আমার পণ কবিতা

আপনারা যারা আমার পণ কবিতাটি সংগ্রহ করার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা কবিতাটি পুরোপুরিভাবে প্রদান করলাম। এই কবিতাটি অত্যন্ত বিখ্যাত একটা কবিতা এবং প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে তাদের ছাত্র জীবনে এটা পড়া লাগে। তাই আপনি যখন আমার পণ কবিতাটি সংগ্রহ করার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন তখন লিখিত আকারে অথবা ছবি আকারে এটা প্রদান করলাম।

এই কবিতাটি পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা নিজেদের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারবেন এবং জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য যে সকল শিক্ষা এই কবিতাটির মধ্যে আমরা পেয়েছি সেগুলো অনুসরণ করতে পারলে খুব ভালো হবে। তাই চলুন নিচের দিকে এই কবিতাটি দিয়ে দেওয়া আছে বলে পড়ে দেখার চেষ্টা করি এবং কবিতাটির ভাষা সহজ হয়ে থাকার কারণে যে শিক্ষা আমাদেরকে প্রদান করেছে সেই শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করি।

আমার পণ কবিতাটি লিখেছেন মদনমোহন তর্কালঙ্কার। বিখ্যাত এই কবিতাটিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারি। প্রকৃতপক্ষে আমরা যদি প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই অথবা নির্দিষ্ট কোন জায়গা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই তাহলে দেখা যাবে যে প্রত্যেকটা জায়গাতেই জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে অথবা আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবিতা একটি আনন্দের বিষয় হওয়ার কারণে এটার মাধ্যমে যদি আমরা ছন্দে ছন্দে কোন শিক্ষা পেয়ে যাই তাহলে এটা আয়ত্ত করার ভিত্তিতে জীবনে তা কাজে লাগাতে পারি।

আপনারা যখন কবিতাটি পড়া শুরু করবেন তখন সেখানে দেখবেন যে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যেন মানুষ তার নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করে সে যেন সারাদিন ভালোমতো চলতে পারে। কারণ দিনের শুরুটা যদি ভালোমতো হয় অথবা প্রতিজ্ঞা করার মধ্য দিয়ে হয় তাহলে সেই প্রতিজ্ঞা ভালোর কিছুর জন্য হলে অবশ্যই সেই মানুষের জীবনে সফলতা আসবে।

আবার আমরা যদি আমাদের বাস্তবিক জীবনে গুরুজনদের সম্মান দিয়ে চলি এবং গুরুজন আমাদেরকে যে সকল বিষয়ে আদেশ দিবে সেগুলো যদি মানার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের জীবন অবশ্যই সুন্দর হয়ে উঠবে। কারণ আমাদের গুরুজনেরা একটা সময় বাল্যকালে তাদের সময় গুলো কাটি আসার পাশাপাশি বড় হয়েছেন এবং বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। তাই তাদের জীবনভর যে সকল অভিজ্ঞতা রয়েছে সে সকল অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমাদেরকে যদি শিক্ষা প্রদান করার চেষ্টা করে তাহলে সেই শিক্ষা অবশ্যই আমাদের জীবনে ভালো কিছুর জন্য প্রদান করছেন।

জীবনে চলার পথে আমরা যদি ভালো বন্ধু অথবা ভালো সঙ্গে বেছে নিতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে তাদের মধ্য দিয়ে আমরা প্রত্যেকটি কাজের অনুকরণ করতে পারি এবং ভালো কিছু শিক্ষাই পেতে পারি। ভাই বোনের ভালোবাসা প্রদর্শন করার পাশাপাশি মন থেকে ভালবাসতে পারলেই সেই সম্পর্কগুলো ঠিক হয়ে উঠবে। সেই সাথে ভাই বোনের ভালোবাসার পাশাপাশি অন্যজনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্কগুলো ভালো হবে।

যখন আমাদের জীবনে যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি যদি আমরা করতে পারি তাহলে সফলতার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। বিশেষ করে যখন আমাদের খেলার সময় রয়েছে তখন আমরা খেলব এবং যখন আমাদের পড়ালেখার সময় রয়েছে তখন অবশ্যই অন্য কোনো কাজ না করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করব। তাছাড়া আমাদের আশেপাশে কোন মানুষ যদি দুঃখ কষ্টে থাকে তাহলে তাদের সেই বিষয়গুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা না করে দুঃখের দুঃখী হওয়ার চেষ্টা করব।

তাছাড়া বাস্তব জীবনে আমরা যদি সত্যি কথার মধ্য দিয়ে চলি অথবা সত্য কথা বলার প্রবণতা থেকে থাকে তাহলে যেকোনো ধরনের খারাপ কাজ অথবা অন্যের কাছ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারব।আমরা আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে লোভ সামলে চলবো এবং লোভ যেন আমাদেরকে খারাপ পথে পরিচালিত না করতে পারে সে বিষয়গুলো মাথায় রাখবো।

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে,
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।

লোভের বিষয়টি চলে আসার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমরা যদি উপরের উল্লেখিত প্রতিজ্ঞা গুলো করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই আমার পণ অথবা প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে এই কবিতাটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে যা আমাদের জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়।

Leave a Comment