আমি মোটা হবো কিভাবে

যারা শারীরিকভাবে একেবারে চিকন তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে কিভাবে মোটা হবে। কিন্তু আপনি যদি শারীরিকভাবে ফিট থাকেন তাহলে মোটা হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন যদি ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে তাহলে সেটা হবে পারফেক্ট। কিন্তু উচ্চতার চাইতে ওজন যদি একেবারেই কম থেকে থাকে তাহলে স্থায়ীভাবে আপনি কিছুটা স্বাস্থ্যবান হতে পারেন। তবে মোটা বলতে গেলে যদি চর্বি ওয়ালা স্থুল আকৃতির হতে চান তাহলে সেটা খারাপ দেখাবে এবং ভবিষ্যতে আপনি এটার খারাপ ফলাফল বুঝতে পারবেন। তাই আপনাদের তথ্যের উপর নির্ভর করে আমি কিভাবে মোটা হবে সে প্রসঙ্গে আলোচনা করলাম যা অনেকের জন্য হয়তো উপকারে আসবে।

অনেক মানুষ আছেন যারা শারীরিকভাবে এতটাই পাতলা হয়ে থাকেন যে দেখলে মনে হয় ঝড় আসলেই উড়ে চলে যাবে। তাই হয়তো বন্ধু না হলে আপনাকে অনেক সময় হাসি ঠাট্টার বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত হতে হয়। তাছাড়া যদি একেবারে পাতলা হয়ে থাকেন এবং শরীরে যদি কোন ধরনের শক্তি না পেয়ে থাকেন তাহলে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার ভিত্তিতে নিজেকে স্বাস্থ্যবান করতে পারেন। নিজেদের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সকল ধরনের খারাপ খাবার বাদ দিয়ে যখন ভালো খাবার গ্রহণ করবেন তখন সেটা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবান করে তুলবে এবং আপনি শরীরে অনেক শক্তি পাবেন।

বর্তমান সময়ে আপনার যদি কোন ধরনের ক্ষুধা অনুভব না হয় অথবা ক্ষুদা না থাকার কারণে না খেয়ে না খেয়ে দিনে আরো ওজন কমতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার যদি মনে হয় খেতে ইচ্ছা করছে না অথবা খাবারের প্রতি কোন ধরনের রুচি নেই তাহলে রুচি বৃদ্ধি করার ওষুধ খেলে দেখা যাবে যে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার প্রতি আপনার এক ধরনের ক্ষুধা সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।

তাই যারা শারীরিকভাবে মোটা হতে চান তাদেরকে বলব যে আপনার উচ্চতার চাইতে যেন ভারসাম্য অনুযায়ী ওজন থাকে এবং সেই ক্ষেত্রে যেন ওজন বেশি না হয়ে যায় সেটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন। কারণ শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি রক্তের সঙ্গে মিশে থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হবার পাশাপাশি আপনি শারীরিকভাবে সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন না। তবে ওজন ও উচ্চতা যদি ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে তাহলে সেটা খুবই ভালো হবে এবং নিজেদের শরীরের ওজন ঠিক রাখার জন্য বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারেন।

বাইরে বের হলে যেমন বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া বিক্রি করা হয় সেগুলো থেকে যদি আমরা নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। কারণ ভাজাপোড়া না খেয়ে আমরা যদি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারি তাহলে সেটা ভালো হবে। পুষ্টিকর খাবার বলতে গেলে আপনারা যদি গুগল করে থাকেন তাহলে সেগুলোর লিস্ট পেয়ে যাবেন এবং আপনার পছন্দের পুষ্টিকর খাবার গুলো নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে অবশ্যই উপকারিতা পেয়ে যাবেন। তাই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমরা যদি দুধ, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, খেজুর এই খাবারগুলো খেয়ে থাকে তাহলে খুব ভালো হয়।

তাছাড়া কোন খাবারের প্রতি যদি রুচি না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করব। আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে দেখা যাবে যে খাবারের প্রতি আগ্রহ চলে এসেছে অথবা যে কোন খাবার আমরা রুচি সম্মতভাবে গ্রহণ করছি। তাই এখানকার এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনাদেরকে অন্তত এটা বোঝাতে পারলাম যে মোটা হওয়া মানেই অতিরিক্ত জন্যই বরং স্বাস্থ্যবান হাওয়াকেই আমরা শারীরিকভাবে ও স্থায়ীভাবে মোটা হওয়া বলে থাকি। তাই বাস্তবিক জীবনের শক্তি ও সামর্থ্যবান হওয়ার জন্য অবশ্যই ভালো খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

Leave a Comment