আয়াতুল কুরসি কত নাম্বার আয়াত

আপনারা কি আয়াতুল কুরসি কত নাম্বার আয়াত তা জানতে এখানে ভিজিট করেছেন? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর এখানে প্রদান করার পাশাপাশি আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে কি কি লাভ পাওয়া যাবে অথবা এটা পাঠের ফজিলত সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করব। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে অনেক ফায়দা পাওয়া যায় এবং এটা যদি আপনারা বাস্তবে জীবনে পাঠ করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে উপকার পাবেন। তবে এখানকার এই তথ্য ভিজিট করার মাধ্যমে আপনারা যেহেতু আয়াতুল কুরসি কত নাম্বার আয়াতে জানতে এসেছেন সেহেতু সেটা সর্ব প্রথমে জানিয়ে দেবো।

আয়াতুল কুরসি হলো সূরা বাকারার অর্থাৎ কোরআন শরীফের দ্বিতীয় সূরার 255 নম্বর আয়াত। এই আয়াতটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আয়াত এই কারণে যে এখানে মহান আল্লাহ পাকের প্রশংসা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাকের এখানে অনেক নাম রয়েছে যেটা পাঠ করার মধ্য দিয়ে আল্লাহ পাকের গুণগণ করার ভেতর দিয়ে আপনি নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।

আমরা যদি আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে বলবো যে, এটা এমন একটা আয়াত যেটা পাঠ করার মধ্য দিয়ে আপনাকে মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে আর কেউ বা কোন কিছু বাধা সৃষ্টি করতে পারবেনা। তাই যখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন তখন পূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে পাঠ করলে অবশ্যই এটার ফজিলত আপনারা পেয়ে যাবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ তখন তিনি বলেছিলেন আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ।

তাছাড়া সূরা বাকারা হচ্ছে হচ্ছে কোরআনের উঁচু চূড়া। আর এই সূরার 255 নম্বর আয়াতে এমন একটি আয়াত রয়েছে যেটা কোরআনের আয়াত গুলোর মধ্যে প্রধান এবং সেটা হলো আয়াতুল কুরসি। কোরআন শরীফের একটি প্রসিদ্ধ আয়াত হওয়ার কারণে এখানে আল্লাহ পাকের একত্ববাদের ঘোষণা যেমন প্রদান করা হয়েছে তেমনি ভাবে আল্লাহ পাকের মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা রয়েছে। যারা আয়াতুল কুরসি জানেন তারা নিয়মিতভাবে প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের শেষে এটা পাঠ করবেন।

এছাড়াও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই আপনারা ফায়দা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনারা আয়াতুল কুরসির বাক্য সংখ্যা জানতে চান তাহলে বলবো যে এখানে মোট নয়টি বাক্য রয়েছে। তাই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এই সূরা মুখস্ত করার ক্ষেত্রে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা যেমন এখানে বাংলাতে এটা প্রদান করেছি তেমনিভাবে আরবীতে পিকচার এর মাধ্যমে প্রদান করেছি। তাই আপনারা যখন বিভিন্ন ধরনের আমল করবেন অথবা দোয়া করবেন তখন এটা যদি পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই সেই দোয়া কাজে লাগবে।

রাতে ঘুমানোর আগে যদি এটা পড়ে ঘুমাতে পারেন এবং বুকে ফু দিয়ে ঘুমাতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের দুঃস্বপ্ন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে যদি এই আমল করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য নিরাপদ যাত্রা হবে। শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে আপনারা এই আয়াতটি আমল করতে পারেন। অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল হওয়ার কারণে আমরা যদি এটা বাস্তবিক জীবনে বারবার আমল করতে চাই তাহলে খুব ভালো হবে এবং এটা দ্বারা আমরা নিজেদেরকে অনেক বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে পারব।

তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা আয়াতুল কুরসি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারলেন। যেহেতু সূরা বাকারা একটি মর্যাদা পূর্ণ এবং সর্বোচ্চ চূড়ার একটি সূরা সেহেতু এই আয়াতটি হল আরো মর্যাদাবান একটি আয়াত। তাই জীবনে চলতে ফিরতে অথবা ইবাদত বন্দেগী করার ক্ষেত্রে আমরা যদি এই আয়াতটি আমল করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আয়াতুল কুরসী সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য যদি আরো জানার থাকে তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করলে অবশ্যই সেটা জানিয়ে দেব।

Leave a Comment