এইডস রোগ কিভাবে ছড়ায়/ এইডস কিভাবে হয়

এইডস রোগ সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা জানি না। অনেকে মনে করে এটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগটি কিভাবে ছড়ায় সেটা যেন অত্যন্ত প্রয়োজন। এই যে রক্তে ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিন্তু বিভিন্ন দৈনন্দন জীবনের একটিভিটির মাধ্যমে এরকম ছড়াতে পারে। আমাদের মনের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে তাহলেই এইডস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

এইডস রোগ কিভাবে ছড়ায়?
এটি ছোঁয়াচে রোগ কি না?
এইডস রোগটি কোন ভাইরাসের আক্রান্তে হয়?
এই রোগের সাথে যৌন মিলন নিরাপদ কিনা?
এই রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি?
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে কি কি ধরনের উপসর্গ রয়েছে?
এই সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানতে হবে। অনেকের গুগলের মাধ্যমে এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত এইডস রোগ সম্পর্কে এই সকল সাধারণ তথ্য আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে এইডস রোগ ছড়ায়। এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে আপনার পরিবারে যদি এইডস রোগী থেকে থাকে তাহলে আপনি তাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করবেন। তাহলে চলুন আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার গভীরে যাওয়া যাক।

Human immunodeficiency virus বা HIV নামক ভাইরাস এই রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। HIV এমনই ভয়ংকর জাতের ভাইরাস যে এ ভাইরাস মানুষের শরীরে অনুপ্রবেশ করার পর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে HIV আক্রান্ত রোগী যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং যা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আপনার স্বামী হয়ে থাকে তাহলে তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সবচাইতে বেশি এই রোগটি ছাড়াই যৌন মিলনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ অসচেতন এইজন্যই এই রোগটি বাংলাদেশের মানুষের বেশি ক্ষতি করেছিল।আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সাথে কনডম ব্যবহার না করে যৌন সম্পর্কে স্থাপন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলে, এরকম কারো ব্যবহৃত একই সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করলেও আপনি এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হবেন

কিন্তু এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। একই বাতাসে নিশ্বাস নিলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে, চুমু খেলে, একই পাত্রে খাবার খেলে, পানি খেলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার করলে, তার ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলে আপনিও এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না।

যদিও রক্তদ্বারা এই ভাইরাস ছড়ায় কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে মশা বা রক্ত খায় এমন কিট দ্বারা আপনি আক্রান্ত হবেন না।তার দুটি কারণ। একটি হল একজনের শরীর থেকে রক্ত খেয়ে সে সেই রক্ত দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির শরীরে ইনজেকশন দেয়ার মতো করে রক্ত ঢুকিয়ে দেয়না।

আর মশা বা অন্য কিটের শরীরে এই জীবাণু খুব সামান্য সময় বেচে থাকে।আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ওরাল সেক্স অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এইচআইভি পজিটিভ নারী বা পুরুষের সাথে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু এর হার খুব বিরল। কনডম ব্যবহার করলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার কোনই সম্ভাবনা এমন ধারনাও ঠিক নয়। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের সময়ে কনডম ফুটো হয়ে গেলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন।

এর আরেকটি কারণ হল আক্রান্ত প্রতি চারজন ব্যক্তির অন্তত একজন জানেননা যে তার এই শরীরে এটি রয়েছে। যাদের সংখ্যা এক কোটি।কোন লক্ষণ দেখা না দিলে এইচআইভি আক্রান্ত নন এটিও ভুল ধারনা। এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও একজন ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘ দিন কোন রকমের লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে।এভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি দশ থেকে পনেরো বছরও বেঁচে থাকতে পারেন।

এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর শুরুর কয়েকটি সপ্তাহের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাব দেখা দিতে পারে, হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেবে যখন ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করাই এইচআইভির মুল বিপদ।
গুরুত্বপূর্ণ এ তথ্যগুলি নিজে জানুন এবং অন্যকে জানতে সাহায্য করুন।

Leave a Comment