কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ ভাড়া কত

যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যায় তারা অবশ্যই সেন্টমার্টিন একবার ঘুরে আসার কথা চিন্তা করে নেয়। কারণ কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ। আর এই কারণে যারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় অর্থাৎ ঘোরার জন্য কক্সবাজার যায় তারা অবশ্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার কথা অবশ্যই মনে রাখে। তবে যেহেতু নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা একটি জেগে ওঠা দিয়ে সমুদ্রের মধ্যে এই কারণে অনেক মানুষেরই বিভিন্ন ধরনের কৌতূহল রয়েছে এই সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিয়ে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে কিভাবে রাত কাটানো যায় সেখানে কোন ধরনের হোটেল

বিদ্যুৎ ইত্যাদি রয়েছে কিনা এ সকল নানান দিক চিন্তা ভাবনা করে তারা সেখানে রাত্রি যাপনের কথা চিন্তাভাবনা করতে থাকে। এবং দেশের মাটি থেকে আলাদা ভূখণ্ড এই কারণে অনেকের মনে অনেকটা ভয়েরও উদ্রেক হয়ে থাকে। আবার অনেক মানুষ যেহেতু জানে না কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দূরত্ব কত এবং এখানে যেহেতু শুধুমাত্র ট্রলার যোগাযোগ বা লঞ্চ যোগাযোগ রয়েছে এই কারণে এর ভাড়া সম্পর্কেও মানুষের তেমন কোনো ধারণা নেই। তাই এসব কল দিক বিবেচনা করে আজকে যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভাড়া কত সে বিষয়টি জানার জন্য।

আমরাও নানান ভাবে নানান দিক থেকে কক্সবাজার থেকে যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে হয় তাহলে কিভাবে যাবে এবং একজন মানুষ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে কত টাকা খরচ হবে সেই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবেই আপনাদেরকে অবগত করাবো। তবে তার জন্য আপনাদের অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বা আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে যাবেন। তাহলে অবশ্যই আপনি সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকে পাবেন বলে আশা করি।

আপনারা যে বিষয়টি নিয়ে এতক্ষণ ভাবছেন সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা এখন আপনাদের উদ্দেশ্যে দিয়ে দেব। প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি আলাদা একটি দেশের মতো এবং একটি দ্বীপের মত জায়গা বা জেগে ওঠা চড়ের মত জায়গা বলে মনে হয়। এবং সেখানে প্রাকৃতিক নৈসর্গের যে সমারো উপর রয়েছে সেটি দেখার জন্যই মানুষ সেন্ট মার্টিন দিবে যে থাকে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বপ্নের মতো ছায়াঘেরা একটি সবুজ দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে পর্যটক যে থাকে।

পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য সেখানে নানান ধরনের হোটেল তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ তলা হোটেল এই সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়েছে। তাই আপনারা যারা এতক্ষণ ভাবছেন যে সেন্টমার্টিন গিয়ে কিভাবে রাত কাটাবেন সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন এই সকল নানান দিক বিবেচনা করছেন তখন আমরা বলতে পারি যে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না।প্রশাসনের দিক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আপনাদেরকে দেওয়া হবে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি রয়েছে এই দ্বীপের বা এই দ্বীপে যাওয়া পর্যটকদের উপর।

তাই কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখানে ঘটবে না বলেই আশা করি। তাহলে চলুন আমরা সর্বপ্রথমে জেনে নেই যে কক্সবাজার থেকে আপনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে কিভাবে যাবেন। আপনারা জানেন কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি রাস্তা আছে তা হল নৌ পথ। কক্সবাজার থেকে বড় বড় ট্রলারের মাধ্যমে আপনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেন। এছাড়া দ্রুতগামী স্পিডবোর্ড রয়েছে যাতে করেও আপনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেন। তবে স্পিডবোটে যেতে হলে আপনার আলাদা একটি সাহসের প্রয়োজন হবে।

কারণ স্পিডবোটে যেতে হলে শুধু যেদিকেই তাকাবেন সমুদ্র আর সমুদ্র। সমুদ্রের জলরাশি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। তাই আপনারা এখন জেনে নেন যে ট্রলারযোগে এবং স্পিডবোট যুগে যেতে আলাদা আলাদা জনপ্রতি কেমন ভাড়ার প্রয়োজন হয়।জাহাজের যাওয়া ও আসার টিকেট ভাড়া শ্রেণিভেদে জনপ্রতি ৬৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে টিকেটের ধরণ অনুযায়ী আসন থাকলে সেখানে বসতে পারবেন। জাহাজ দুপুর ১২ টা থেকে ১২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছায়। তাহলে এই ধরনের সকল কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি।

Leave a Comment