আল্লাহ মালুম অর্থ কি

বিভিন্ন কথার প্রেক্ষিতে আপনারা যখন আল্লাহ মালুম এই কথাটি শুনে থাকেন তখন এটা আসলে প্রকৃত অর্থ কি সেটা অনেকেই জানতে চান। দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ আপনাদেরকে যদি আমরা জানিয়ে দিতে পারি তাহলে সেটার অর্থ বুঝে নিয়ে আপনারা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেতা ব্যবহার করতে পারেন। আমরা চাইলেই বিভিন্ন শব্দের অর্থ জেনে নিতে পারলে সেটা অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকটা কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে। আপনারা যখন কোন শব্দের অর্থ জানতে চান অথবা সেটা জেনে নিয়ে প্রতিনিয়ত আমল করতে চান তখন এটার অর্থ জেনে নিতে পারলে নিজ মাতৃভাষায় প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।

কোন একটা আরবি শব্দ উচ্চারণ করলে অথবা কোন একটা আরবি আমল প্রতিনিয়ত করছেন কিন্তু সেটার অর্থ জানেন না। আর যখন আপনারা অর্থ জানবেন না তখন সেটা বলতে গেলে আসলে কি বোঝাচ্ছে সেটা আপনাদের কাছে অবগত থাকবে না। নিজ মাতৃভাষায় অথবা অন্য কোন ভাষায় সেটা যদি আপনাদের বোধগম্য না হয় তাহলে অনেক সমস্যা হবে। তাই আপনাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের অথবা আরবি অর্থ জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তাই এখানকার এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনারা যখন আল্লাহ মালুম এই শব্দটির অর্থ জানতে এসেছেন তখন অবশ্যই বলব যে এটার অর্থ হলো আল্লাহ সব জানেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাক হলেন সর্বদ্রষ্টা এবং তিনি এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বিষয় অবলোকন করে থাকেন। তিনি সেই মহান আরশে আজিমে অবস্থান করার পরেও পৃথিবীর বুকে যে সকল পিপড়া চলাফেরা করে তাদের শব্দ পর্যন্ত শুনতে পান। অর্থাৎ আল্লাহ পাক আমাদের সবসময় সাথে আছেন এবং আমরা এই দুনিয়ার জীবনে কি কি করছি তার প্রত্যেকটি বিষয় তিনি আমাদের আমলনামায় রেকর্ড করে রাখছেন।

তাই দুনিয়ার জীবনকে যারা প্রাধান্য দিয়ে অনেক সময় অনেক ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব যে সকল ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসুন। কারণ ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ায় আপনারা হয়তো পরীক্ষার ক্ষেত্রে হিসেবে এখানে এসেছেন এবং এখানে যদি ভালো পারফরমেন্স না করতে পারেন অথবা ভালো কাজের মধ্য দিয়ে জীবনকে পরিচালনা না করতে পারেন তাহলে আখেরাতের জীবনে আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। তাই দুনিয়ার জীবনের সকল ধরনের চাহিদা কম করে আমরা যদি পরকালের জন্য নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি তাহলে সকল দিক থেকে শান্তি পাবো।

কিন্তু মানুষ বড় অধৈর্যশীল এবং মানুষের ভেতরে সব সময় তাড়াহুড়া প্রবণতা কাজ করে বলে খুব দ্রুত কিভাবে অন্যের অন্যায় করে নিজের অবস্থানকে শক্ত করা যায় সেটা চেষ্টা করতে থাকে। তাই আপনাদেরকে এ সকল বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে এবং আপনি যখন মৃত্যুবরণ করবেন তখন আপনার কবরে কাফনের কাপড় ছাড়া আর অন্য কিছু যাবে না। তাই দুনিয়ার জীবনের আমলনামা যদি ভালো থাকে এবং নিজেকে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদতে ব্যস্ত রাখতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আমাদের প্রতি রাজি খুশি হবেন।

দুনিয়ার জীবনে আপনি হয়তো যে কাজটি লুকিয়ে করছেন অথবা লুকিয়ে যে অন্যায়গুলো করছেন সেগুলো অবশ্যই আল্লাহপাক দেখছেন। কিন্তু আল্লাহপাক আমাদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন বলে তিনি হয়তো তাৎক্ষণিক তার প্রতিদান প্রদান না করে পরবর্তীতে কোন মাধ্যমে প্রতিদান প্রদান করেন। তাই আমরা সকল ক্ষেত্রে আমাদের জীবনে আল্লাহ পাকের উপস্থিতি আছে এবং এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা যখন নিজেদের জীবনকে কোন কাজে পরিচালনা করবো তখন ভেবে চিন্তে করব।

আপনারা যখন কোন কাজ করবেন তখন সেটা যেন আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে করা হয় এবং কোন কাজে যেন আল্লাহ পাক নারাজ না হয় সে বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে মানতে হবে এবং করতে হবে। এই পৃথিবীর বুকের প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহ পাক জানেন বলে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং আল্লাহ পাকের আয়ত্তে সকল কিছু রয়েছে।

Leave a Comment