আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার ইবাদতের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত আল্লাহ তালার ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা। যে ব্যক্তি আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার ইবাদতের মাধ্যমে নিজের জীবন অতিবাহিত করবেন,
সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ তালা রহমত বর্ষণ করেন এবং দুনিয়ার জীবনে সফলতা লাভ করার পাশাপাশি পরকালীন জীবনে চির শান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে পারবে। তাই আমাদের উচিত দুনিয়া ও পরকালীন উভয় জীবনের শান্তি লাভ করার জন্য আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন পরিচালনা করা, ইসলামের বিধি বিধানগুলো মেনে চলা এবং ইসলাম পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য ইসলামিক জীবন বিধান তৈরি করেছেন। আর এই সকল বিধান মানুষের মধ্যে জানানোর জন্য বা মানুষকে আল্লাহ তাআলার ইবাদত শেখানোর জন্য, মানুষকে আল্লাহর পথে আনার জন্য, আলোর পথে আনার জন্য ইসলামের পথে আনার জন্য, আল্লাহ তায়ালা বহু নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন।
এ সকল নবী রাসূল আমাদেরকে ইসলামিক জীবন বিধান সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন এবং কিভাবে ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে হবে সেই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। তাছাড়া অনেক নবী-রাসুল আমাদেরকে ইসলামিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা মূলত নবী রাসুলদের দেখানো পথ অনুসারে নিজেদের জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করি এবং আল্লাহর ইবাদত করার চেষ্টা করি।
আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং সর্বশেষ রাসুল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ). তিনি আমাদের সর্বশেষ নবী। তিনি ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনার জন্য যাবতীয় তথ্য দিয়ে গেছেন বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে। তিনি সকল দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরা যদি বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ দেখি তাহলে সে হাদিস গ্রন্থ থেকে আমরা ইসলামিক জীবন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিষয়াবলি সংগ্রহ করে নিতে পারব।
তাই এ সকল হাদিস আমাদের পড়া উচিত এবং হাদিস থেকে আমাদের ইসলামিক জীবন দর্শন শেখা উচিত। যদি কোন মুসলমান ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে চায়, তাহলে আল্লাহ তালার দেওয়া পবিত্র আল-কুরআন অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে হবে। সেই সাথে সাথে বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য হাদিস গ্রন্থ অনুসরণ করতে হবে।
আমাদের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সাঃ) বিভিন্ন ধরনের হাদিস গ্রন্থ রেখে গেছেন, যে সকল হাদিস গ্রন্থে ইসলামিক জীবন পরিচালনার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তাই কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি সে হাদিস গ্রন্থগুলো অনুসরণ করে এবং সেই হাদিস অনুসারে জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করে, তাহলে ইসলামিক জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে পারবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।
এছাড়াও নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস রয়েছে। যে হাদিসগুলো প্রত্যেকটি মুসলমানদের জানা উচিত। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে নামাজ সম্পর্কে তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং নামাজ পড়ার বিভিন্ন নিয়ম দেওয়া হয়েছে। তাই আপনি যদি বিভিন্ন নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ম গুলো জানতে চান, তাহলে আপনি গ্রন্থগুলো পড়তে পারেন। আশা করি এরকম হাদিস গ্রন্থগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য লাভ করতে পারবেন এবং বিস্তারিত দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের ওয়াক্ত। ফজরের ওয়াক্তের মাধ্যমে একটি দিন শুরু হয়। যে সকল ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে দিন শুরু করে, তার মন অনেক ভালো থাকে এবং তার দিনটি আল্লাহর রহমত লাভ করার মাধ্যমে শুরু হয়। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির ফজরের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে একটি দিনের শুরু করা উচিত। তাছাড়াও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা উচিত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হয় এবং ওই বান্দার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত বর্ষণ করেন। ফজরের নামাজ সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন বিধান রয়েছে, সে বিধানগুলো আমাদের জানা উচিত। তাই আপনি ফজরের নামাজ সম্পর্কে জানতে হাদিস গ্রন্থগুলো পড়তে পারেন।