ইকো টেস্ট কিভাবে করে

যারা হার্টের ইকো টেস্ট সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের জন্য এখানে আমরা উল্লেখ করব ইকো টেস্ট কিভাবে করা হয়। ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য গুলো খুব সহজেই জেনে নেওয়া যায় বলে আমরা এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করে থাকে। তবে কোন টেস্ট কেন করা হয় এবং কিভাবে করা হয় সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে এগুলো জেনে নেওয়া আহামরি কঠিন কোন কিছু নাই। তাই আপনারা যখন ইকো টেস্ট করার নিয়ম এখানে জানতে এসেছেন তখন অবশ্যই সেটা জেনে নিতে পারেন।

ইকো টেস্ট এমন এক ধরনের টেস্ট যেখানে আল্ট্রা সাউন্ড ওয়েব ব্যবহার করার মাধ্যমে হার্ট এর বিভিন্ন অংশের ছবি দেখা যায়। তাছাড়া এটা এমন এক ধরনের দ্রুতগতির শব্দ তরঙ্গ যা মানুষের কানে কখনোই ধরা পড়বে না এবং খুব নিখুঁতভাবে হার্টের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে আমাদেরকে প্রদর্শন করবে। তাই যারা হার্ট পরীক্ষা করার জন্য অথবা হার্টের সমস্যা রয়েছে এমন সকল ব্যক্তিরা ইকো টেস্ট যেভাবে করবেন তার নিচের দিকে জানিয়ে দেওয়া হলো। তবে যে সকল প্রতিষ্ঠানে ইকো টেস্ট করানো হয়ে থাকে তারাই আপনাদেরকে এই টেস্ট করার আগে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

তাই আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে ইকো টেস্ট করবেন সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন মেনে চলুন এবং আপনাদের এই হার্ট ভালো থাকার জন্য যে বিষয়গুলো সব সময় অনুসরণ করার কথা বলছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে আপনারা যদি হৃদরোগের চিকিৎসা করতে চান তাহলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আপনাদেরকে গ্রহণ করা লাগতে পারে। আর যখন কালার ডপলার এর মাধ্যমে ইকো কার্ডিওগ্রাফি করবে তখন এটা অত্যন্ত সাধারণ পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া এটা যখন আপনাদের টেস্ট করবে তখন আপনাদের হার্টে কতটুকু পাম্প করছে এবং তা ঠিকভাবে করছে কিনা সে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু ইকো টেস্ট কিভাবে করে তা জানতে এসেছেন সেহেতু অনেকের ভিতরে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে ইকো টেস্ট করানোর পূর্বে খালি পেটে থাকতে হয়। যে সকল প্রতিষ্ঠানে ইকোল্যাব রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে এই টেস্ট করা হয়ে থাকে। তবে আপনাদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য বলতে পারি যে পরীক্ষা করার পূর্বে আপনাদের না খেয়ে থাকা লাগবে না অথবা কোন ঔষধ আলাদা ভাবে আপনাদেরকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে না। এই পরীক্ষাটি করতে মোটামুটি ভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে এবং এই পরীক্ষার সময়ে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট ভাবে শুয়ে থাকতে হবে।

অর্থাৎ আপনারা যখন ইকো টেস্ট করাবেন তখন অবশ্যই বাম দিকে কাৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হবে এবং পরীক্ষার সময় আপনাকে যখন দিকনির্দেশনা প্রদান করবে তখন মাঝে মাঝে শ্বাস বন্ধ রাখতে হতে পারে। এছাড়াও পরীক্ষার পূর্বে আপনার উচ্চতার সঙ্গে ওজনের ভারসাম্য রয়েছে কিনা এ সকল বিষয়গুলো চেক করে নেওয়ার পর বুকে ইসিডি লিড লাগানো হবে। আর এই লিড লাগানোর ফলে হার্টের ছন্দ ও গতি স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে। এছাড়াও এই টেস্ট যখন করা হবে তখন বুকে এবং উপরের পেটে এবং গলায় এক ধরনের জেলি লাগানো হবে যেন চামড়ার মধ্যে বাতাস ঢুকতে না পারে।

তবে বর্তমান সময়ে ইকো টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে ইকো কার্ডিওলজিস্ট বিভিন্ন জায়গায় প্রোব বসিয়ে ভিডিও মনিটরে আপনার হার্টের বিভিন্ন অংশের ছবি তৈরি করার চেষ্টা করবেন। সাধারণত এই ছবিগুলো যাতে ভালোভাবে দেখা যায় তার জন্য রুমের আলোর মাত্রা কমিয়ে রাখা হয় এবং এখানে যে টেস্ট করা হয় সেই টেস্টে শব্দ হলে সেখান থেকে আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাই ইকো টেস্ট করার পূর্বে কর্তৃপক্ষ আপনাদের যে সকল দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে বলবে অথবা যে সকল বিষয় মেনে চলার মাধ্যমে টেস্টগুলো করা হবে সেগুলো অবশ্যই আপনারা মেনে চলবেন।

Leave a Comment