নামাজের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য দিনের জোহরের ফরজ নামাজ চার রাকাত হয়ে থাকলে জুমার নামাজের ফরজ হল দুই রাকাত। অর্থাৎ আপনি যদি জুমার নামাজ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে কত রাকাত বিশিষ্ট এই নামাজ তা এখান থেকে জানতে পারবেন। এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা জুমার নামাজ সংক্রান্ত তথ্যগুলো প্রদান করছি বলে সেগুলো জেনে নিয়ে নামাজ আদায় করতে পারলে আশা করি সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে।
জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নত কত রাকাত জুমার নামাজের আগে অর্থাৎ ফরজ নামাজ আদায় করার আগে সুন্নত কত রাকাত আদায় করতে হয় অথবা পরে সুন্নত কত রাকাত আদায় করতে হয় এটা কিন্তু আমরা সকলেই কম বেশি জানি। তাই আপনারা যদি ফরজ দুই রাকাত নামাজের আগে কত রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে তা জানতে চান তাহলে বলবো যে এখানে চার রাকাত বিশিষ্ট কাবলাল জুমুয়ার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। আবার ফরজ নামাজ আদায় করা শেষে মোট চার রাকাত বাদাল জুমার ফরজ নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।
জুমার নামাজে খুতবা শোনা অত্যন্ত একটা ফজিলতপূর্ণ ইবাদত এবং এই ক্ষেত্রে আপনি যদি না আজানের আগে মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হতে পারেন তাহলে এটা আপনার সওয়াবের পরিমাণ অন্য লেভেলে নিয়ে চলে যাবে। তাই এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা জুমার নামাজ যে ১০ রাকাত বাধ্যতামূলকভাবে জানতে পারেন সেটার পাশাপাশি মসজিদে প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাহিয়াতুল ওযুর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নিতে পারেন। সেই সাথে আপনারা সুন্নত নামাজ হিসেবে ফরজ নামাজের পরে আরো দুই রাকাত দুখুলিল মাসজিদ এর নামাজ আদায় করতে পারেন।
জুমার নামাজ কত রাকাত কি কি
তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা জুমার নামাজ খুব সুন্দর ভাবে আদায় করবেন এবং এই ক্ষেত্রে বুঝতে পারছেন জুমার রাকাত মোট কত রাকাত এবং কি কিভাবে প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো করে ফরজ নামাজের পর সুন্নত নামাজ শেষ করে আপনারা যদি মনে করেন দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বো তাহলে পড়া যাবে এবং এর নফল নামাজ হিসেবে গণ্য হবে।
মহিলাদের জুমার নামাজ কত রাকাত
পুরুষদের ক্ষেত্রেও যে নিয়ম মহিলাদের ক্ষেত্রেও নামাজের ব্যাপারে একই নিয়ম রয়েছে বলে এক্ষেত্রে আপনারাও একইভাবে নামাজ আদায় করবেন। সংসারের কাজের ব্যস্ততা অথবা সময়ের অভাব অথবা অন্যান্য কারণে আপনারা যদি খুব দ্রুততার সঙ্গেও নামাজ পড়তে চান তাহলে আপনাকে কম করে কাবলাল জুমা চার রাকাত, ফরজ দুই রাকাত এবং বাদল জুমার চার রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। তবে যারা পুরুষ রয়েছেন তারা কখনোই এই নামাজ একা কি আদায় করবেন না এবং জামাতের সঙ্গে খুব সুন্দর ভাবে আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণ করে নামাজ শেষ করতে হবে এবং খুতবা শুনতে হবে।