কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো

কিডনি সুস্থ আছে কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই একটি পয়েন্ট রয়েছে। কিডনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকন অবশ্যই এই পয়েন্টগুলোকে সামনে রেখে কিডনিকে কি কি করতে হবে বা ভালো রাখার জন্য কি কাজ করতে হবে সে বিষয়গুলো দেখে নেয়। আর এই দেখে নেওয়ার জন্য অবশ্যই কিডনি ভালো রয়েছে কিনা তা রক্ত বা অন্যান্য কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকে। আজকে আমরা দেখব যে কিডনি ভালো রাখার জন্য আসলে কোন বিষয়গুলি দেখা হয়ে থাকে। তাই আমরা যখন কিডনি ভালো আছে কিনা সেই পরীক্ষা ঠিক করতে দেই তখন তারা আমাদের শরীর থেকে ব্লাড নেয়।

সেই ব্লাড নির্ণয় করে তারা দেখে যে কিডনি ভালো আছে কিনা সে বিষয়টি। মেশিন রক্ত পরীক্ষা করে পয়েন্ট এর মাধ্যমে তা দিয়ে থাকে। এবং সেই রক্তের পয়েন্ট হিসেবে বোঝা যায় যে, কিডনি ভালো রয়েছে কিনা। রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা নির্ধারণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকন বসে থাকে যে কিডনির অবস্থা কিরূপ রয়েছে। তাই আজকে আমাদের এখন সবার প্রথমে আগে দেখে নিতে হবে যে ক্রিয়েটিনিন কি? সাধারণত ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে মাংসপেশীর ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙ্গে তৈরি হওয়া একটি উপাদানকে বুঝিয়ে থাকে।

এটা শরীরে সর্বদাই একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরি হতে থাকে। অর্থাৎ বিষয়টি অবশ্যই শরীরের জন্যই বেশি প্রযোজ্য। যদি শরীর সুস্থ থাকে তাহলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বা নির্দিষ্ট অনুপাতে এই ক্রিয়েটিনিন তৈরি হতে থাকে। তবে এটা বেশির ঘর বা ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে থাকে। তাই মানব শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বুঝতে হবে যে কিডনি ঠিকমত কাজ করছে না। অর্থাৎ শরীরের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা যখনি বাড়বে তখনই আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে কিডনির সমস্যা রয়েছে।

আর এই ক্রিয়েটিনিন কমানোর কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত এলোপ্যাথি তে নেই। সাধারণত কিছু রোগ হলেই শরীরের এই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা দেখা হয়ে থাকে। এবং ঐ রোগগুলো হলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। যেসব রোগের কারণে ক্রিয়েটি নিন বেড়ে যায় সেসব রোগের চিকিৎসা করালেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেরকমই একটি বিষয় হলো কিডনির রোগ। অর্থাৎ কিডনি ভালো রয়েছে কিনা আমরা বোঝার জন্য ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করে থাকি।

আর এই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা যদি ঠিক থাকে বাজে টি স্বাভাবিক হওয়ার কথা সে বিষয়টি যদি থাকে তাহলেই বুঝে নিতে হবে যে আপনার কিডনির তেমন কোন সমস্যা নেই। আর যখন আপনার শরীরের এই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায় তখনই বুঝতে হবে আপনার কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না অবশ্যই কোনো ত্রুটি রয়েছে। এই কারণেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

আজ যে সব রোগের কারণে কেটে নেওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় সেসব রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা করালে অথবা রোগ নিয়ন্ত্রণে আসলেই ক্রিয়েট ইউনিয়নের মাত্রা ও ঠিকে চলে আসে। তাই এখন আমাদের দেখতে হবে যে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা আসলে কত থেকে কত থাকলে এটি ঠিক বলে মনে করা হবে। এবং ক্রিয়েটিনের মাত্রা আসলে কত থাকলে আমরা মনে করব যে আমাদের রক্তে কোন সমস্যা নেই বা কিডনির কোন সমস্যা নেই। এই বিষয়টি এখন আপনাদেরকে দেখাবো। তাহলে জেনে নিন বিষয়টি।

স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম। স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে এর মান ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম। একটা কিডনী যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক। এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা যদি সবসময় আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই বারবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন। তাহলে আপনারা সময় মতো সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন। আর এই ধরনের তথ্যগুলি যদি পেতে হয় তাহলে অবশ্যই বিষয়টি ভালো হয়।

Leave a Comment