ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

২০২৪ সালে এসে আপনারা যদি প্রবাসী হতে চান অথবা দেশের বাইরে গিয়ে কোন নির্দিষ্ট কাজে যোগদান করতে চান তাহলে অনেক সময় আপনারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে কাজে যোগদান করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বর্তমান সময়ে অনেকে আছেন যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে কাজে যোগদান করছেন এবং দেশের ভেতরে প্রত্যেক বছর টাকা পাঠাতে পারছেন। তাই ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে তা ২০২৪ সালে কি পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে তা বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমাদের দেশের অনেক বেকার যুবক ব্যবসা করছে অথবা চাকরি না পাওয়ার কারণে দেশের বাইরে টাকা পয়সা ম্যানেজ করে চলে যাচ্ছেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি ভালো থাকে তাহলে আই এল টি এস করার মাধ্যমে দেশের বাইরে গিয়ে অনেকে কাজের সুযোগ গ্রহণ করতে পারছেন। তাই আপনারা যখন সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে চান অথবা দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তখন অবশ্যই ভালো এজেন্সির মাধ্যমে টাকা পয়সা খরচ করে গেলে সেখানে গিয়ে কাজে যোগদান করতে পারবেন।

তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন খরচ হতে পারে সে প্রসঙ্গে আলোচনা করব বলে অনেকে তা জানতে এসেছেন। যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানতে চান তাদের ভেতরের রোমানিয়া পর্তুগাল এবং অন্যান্য অনেক দেশে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়।খাবার ডেলিভারি দেওয়া থেকে শুরু করে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ এবং সেখানে আপনারা চাইলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী কোম্পানিতে যোগদান করার সুযোগ পাবেন। তাই যখন যোগদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন অথবা দেশের বাইরে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তখন নিরবের বিভিন্ন দেশে বর্তমান সময়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে বলে এটা জেনে নিন।

তাছাড়া কিছুদিন আগে এই ব্যাপারে দেশগুলোতে ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক ঝামেলা হচ্ছিল অথবা ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো সচল হয়ে যাওয়ার কারণে আপনারা চাইলে ভিসা সংক্রান্ত কাজে আবেদন করে রাখতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে এগুলো কাজ করলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে যাই হোক দেশের বাইরে যেহেতু যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেহেতু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আপনাদের কত টাকা খরচ হতে পারে সে বিষয়ে জানতে এখানে ভিজিট করেছেন।

ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে হলে আপনারা দুই রকমের ভিসা পাবেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা সিজনাল ভিসা এবং নন সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। সিজনের সাথে আপনারা যদি আবার স্টুডেন্ট ভিসা নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাদের খরচ একেবারেই কম হবে এবং যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে খরচ একটু বেশি হবে। তবে নন সিজনাল ভিসার খরচ বেশি এবং ভিসা দিয়ে আপনারা অনেকদিন সেখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাই সেই হিসেবে ননসিজিন্যাল ভিসার মূল্য বর্তমান সময়ে দেশ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে।

অর্থাৎ পাসপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে ভিসা সংক্রান্ত কাজ এবং সেখানে পৌঁছে গিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে এজেন্সিদের মাধ্যমে যে খরচ করবেন সেই ক্ষেত্রে আপনাদের ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেখানে চাহিদা কম থাকার কারণে কম খরচে যাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে আপনারা সেখানকার নাগরিক হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে কম খরচে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারবেন।

তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদের উদ্দেশ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন খরচ হতে পারে সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলাম।দেশ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে যেতে পারলে সেখানে গিয়ে যদি আপনারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ পেয়ে যান এবং ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন তাহলে এই টাকা উত্তোলন করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আমরা মনে করি যে এখানকার প্রদান করার তথ্যের ভিত্তিতে অনেকেই টাকা পয়সা ম্যানেজ করে সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের যাবতীয় প্রসেস অনুসরণ করতে পারবেন।

Leave a Comment