আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে

নতুন সিম কিনলে সেই সিমটি আমাদের এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়। এর ফলে একটি নিরাপত্তা থাকে। একজন ব্যক্তি একাধিক সিম কিনতে পারেন না। একটি এনআইডি থেকে নির্দিষ্ট স্বল্প সংখ্যক কয়েকটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায়। কিন্তু আগে এই নিয়মটি চালু ছিল না। যে কোন বয়সের যে কেউ চাইলে বাজার থেকে একটি নতুন সিম কিনে সেটি ব্যবহার করতে পারতো। এটি একটি খুবই ভালো পদক্ষে। বাংলাদেশ ে এই আইনটি চালু হওয়ার মাধ্যমে অনেক দুর্নীতি এবং অপকর্ম থেকে মুক্তি পাবে আমাদের এই রাষ্ট্র।

কয়েক বছর আগেও সিম রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি চালু ছিল না। তখন ১৮ বছরের নিচে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু চাইলে বাজার থেকে একটি সিম কিনতে পারতো। কিন্তু এখন এই সিম রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি চালু হয়ে অনেক নিরাপদ।

সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে অনেকের অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। আজকে আমরা এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেব সহজ ভাষায়। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার এন আই ডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আপনি যদি নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন না করেন তাহলে আপনার এন আইডি দিয়ে কেউ সিম রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেনা। তাই অকারণে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

কারণ বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে যখনই কোন সিম রেজিস্ট্রেশন অথবা কোন অফিশিয়াল কাজকর্ম করা হয় তখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইউজ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়। কারণ জোর করে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ আপনার এনআইডি কার্ড ইউজ করতে পারবেনা। কারন আপনার এনআইডিতে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে। আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নকল করা অসম্ভব।

এখন মোবাইল ফোন কোম্পানি আরো একটি নিয়ম চালু করেছে যেটা হল । রেজিস্ট্রেশন করা একটি সিম যদি অনেকদিন থেকে অব্যবহৃত থাকে, তাহলে সেই সিমটি রিপ্লেস হয়ে যায়। মোবাইল ফোন কোম্পানি তখন সেই সিমকে রিপ্লেস করে অন্য গ্রাহকের কাছে সেটা বিক্রি করে দেয়। পরবর্তী গ্রাহক সেই সিমটি ,সেই নাম্বারটি পুনরায় নিচের এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে সব সিম ব্যবহৃত হবে। অপ্রয়োজনীয় বা অব্যবহৃত কোন অপারেটর থাকবে না। এই পদ্ধতির ফলে এখন মানুষ অতিরিক্ত সিম কিনা থেকে বিরত থাকবে।

অনেকের প্রশ্ন থাকে কিভাবে বুঝব যে আমার এনআইডি কার্ড দিয়ে কতটি সেম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল?
এই প্রশ্নের উত্তরটি অনেকের মনেই থেকে থাকে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে, আপনাদের এই বিষয়টি সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে চাই। মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি।
অপ্রয়োজনীয় সিম চাইলে বাতিল করে দেয়া যায়। সে জন্য আপনাকে উক্ত সিমে অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। অপারেটরের এজেন্টের সহায়তা নিয়ে সহজেই সিম বাতিল করতে পারবেন। অন্যদিকে যদি সিমগুলো দরকারি হয়ে থাকে, তাহলে আপনার পরিবারের কারো নামে সিমের মালিকানাও পরিবর্তন করতে পারবেন।

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জেনে রাখা ভালো। কারণ তাতে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার অজান্তে কোনো অসাধু ব্যক্তি আপনার নামে সিম নিয়ে ব্যবহার করছে কি না।

আপনার বর্তমানে ব্যবহৃত যেকোনো গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক সিমের মাধ্যমে আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়া সিমের পরিমাণ জানতে পারবেন।
সে জন্য আপনাকে *১৬০০১# ডায়াল করতে হবে।

এই নম্বর ডায়াল করার পর ফিরতি মেসেজে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা দিতে বলবে। এ পর্যায়ে আপনার এনআইডি কার্ডের শেষের চারটি সংখ্যা সাবমিট করে সেন্ড করুন। ফিরতি মেসেজে আপনার এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমগুলোর নম্বর দেয়া হবে।

এখানে প্রিপেইড বা পোস্টপেইড যেই সিমই হোক না কেন সব নম্বর দেখাবে। তবে নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দিবে না। প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখাবে। ঠিক অনেকটা এ রকম ৮৮০১৫*****১২৩।
এই সেবা নেয়ার জন্য কোনো চার্জ কাটা হবে না, অর্থাৎ আপনি ফ্রিতে এটি করতে পারবেন।

Leave a Comment