আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

আপনারা যারা স্বপ্নের দেশ আমেরিকা থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দিব। আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা ইংরেজিতে স্পোকেন কোর্স করার ভিত্তিতে আমেরিকা থেকে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেতে চান। তাছাড়া তারাও আমাদের মত পরিশ্রমই ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে পছন্দ করেন বলে আমরা নিজস্ব যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি। তাই আপনি যখন আমেরিকা যাবেন অথবা আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে যখন আপনার টাকার পরিমান জেনে নেওয়াটা জরুরি হবে তখন সেটা অবশ্যই এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।

আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে প্রসঙ্গে যদি আমরা আপনাদের এখানে জানিয়ে দেই তাহলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ এখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যত টাকা খরচ হয় সেটা সকলেই বহন করতে পারে না এবং নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। আমাদের দেশে অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করার পরেও দিনের পর দিন চেষ্টা করে চাকরি যোগাড় করতে পারছে না।

তাছাড়া দেশের ইনকাম ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের উপরে নির্ভর না করে অনেকেই স্পোকেনে ভর্তি হচ্ছে এবং সেখান থেকে আইএলটিএস কোর্স করার মাধ্যমে নিজেদের স্কোর বৃদ্ধি করার ভিত্তিতে বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদান করতে পারছেন। তাই এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আপনারা যদি যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান অথবা খরচের ব্যাপারে যদি সঠিকভাবে জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে চান তাহলে সব সময় আপনাকে এডভান্স লেভেল এ কাজ করতে হবে।

সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে গিয়ে যদি কোন একটা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেন তাহলে আপনাদের বেতন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আপনারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। দেশের অনেক যুবক মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া এবং পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের বর্তমান সময়ে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকছেন। তাই আমেরিকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন আপনারা আইএলটিএস কোর্স করবেন অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত ভিসা পাওয়ার মাধ্যমে যখন আপনারা সেখানে যাবেন তখন খরচের ক্ষেত্রে কিছুটা কম বেশি হয়ে যাবে।

অর্থাৎ বৃত্তি পাওয়ার পর আপনারা যখন স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকাতে যাবেন তখন আপনাদের খরচ হবে এক রকম এবং কাজের উদ্দেশ্যে গেলে সেখানে খরচ অন্য রকমের হবে। তবে প্রত্যেকটা দেশের বর্তমান সময়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্লেন ভাড়া থেকে শুরু করে ভিসা সংক্রান্ত কাজ অথবা যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তাদের খরচ বৃদ্ধি করার কারণে অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই খরচ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু ভিজিট করেছেন সেহেতু আমরা আপনাদেরকে এখানে তা জানিয়ে দেবো।

সরকারিভাবে যদি আমেরিকাতে ডিবি লটারির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সেখানে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসাতে যেমন যেতে পারবেন তেমনি ভাবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনারা যখন যে পরিস্থিতিতে থাকুন না কোন আমেরিকাতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই সঠিক পরিমাণ এমন জেনে নেওয়ার পাশাপাশি সঠিক যোগ্যতা অর্জন করে আবেদন করলে সেটা অবশ্যই কাজে আসবে।

বর্তমানে আপনি যদি আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সেখানে আপনার মোটামুটি ভাবে 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা খরচ হবে। আর যদি যোগ্যতা নিয়ে কাজে যেতে চান তাহলে সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে গেলে মোটামুটি ভাবে 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে কাজে যাবেন সেই এজেন্সির উপর নির্ভর করে এগুলো ব্যবস্থা করা হবে।

তাই উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সেটা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণ এমন জেনে নিয়ে আপনারা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করার পাশাপাশি যদি শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে যান তাহলে আই এল টি এস কোর্স করে যেতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে। আর যদি কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা অর্জন করার পর গেলে আপনাদের কাজের খরচ অনেক বেশি পাবেন।

Leave a Comment