আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে উক্তিটি কার

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত আমার সন্তান লেখাটিতে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে কবিতার ভিতরে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে উক্তিটি কার যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেটা জানিয়ে দেব। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে উক্তিটি কার এই প্রশ্ন এসে থাকে। যেহেতু অনেক প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে একেবারেই অজানা এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা জানার চেষ্টা করে থাকি সেহেতু এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা জেনে নিতে পারেন।

আমার সন্তান এই কবিতাটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর খুব সুন্দর ভাবে বাঙালি জাতির বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেছেন। অর্থাৎ একজন বাঙালি পিতা হিসেবে তার সন্তানের প্রতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা কবিতার এই বাক্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। যদি আমরা এই কবিতাটির দিকে তাকাই তাহলে দেখব যে দেবী অন্নপূর্ণা বধু সাজে নদী পার হওয়ার জন্য ঈশ্বর পাটনির কাছে আসে। এদিকে ঈশ্বর পাটনি গ্রামের একজন বধু হিসেবে একা একা যখন নদী পার হতে চাই তখন তিনি কোন বাড়ির বউ তা জানতে চান।

অন্নপূর্ণা দেবী তা এড়িয়ে চলেন এবং তাকে পার করে দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। কিন্তু ঈশ্বর পাটনির পীড়াপীড়িতে যখন অন্নপূর্ণা দেবী খুব সুন্দর ভাবে নিজের স্তুতি গাই এবং নিজেকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তখন ঈশ্বর পাটনিকে জানিয়ে দেয় যেন সে বর প্রার্থনা করে। আর তখন ঈশ্বর পাটনি নিজের বর প্রার্থনা করার ক্ষেত্রে এমন একটি বর প্রার্থনা করে যেটা তার নিজের জন্য না হয়ে সন্তানের জন্য হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে আমরা বাঙালি সমাজের কথা ভাবতে পারি যে তারা তাদের সন্তানদেরকে অধিক পরিমাণ ভালোবাসে। নিজেরা সারাজীবন কষ্ট করার মধ্য দিয়ে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে থাকে। যারা প্রকৃত পিতা তারা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আখের গোজার করতে থাকে। তাই বর্তমান সমাজের পিতারাও এই ধরনের বিষয়গুলো করে থাকেন বলে আমরা তার সঙ্গে এগুলো মিল করতে পারি।

এক্ষেত্রে ঈশ্বর পাটনি যখন বর প্রার্থনা করে তখন বলে থাকে যে তার সন্তান যেন দুধে-ভাতে থাকে। অর্থাৎ তিনি বাস্তবিক জীবনে একজন মাঝি হয়ে অনেক কষ্ট করে থাকলেও তার সন্তান যেন সুখে দিন কাটাতে পারে তার জন্য এই প্রার্থনা করে থাকেন। তাই আমার সন্তান যেন থাকে যদি তাতে এই উক্তিটি হল ঈশ্বর পাটনীর। আর এই উক্তিটির মধ্য দিয়ে তিনি অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন যেন তার সন্তান খুব সুন্দর ভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন এবং সুখে স্বাচ্ছন্দের দিন কাটাতে পারেন।

এখানে চাইলে তিনি তার নিজের স্বার্থের কথা বলতে পারতেন অথবা তিনি নিজের ভালো থাকার বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি না করে সন্তানের ভালো থাকার বিষয়ে জোর প্রদান করেছেন এবং সন্তান ভালো থাকলেই তিনি যে সুখী হবেন সে বিষয়টা উল্লেখ করেছেন। একজন বাঙালি পিতা হিসেবে সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন তা বর্তমান সময় পর্যন্ত চলমান এবং অনেক পিতা মাতা এই কাজগুলো করে থাকেন।

আমাদের সমাজে পিতারা তাদের সন্তানদেরকে অনেক ভালোবাসে এবং সন্তান যাতে ভবিষ্যতে সঠিক পথে যেতে পারে এবং সুখ-শান্তিতে থাকতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করে রাখে। আর বর্তমান সময়ে মানুষের ভবিষ্যৎ চিন্তা বেশি হওয়ার কারণে তার নিজের প্রজন্ম চালানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে চলবে সে বিষয়ের দিকে বেশি লক্ষ্য করে।

আর এভাবেই যখন একটা মানুষ ভবিষ্যতের কথা বেশি চিন্তা করে তখন অধিক ইনকাম করে সেটা সঞ্চয় ফেলার চেষ্টা করে। তবে যাই হোক এখানে ঈশ্বর পাটনি তার সন্তানের ভালো থাকার বিষয়ে অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন এবং এই কবিতা সম্পর্কে যদি কোন ধরনের তথ্য জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Leave a Comment