সালাতুল হাজত নামাজ কত রাকাত

সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার আলাদা কোন নিয়ম নেই, আপনি চাইলে অন্য নকল নামাজ কিভাবে পড়েন সেভাবে এই নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে এই নামাজ পড়ার সময় প্রতিবারের ন্যায় আপনাকে ভাবে অজু করে পরিষ্কার জায়গায় পরিষ্কার জামা কাপড় পড়ে নামাজ কায়েম করতে হবে আপনি যদি কখনো কোথায় গিয়ে বিপদে বা কারণে সমস্যায় পড়েন সেটা আলাদা বিষয়।

আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আপনাদের দাঁড়াতে চলেছি কিভাবে আপনি সালাতুল হাজত নামাজ আদায় করবেন। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি এই বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা হয়ে যাবে।

সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার নিয়ম

এই নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই আপনাদের নিয়ম কানুন মেনে নেওয়ার করতে হবে। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় নফল নামাজ বা নফল ইবাদত করে থাকে, মানুষ যদি অসুস্থ হয়, তার শরীরে যদি কোন দুশ্চিন্তা বা কোন রোগ দেখা দেয় তাহলে তাকে অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে।আপনি যদি কোন কারনে অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি হযরত নামাজ আল্লাহ তাআলা আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিবে।

সঠিকভাবে নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা সালাতুল হাজত সঠিকভাবে করতে পারবো। আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেল থেকে আর জানতে চেয়েছেন এ নামাজ সম্পর্কে আপনার হয়তো বিস্তারিত জানতে পারবেন এ মুহূর্তে। সালাতুল অর্থ হচ্ছে প্রয়োজন পূরণে নামাজ। এই কথাটির অর্থ হচ্ছে আমরা যখন খুব অভাবগ্রস্ত থাকি অস্বস্ত থাকি যে কোন সমস্যায় থাকি সেই অভাব বা সমস্যা পূরণ করার জন্য আমার যে নামাজ পড়ে থাকি তাকে সালাতুল হাজত নামাজ বলা হয়। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম রা এই নামাজ গুলোকে নফল নামাজ হিসেবে পড়তো সেই সময় সাহাবারা নিয়মিত এই আমলগুলো করেছেন।

যে কোন প্রয়োজনে আপনারা চাইলে এই সালাতুল হাজত নামাজ পড়তে পারেন। যেকোনো সমস্যা হলে অবশ্যই আপনি যেকোনো সময় এই নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে আপনি কোন কিছু চাইলে অবশ্যই তিনি আপনাকে ফেরাবেন না তাই চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব এই নফল নামাজগুলো পড়ার।

আপনি যেকোনো হালাল কাজ বা হালাল চাহিদা পূরণ করার জন্য আল্লাহর কাছে সেই উদ্দেশ্যে দুই রাকাত সালাত আদায় করতে পারেন। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনে বান্দাদের বিভিন্ন সমস্যা দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য সালাত আদায় করে আল্লাহতালার কাছে চাইতে বলেছেন যেটি উল্লেখ করা রয়েছে (সূরা বাকারা ১৫৩ আয়াতে)

আপনি এই নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন সেই সাথে আপনার সমস্যা দূর করতে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারেন এই নামাজ পড়ে। অবশ্যই নামাজ পড়ার সময় আপনাকে পাক পবিত্র হয়ে এই নামাজ আদায় করতে হবে আপনি চাইলে এই নামাজ যে কোন সময় পড়তে পারেন।

তবে চেষ্টা করবেন সব সময় এই নামাজ রাতের রাতে আমাদের সকল কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে এই নামাজ পড়তে পারেন। নামাজগুলো পড়া হয়ে গেলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা মন খুলে দোয়া করব আমাদের বিপদ আপদ পরিবার সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আল্লাহ তাআলা চাইলে আমরা যেকোনো সময় আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি করতে পারি সেই সাথে সকল ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে পারি।

তাই চলুন আমরা চেষ্টা করি নামাজ পড়া নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালা সন্তুষ্টির পাশাপাশি আমরা ভালো কাজে আমাদের মনোনিবেশ করতে পারবো। ভালো কাজে অবশ্যই আমাদের চেষ্টা করতে হবে সব সময় তাই আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করলাম আপনারা আমাদের আর্টিকেল পরের মাধ্যমে হয়তো বেশ কিছু তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন।

Leave a Comment