Geography ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ ভূগোল। মাধ্যমিক পর্যায়ে থেকে ক্লাস নাইন টেনের মানবিক বিভাগের ভূগোল বইটি পড়ানো হয়। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ভূগোল বই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর আয়তন এবং স্থল ভাগ এবং জল ভাগের বিভিন্ন তথ্য জানতে ভূগোল সম্পর্কিত আমাদের আর্টিকেলটি আপনাকে সহায়তা করবে। আজ আমরা আলোচনা করব জিওগ্রাফি এই শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে।
ভূগোল অর্থাৎ ভূমি সম্পর্কিত বিজ্ঞান। ভূগোল পাঠিয়ে পৃথিবীর স্থলভাগের আয়তন এবং স্থলভাগের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। জিওগ্রাফি শব্দটি বাংলা ভাষার শব্দ নয়। এটি একটি গ্রীক ভাষার শব্দ।ভূগোল (ইংরেজি: Geography, যেটি এসেছে গ্রীক শব্দ geographia, থেকে; যার শাব্দিক অর্থ: “পৃথিবী সম্পর্কিত বর্ণনা বা আলোচনা হচ্ছে বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে পৃথিবীর ভূমি, এর গঠন বিন্যাস, এর অধিবাসী সম্পর্কিত সমস্ত প্রপঞ্চ (phenomenon / ক্রিয়া-প্রক্রিয়া) সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচিত হয়। এই শব্দটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে গ্রিক জ্ঞানবেত্তা এরাটোসথেনিস (২৭৬–১৯৪ খ্রিস্টপূর্ব) প্রথম ব্যবহার করেন।
পৃথিবীতে কতগুলো সাগর এবং মহাসাগর রয়েছে , সব জানা যায় ভূগোল পার্টির মাধ্যমে। পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহের অবস্থা কেমন অর্থাৎ মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করতে ভূগোল পাঠ করা হয়। ভূগোল একটি ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। স্কুল পর্যায়ে থেকে উচ্চ শিক্ষাতেও ভূগোল পাঠ করানো হয়। এই বিষয়ের ওপর থেকে অনেক জ্ঞানমূলক প্রশ্ন আসে বিভিন্ন নির্বাচনী পরীক্ষায়। তাই ভূগোল সম্পর্কে আমাদের প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে।
ভূগোলে মানুষের বসবাসের জগৎ ও তার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ ভৌত ভূগোলে জলবায়ু, ভূমি ও জল নিয়ে গবেষণা করা হয়; সাংস্কৃতিক ভূগোলে কৃত্রিম, মনুষ্যনির্মিত ধারণা যেমন দেশ, বসতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন, দালান, ও ভৌগোলিক পরিবেশের অন্যান্য পরিবর্তিত রূপ আলোচনা করা হয়। ভূগোলবিদেরা তাদের গবেষণায় অর্থনীতি, ইতিহাস, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং গণিতের সহায়তা
নেন। সাধারণতঃ প্রায়শই এটিকে প্রাকৃতিক ভূগোল ও মানবীয় ভূগোল নামক দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। ভূগোলের চারটি ঐতিহাসিক গবেষণা পদ্ধতি হচ্ছেঃ প্রকৃতি ও মানবজাতি সম্পর্কিত স্থানিক বিশ্লেষণ, স্থান ও অঞ্চল সম্পর্কিত এলাকা পঠন, মানব-ভুমি সম্পর্ক পঠন এবং ভূবিজ্ঞান।ভূগোলকে “পৃথিবী পঠন-বিভাগ” ও “মানুষ এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মধ্যকার সেতু-বন্ধন” বলেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
geography এর উদ্ভব এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানা দরকার। কারণ নির্বাচনমূলক পরীক্ষায় এই প্রশ্ন আসতে পারে। geography শব্দটির ইতিহাস থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন হতে পারে তাই এর ইতিহাস সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য জেনে রাখা দরকার। প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত এরাটোসথেনিস (২৭৬-১৯৪ খ্রীস্টপূর্ব) পৃথিবীর বর্ণনা অর্থে সর্বপ্রথম এ Geography শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন। Geography→Geo (পৃথিবী)+ graphos (বর্ণনা বা বিবরণ) অর্থাৎ Geography শব্দের অর্থ হলো পৃথিবীর বর্ণনা ।
বাংলা ভাষায় প্রাচীন হিন্দু পুরাণে ব্যবহৃত ভূগোল শব্দটি ‘জিওগ্রাফি’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে; যদিও ভূগোল শব্দটি ‘জিওগ্রাফি’ শব্দের মর্মার্থ প্রকাশ করে না। এ ছাড়া বর্তমান জিওগ্রাফির সংজ্ঞা অনুসারে ‘ভূগোল শব্দটি দিয়ে জিওগ্রাফি শব্দটিকে ধারণ করা যায় না। বাংলা একাডেমির ইংরেজি-বাংলা অভিধানে (তৃতীয় সংস্করণ, ২০১৫) জিওগ্রাফির প্রতিশব্দ ‘ভূগোলবিদ্যা’ বা ‘ভূবিজ্ঞান’ করা হয়েছে, ‘ভূগোল’ নয়। এ কারণে বাংলাভাষা সচেতন অনেক ভূগোলবিদ জিওগ্রাফির প্রতিশব্দ হিসেবে ‘ভূবিদ্যা’ শব্দটির ব্যবহারে অধিক আগ্রহী।
মানচিত্রাঙ্কনবিদ এবং বিভিন্ন স্থানের নাম ও সংখ্যা বিষয়ক অধ্যয়নকারীকে ভূগোলবিদদের সাথে মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়; যদিও অনেক ভূগোলবিদ ভূসংস্থান ও মানচিত্রাঙ্কন বিষয়ে অধ্যয়ন করে থাকেন, তবুও প্রকৃতপক্ষে এটা তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র নয়। জ্যামিতি পাঠের সম্পর্কিত হলো ভূগোল। ভূমি এর পরিমাপ নির্ণয়, তাপমাত্রা এবং পরিবেশ সম্পর্কিত জ্ঞানকে বলা হয় ভূগোল। জিওগ্রাফি শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানতে হবে। জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মূলত তৈরি করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা এই আর্টিকেল থেকে অনেক উপকৃত হবেন।
আমাদের এই ভূগোল সম্পর্কিত আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে নিশ্চয়ই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্ত তথ্য পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই ফলো করবেন।