আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা লাগে | আল্ট্রাসনোগ্রাম কিভাবে করে

পরিবারের কোনো নারী যদি সন্তান সম্ভব হয় থাকে অথবা কোন ডাক্তার যদি অন্য কোন সমস্যার কারণে আপনাদের আলট্রাসনোগ্রাম করতে বলে তাহলে এটা করতে কত টাকা খরচ হতে পারে সে প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করব। তাছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে ফলাফল প্রদান করে থাকে সে প্রসঙ্গে আলোচনা করলে আপনাদের মনের ভেতরে যে সকল প্রশ্ন উদিত হয় সেগুলো জেনে নিতে পারবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে বর্তমান সময়ের রোগ নির্ণয় করার জন্য রোগীর বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ অনুযায়ী টেস্ট প্রদান করা হয়। আর সাধারণ মানুষেরাও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে দিনের পর দিন ওষুধ কন্টিনিউ করে থাকেন।

বর্তমান সময়ের মানুষের এত অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে শুধু তাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস এবং পরিমিত পরিমাণে ব্যায়াম না করার কারণে। মানুষজন যদি একটু স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে পারে এবং প্রত্যেকটি ব্যাপারে যদি তারা অর্গানিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে তাদের বয়স যেমন বেড়ে যাবে তেমনি ভাবে তারা সুস্থতা অনুভব করতে পারবে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষজনের খাবারের যে প্যাটার্ন রয়েছে অথবা মানুষজন যেভাবে জীবন আচরণ পদ্ধতি মেনে চলেন তাতে করে খুব দ্রুত একজন মানুষ বুড়ো হয়ে যাচ্ছে অথবা শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অনুভব করছে।

এক্ষেত্রে খুব সহজ একটা উদাহরণ যদি দিতে চাই তাহলে বলব যে বর্তমান সময়ের যে জেনারেশন রয়েছে তারা সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার পরিবর্তে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে অধিক রাত পর্যন্ত জেগে ভোরবেলা ঘুমাতে যাই। অথচ রাত দশটা থেকে যদি ভোর তিনটা পর্যন্ত পারফেক্টলি ঘুমানো যায় তাহলে একজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হবে এবং সেই মানুষটা শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন। কিন্তু মানুষজন সে সকল বিষয়ের তোয়াক্কা না করে ভিডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বা এডিকশন দেখানোর ফলে এই জিনিসগুলোতে আসক্ত হয়ে থাকে।

তবে সে সকল প্রসঙ্গে আলোচনা না করে আমরা মূল বিষয়ে এখন আলোচনা করব। অর্থাৎ আপনারা জানতে চেয়েছেন আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা খরচ হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো উপজেলা পর্যায়ে থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সর্বপ্রথমে রোগীর

বর্ণনা শুনে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট ধরিয়ে দেন। আর এটা আপনারা স্থানভেদে আলাদা আলাদা রেটে করাতে পারবেন। আপনি যদি স্থানীয়ভাবে এটা করিয়ে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে কয়েকশো টাকার ভেতরে যেমন করতে পারবেন তেমনি ভাবে যদি এটা বিভাগীয় পর্যায়ে অথবা রাজধানী পর্যায়ে কোন নামিদামি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করিয়া থাকেন তাহলে তার খরচ কয়েক হাজার টাকা আসবে।

প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের আল্ট্রাসনোগ্রাম করার খরচের রকম ভেদ রয়েছে বলে আমরা এখানে নির্দিষ্ট তালিকা প্রদান করলাম না। এটা যদি আপনি উপজেলা পর্যায়ে করে থাকেন তাহলে ১০০০ টাকার নিচেই করতে পারবেন এবং যদি বিভাগীয় পর্যায়ে অথবা যেখানে বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে সেখানে করে থাকেন তাহলে দুই থেকে চার হাজার টাকা খরচ হবে। তাই আপনাদের অবস্থান অনুযায়ী এবং সুবিধা অনুযায়ী যে কোন একটা স্থানে আলট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করে দেখে নিতে পারেন রোগীর কি অবস্থা রয়েছে।

যারা জানতে চান আলট্রাসনোগ্রাম কিভাবে করা হয় তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এটা একটা শব্দ তরঙ্গের ব্যবহৃত সিস্টেম। অর্থাৎ এটা ব্যবহার করার মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ শরীরের ভেতরে বিভিন্ন জায়গার ছবি ত্রিমাত্রিক অথবা বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তোলার চেষ্টা করবে। আর সেই ভিত্তিতে আপনাদের জন্য রিপোর্ট তৈরি করবে এবং ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবে শরীরের সেই বিশেষ অংশের কি অবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের পেটের সন্তানের অবস্থান এবং সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে সে প্রসঙ্গে জানার জন্য মানুষজন এটা করে থাকে। এছাড়াও শরীরের অনেক জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়।

Leave a Comment