প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার হোমিও ঔষধ

প্রতিটি মানুষের জন্য প্রসাব এর মাধ্যমে শরীরের ভেতর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় বলে এটা একটা মানুষকে প্রশান্তি প্রদান করতে পারে। প্রতিনিয়ত আমরা যে খাবার গ্রহণ করে থাকে সেই খাবার গ্রহণ করার পর পিপাসার জায়গা থেকে এবং খাবারকে হজম করার উদ্দেশ্যে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। শরীরের ভেতরে যে সকল খাবার প্রবেশ করলো সেগুলোর একটা অংশ শরীর বৃদ্ধির জন্য যেমন রেখে দেয় তেমনি ভাবে বর্জ্য অংশগুলো বের করে দেওয়ার মাধ্যম গুলো কাজ করে। তেমনি ভাবে যে পানি আমরা পান করছি সেটা শরীরের ভেতরে পৌঁছে গিয়ে শরীরের ভেতরের রেচন পদ্ধতিতে বেরিয়ে আসে।

তবে যাই হোক দৈনন্দিন জীবনে আমাদের পানি খাওয়া এবং প্রসাবের যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটার সঙ্গে আমরা কেউ অপরিচিত নয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে আপনি যদি প্রসব করতে গিয়ে জ্বালাপোড়া অথবা যন্ত্রণার বিষয়গুলো বুঝতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরী। আর এক্ষেত্রে যারা হোমিও পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তারা হয়তো ওষুধের নাম জানতে চান যে কোন ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

তবে এটা সত্যি যে বর্তমান সময়ে পুরুষের চাইতে নারীদের প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণার সমস্যা গুলো সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যাগুলো যাতে না হয় তার জন্য আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে তুলতে হবে অথবা প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর এই বিষয়গুলো আপনার যদি মেনে চলতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করার মধ্য দিয়ে আমরা সুস্থ থাকতে পারছি।

তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যারা প্রসাবের জ্বালাপোড়ার হোমিও চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের বলব যে সাধারণত হোমিও ডাক্তারেরা কখনোই ওষুধের নাম রোগীদের কে জানিয়ে দেয় না। সেই ক্ষেত্রে নাম সংগ্রহ করতে না পারার কারণে আপনাদেরকে তা প্রদান করতে পারছি না। তবে এরকম ধরনের সমস্যা এলোপ্যাথি চাইতে হোমিওপ্যাথিতে খুব দ্রুত কাজ করে অথবা কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া কাজ করে বলে অনেকেই প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণার বিষয়গুলো হোমিও ডাক্তারকে দেখিয়ে থাকেন। তাই আপনারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম জানতে না পারলেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে এই সমস্যাগুলো দূর করবেন তা অবশ্যই জেনে নেবেন।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার হোমিও চিকিৎসা

প্রসাবে জ্বালাপোড়ার হোমিও চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারলাম না বলে কেউ মন খারাপ করবেন না। তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেটার মাধ্যমে আমরা এই সমস্যাগুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই দূর করতে পারি। আর জ্বালাপোড়া যদি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই দৈনন্দিন জীবনে ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার যাতে কোন ধরনের সংক্রমণ না ঘটে তার জন্য আমাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করাটা জরুরী।

প্রসাবে জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রসাবের জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আপনারা যদি কোন তথ্য জানতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে লেবু পানি পান করার পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলবো। কারণ আপনি যদি হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরে যেমন ভিটামিন সি সরবরাহ করবে তেমনি ভাবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে করে এই সমস্যা গুলোর সম্মুখীন আমরা না হই।

আপনি যত বেশি পানি পান করবেন না খুব দ্রুত আপনার শরীর থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর পদার্থ প্রসবের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে অথবা ভাইরাস থাকলে সেগুলো ধৌত হয়ে বের হয়ে চলে আসবে। আপনারা যদি শসার জুস খেতে পারেন অথবা শসা জাতীয় খাবার খেতে পারেন তাহলে সেটার মাধ্যমেও কিন্তু শরীরের পানি স্বল্পতা পূরণ হয়ে প্রসবের মাধ্যমেই তা ভালো হয়ে যাবে। অনেক বেশি জ্বালাপোড়ার ক্ষেত্রে আপনারা ডাবের পানি পান করতে পারেন এবং এটা শরীরের পরিশোধিত হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তাই উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা অনেক কিছুই বুঝতে পারলেন এবং দৈনন্দিন জীবনে আপনারা যদি পানি জাতীয় খাবার সবচেয়ে বেশি খেতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। উপরের উল্লেখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারলে কোন ওষুধ লাগবে না। তাই সুস্থতাই হল আপনার ভালো থাকার লক্ষণ এবং সুস্থ থাকতে হলে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের পানি পান করার বিকল্প নেই।

Leave a Comment