কমবেশি অনেক মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে এবং এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে হতে একটা সময় তাদের আলসারের সমস্যা হয়ে যায়। তাই গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যায় যদি ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় বলে আপনারা হয়তো সহজ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের সেবা অথবা বিভিন্ন ওষুধের নাম জেনে নিয়ে সেগুলো সেবন করতে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। তবে যে কোন চিকিৎসার ক্ষেত্রেই আমাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সকল ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
যদি কারো গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে তাহলে দেখা যায় যে পেটের মাঝখান থেকে ঘাড় পর্যন্ত সেই ব্যথা উঠতে পারে এবং এটা একজন রোগীকে অনেক কষ্ট দিতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই আলসারের ব্যাথা নিচের দিকে নাভি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু সময় এই আনসারের ব্যথা পিঠের দিকেও চলে যেতে পারে। সাধারণত একজন রোগীর যখন আলসারের ব্যাথা শুরু হয় তখন সেটা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে।
আবার অনেকেই তীব্র ব্যথার কারণে রাতের বেলায় ঘুম নষ্ট করে ফেলেন। তাই আলসারের ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আমরা যদি সঠিকভাবে জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারি তাহলে আশা করি এ ধরনের রোগে আমরা পতিতা হবো না। আলসার যদি একজন রোগীর হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন খাবারের প্রতি বদ হজম সৃষ্টি হয় এবং এটার কারণে পেটের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাছাড়া বদহজম সৃষ্টি করার পাশাপাশি এটা অনেক সময় বুকের ভেতরে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে এবং অনেকটাই গ্যাস্ট্রিকের মত করে এটা বোঝা যাবে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে খাবারের প্রতি একেবারেই অরুচি চলে আসে এবং সব সময় গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেট ফুলে থাকে। আর যখন এই ধরনের সমস্যা গুলো হবে তখন একজন রোগীর খুব বেশি পরিমাণে বমি বমি ভাব আসবে এবং কোন ভাবে সেই রোগে শান্তি পাবে না। এভাবে স্বাস্থ্য হীনতার কারণে আস্তে আস্তে তার ওজন কমে যাবে এবং খেতে না পারার কারণে শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে। তাই কারো যদি আলসার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে সকল ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং যে ওষুধ লিখে দিবেন তাই গ্রহণ করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের সিরাপ
যাদের আলসার হয়ে থাকে তারা মারাত্মক সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং খাবারদাবার থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল ধরনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। তাই আপনি যখন আনসারের সমস্যায় পড়বেন তখন হয়তো ভাববেন গ্যাস্ট্রিক আলসার সিরাপ গ্রহণ করতে পারলে সেটা আপনার জন্য খুব ভালো হবে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছুই গ্রহণ করা উচিত নয় এবং সিরাপের সঙ্গে যদি আরো কোন ওষুধ লাগে তাহলে ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্য বয়স এবং রোগের উপসর্গের উপর নির্ভর করে তা প্রদান করবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমাধান
যখন দেখবেন একজন রোগের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় অথবা তার রক্ত বমি হচ্ছে তখন অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে পায়খানার রং যদি অন্যরকম হয় তাহলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এ সকল সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি একজন রোগীর হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা শুরু হয়ে যায় এবং সময়ের সাথে সাথে তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং খাবারদাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি ডাক্তার যে ভাবে চলতে বলবে ঠিক সেভাবে চলবেন।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ গুলো জেনে নিন
আলসারের লক্ষণ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে যার আনসার হয়েছে সেই ব্যক্তি প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা অনুভব করতে পারেন। সেই রোগের বুকে জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে খাবারে অরুচি ভাব আসবে অথবা তার বমি ভাব হবে। যখনই সেই ব্যক্তি খেতে পারবেনা তখন দেখা যাবে যে সেই ব্যক্তির আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যহীনতা ঘটবে এবং ওজন কমে যাবে। তাই পেটে যখন মারাত্মক পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক জমা হয়ে এটা পাকস্থলীর ক্ষতি করে তখনই আমরা আলসারের রোগে পতিত হয় এবং সেই অনুযায়ী সমস্যার সৃষ্টি হয়।