বৃত্তি সাধারণত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণামূলক একটি অনুদান। যারা সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থী আছে তারা যাতে সঠিকভাবে পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং তাদের এই বৃত্তির মাধ্যমে পাওয়া টাকা যাতে তাদের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত বিভিন্ন পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান করা হয় আর এই পর্যায়ের বৃত্তি সাধারণত বিভিন্নভাবে বিভক্ত হয়ে থাকে। প্রাইমারি লেভেল থেকে শুরু করে হাই স্কুল লেভেল অথবা বর্তমানে ডিগ্রী লেভেল পর্যন্ত এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে।
আমাদের সময় সাধারণত মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি প্রদান করা হতো এখনো ঠিক একই নিয়ম মানা হচ্ছে। সাধারণত আপনি যদি মনে করেন যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মার্ক পেলে সকলকেই এটা প্রদান করা হবে তাহলে সেটা ভুল ধারণা। প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা জায়গাতে বৃত্তির জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম তৈরি করা হয়েছে তাই চলুন আজকে আমরা এই নিয়ম গুলো জানার চেষ্টা করি যাতে করে আমরা এই বিষয়ে পরিষ্কারভাবে একটি ধারণা দাঁড় করাতে পারবো।
প্রাইমারি বৃত্তি পেতে কত মার্ক লাগে
সাধারণত তৃতীয় শ্রেণীতে এবং পঞ্চম শ্রেণীতে এই অনুদান প্রদান করা হয় এবং এখানে সাধারণত যে নিয়মে তা প্রদান করা হয় সে নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদের জানাবো। এখানে আলাদাভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তবে বর্তমানে সে পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হচ্ছে না তার কারণ হচ্ছে সেখানে ফাইনাল যে বার্ষিক পরীক্ষা আছে তার উপর নির্ভর করে মূলত এটা প্রদান করা হচ্ছে। বার্ষিক পরীক্ষায় যে রেজাল্ট হয় সে রেজাল্টের ওপর এটা প্রদান করা হয় তবে অবশ্যই আপনাকে এই বৃত্তির টাকা পেতে হলে আপনার স্কুলের সেরা ৫ জনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী হতে হবে।
এরপরে আসবে বৃত্তির কোটা অর্থাৎ এটা নির্ভর করবে ইউনিয়ন ভিত্তিক এবং নির্ভর করবে ওয়ার্ড ভিত্তিক। সাধারণত প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এবং প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট পরিমাণ সংখ্যক বৃদ্ধি প্রদান করা হবে তাই এখানে আপনি যদি মনে করেন আপনার ওয়ার্ডে বিশ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে তাহলে সেই বিশ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরো ওয়ার্ডের স্কুল মিলিয়ে যারা মেধা তালিকায় শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে থাকবে তাদেরকে এই বৃদ্ধি প্রদান করা হবে।
হাই স্কুলের বৃত্তি পেতে কত মার্ক লাগে
হাই স্কুলের সাধারণত অষ্টম শ্রেণী বা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয় যাতে করে তারা নবম এবং দশম শ্রেণীতে কোন ধরনের বাধা ছাড়াই খুব ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হতে পারে। এক্ষেত্রে পড়াশোনার কাজের জন্য তাদের যেই আসবাবপত্র প্রয়োজন পড়ে সেগুলো তারা যেন ক্রয় করতে পারে এছাড়াও পড়াশোনার জন্য যে বইখাতার প্রয়োজন পড়ে সেগুলোও যাতে তারা ক্রয় করতে পারে।
এখানে নিজে নিয়মে সাধারনত বৃত্তি প্রদান করা হয় সেটা একই নিয়ম মানা হয় অর্থাৎ মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের মূলত এই বৃত্তির আওতায় আনা হয়। আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো পরিষ্কারভাবে মেধা তালিকার শীর্ষে থাকলে কেবলমাত্র এটা সম্ভব।
ডিগ্রি এর বৃত্তি এতে কি লাগে
সাধারণত এখানে ইন্টার লেভেল থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত বর্তমানে এই অণু দান দেওয়া হচ্ছে তবে এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে এখানে কোন কিছুই নির্ভর করে না। একটি কলেজে প্রায় 200 জন শিক্ষার্থী ভর্তি হল সে ২০০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের বৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ হবে সেই বোর্ডের শিক্ষা অফিসে।
সেখানে সাধারণত লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় কোন কোন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে তার কারণ হচ্ছে নির্ধারিত একটি কোটা থাকে যে কতজন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে। খুব সম্প্রতি এই নিয়ম চালু করা হয়েছে তবে এই নিয়ম কত দিন চালু থাকবে সেটা সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই।